আপাতত ঘুরপাক খাচ্ছি!
হ্যালো ডারউইলিং কেমন আছো? কি বল্লা - ভাল আছো? আমি কিন্তু ভাল নেই। ইট/কাঠ/লোহার খাঁচায় বন্দি চিড়িয়ার মত অলস আর বদ্ধ জীবন। চারিদিকে শুধু খাঁচা আর খাঁচা। এখানে প্রকৃতি নেই, নেই শ্বাস-প্রশ্বাসের মত অবস্থা।
শোন! এই খাঁচা থেকে সূর্যগ্রহণ দেখছি! কিন্তু একি? আকাশটাকেও দখল করে ঐদিকে আর একটা খাঁচার লোহা উঠে যাচ্ছে।
শুনেছি ১০০ বছরে আর দেখা যাবে না এই গ্রহণ--সেখানেও ডিস্টার্ব।
তোমাদের বাসার পশ্চিম দিকের বেলকুনিটাতে একটু যাও তো--যাওনা! কি দেখতে পেলে আকাশের দিকে তাকিয়ে। এখানেও খাঁচা খাঁচার ভিতর থেকে ভাল লাগছে না আর হাঁফিয়ে গেছি বেশ। শোন আগামী সোমবার গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি। আপাতত রাখি হ্যা!
এই পথ যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হতো, তুমি বলতো! তুমিই বল না না তুমিই বল।
মাঝপথে লম্বা বাস ভ্রমনের পর রিকসায় গ্রামের পথে ধাবমান। অতি প্রত্যুষে -------- মনে পড়ে যাচ্ছি কান্ট্রি রোড গানটি। কিযে ভাল লাগছে---------। এই পথ যদি না শেষ হয় তবে কেমন হতো তুমি বলতো-----------
চারিদিকে ঝাঁপসা সবুজের হাতছানি, কিছুক্ষণ পরই আলোয় ঝলমল করবে চারিদিক! পৌষের কাছাকাছি রোদ মাখা সেইদিন ফিরে আর আসবে কি কখনও---------
গ্রামের কাউয়ারাও কি ভদ্র আর সামাজিক! অভিবাদন জানাতে ভোলেনি
ওগো শুনেছো? এখন আমি আমাদের সেই ফেলে যাওয়া মধুমাখা বাড়িতে। মনে আছে ঐ পথের বাঁক টাতে তুমি আর আমি কতনা খেলাধূলায় দিন কাটিয়েছি।
মনে পড়ে যাচ্ছে--------পুরনো সেই দিনের কথা ভুলবি কিরে হায়/ ও সে চোখের দেখা---------
পরিচিত/ অপরিচিত গাছগুলোর হাড় কাঁপছে। তাদের চেহারায় মলিনতার ছাপ। আমার মনও আজ ভাল নেই। এই মেঘলা দিনে একলা ঘরে থাকেনাতো মন, কাছে যাবো কবে পাবো----------
বৃষ্টিতে হিমশীতল পানিতে ভিজে ঠান্ডায় গাছগুলো পরস্পরকে আলিঙ্গনের চেষ্টা। কাছে পাওয়ার জন্য ব্যাকুল।
তেমনি এখন তোমাকে কাছে পেতে---। একদিন বৃষ্টিতে বিকেলে, থাকবেনা সাথে কোন ছাতা----------।
এখন আমি গ্রামের সেই দুই নম্বর বাঁকে। দরবেশ নানার পুকুর পাড়ে। এখানে দু'টো গাছ ছিলো।
একটি জাম গাছ আর একটি বিশাল কড়ই গাছ। যা মগডালে উঠে দিতাম ঝাঁপ পুকুরে। তোমার ভিতু ঢাকা আড়চোখ আমার দিকে--কখন ভেঙ্গে ফেলি হাতপা। একদিন ঠিকই ভেঙ্গেছিল একটি হাত। আমার চাইতে তুমিই কষ্ট পেয়েছিলে বেশী।
আজ দু'জনার দুটি পথ ওগো ----------------
এপাশ-ওপাশ তাকিয়ে দেখছি গ্রামটিকে।
কিন্তু কেন জানি একটু অচেনা লাগছে। খালি বাড়ির উপর বাড়ি। আচ্ছা তুমিও কি বদলে গেছো? বড় দেখতে ইচ্ছে করছে। কতদিন দেখিনি তোমায়, তবু মনে পড়ে তব মুখখানি------
একদিকে দূরন্ত শৈশব আর অন্যদিকে জীবনযুদ্ধে বাঁচার জন্য লড়াই।
মোরগ-মুরগী দুটোও সুখে আছে। নেচে গেয়ে হেসে-খেলে বেরুচ্ছে তারা।
আচ্ছা বিয়ে-সাদি যে করতে বলছো। কিন্তু চারিদিকে যে হারে কাচ্চা-বাচ্চা দেখা যাচ্ছে। একটা জন্ম দিয়ে তারপরের বছর তার কোলে আর একটা (বাচ্চার মা-বাপের কাছে মাপ চাচ্ছি)।
খাইচে আমারে- বিয়ের রুচিটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
তাছাড়া পকেটে দশটা (ধার করা পয়সার ছবি) পয়সাও নেই, যে তোমাকে বিয়ে করবো। কবেযে গাইতে পারবো---এটা কি ২৪৪১১৩৯ **** তুমি শুনতে কি পাচ্ছো। দশবার বার রং নাম্বার পেরিয়ে তোমাকে পেয়েছি।
গাছ হলেও তুমি লতা হয়ে ফ্রি ফ্রি জড়িয়ে থাকতা।
শুনছো তো? আমাদের চালতা গাছে চালতা ধরেছে। তুমি না চালতার আচার পছন্দ করো। কি লাগবে না চালতা? তাহলে বিয়ে করতেই বলছো?
কেন জানি একা একা লাগছে! ঠিক ঐ গাছের কবুতরটার মত। বসে আছি পথ চেয়ে ফাগুনের গান গেয়ে, যত ভাবি ভুলে যাবো ভোলা তবু যায়না---
ঈদের দিনে পিচ্ছি পাচ্ছারা কি আনন্দে আছে আর আমি কালো পাঞ্জাবী পড়ে শোক পালন করছি
দেশী কুত্তাটাও মনের দু:খে ধানগাছ খাচ্ছে
মনের দু:খে মনে হচ্ছে হাটের মাঝে বোতলের মতো তেঁতুল গাছে রশি দিয়ে ঝুলি--
আমি সাত সাগর পাড়ি দিয়ে যেন সৈকতে পড়ে আছি-----
পুকুর পাড়ে বসে আছি। পুকুরে কচুরিপানার ফুল দেখা যায়--কি সুন্দর লাগছে।
জীবনটা কেন যে ফুলের মত সুন্দর হয়না। পুকুর পাড়ে ঢেঁকিশাকের গাছ দেখে মনটা আবার খারাপ হয়ে গেল। জীবনটা কি তাহলে ঢেঁকিগাছ হয়ে গেল।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল। বসে আছি রাতের পানে।
অনাগত ভবিষ্যতের দিকে।
এরপর সন্ধ্যা এবং তারপর। তার আর পর নেই নেই কোন ঠিকানা---
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।