,মানুষ প্রতিদিন বাচে না , প্রতিদিন বেচে যায় , মারা যায় একদিন
আজ নিজের চোখে একটা অপরাধ দেখলাম । এটা অপরাধ কিনা আমি ভালো ভাবে বলতে পারতেসি নাহ । জানি যে বাংলাদেশে নিয়মিত এরকম আরো কত ঘটনা যে ঘটছে । কিন্তু নিজ চোখে এরকম একটা ঘটনা । খুব খারাপ লাগল ঐ ঘটনা টা দেখে ।
আজ সকাল সকাল উঠে কোচিং এ গেলাম । প্রতিদিনের মত সব কিছুই এক রকম যাচ্ছিলো । কোচিং এর সামনে দেখি যে দুই জন মহিলা আর তিন টা বাচ্চা দারায়া আসে । আমি দেইখা মনে করলাম যে কিছু একটা হবে আমার কি । পরে কোচিং এর ভিতরে রুমে গিয়া বসলাম ।
কিছু ক্ষন পর শুনলাম যে বাহিরে কে যেনো চিল্লা চিল্লি করছে আমি বললাম যে চল দেখে আসি হইসে । বাহিরে গিয়ে দেখি একটা বাচ্চা কাদদেসে । আমি আগে চিন্তা করলাম যে আগে বুঝে নেই যে কাহিনি কি হইসে । পরে দেখি যে একজন মহিলা জোড় করে তার বাচ্চাকে বলতেসে যে যা মা ওনি তোর নতুন মা । তখন কাহিনি টা অল্প অল্প বুঝতে পারলাম ।
পরে দেখি যে বাচ্চা বলতেসে যে “নাহ মা এইটা কিভাবে হয় তুমিই তো আমার মা উনি আবার কে” । মা বলে চুপ আর একটা কথা বলবি নাহ বললে একবারে কাইট্টা ফালামু চুপচাপ উনার সাথে চইলা যা । বাচ্চা টা দেখতে ফুটফুটে একবারে কচি খুব সুন্দর । তারপর আরেকটা মহিলা বলে যে চল মা চল । আমার সাথে চল আমিতোমার নতুন ।
বাচ্চা টা বলে যে নাহ তুমি আমার হইতে পারো নাহ । পরে কাহিনি টা বুঝলাম আসলে কি হইসিলো , আমার মনে হয় যে তুমিও কাহিনি টা বুঝতে পারতেসো । কাহিনি টা হচ্ছে যে বাচ্চা টা কে তার মা আরেকজনের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছিলো । আচ্ছা কাহিনি টাকে আগানো যাক । এর পরে দেখি যে বাচ্চা টা কাদতেছিল অনেক ।
পরে মা পায়ের থেকে যুতা বের করে মেয়েটাকে মারতেছিল । আমি কিছুক্ষন দারায়া ছিলাম চিন্তা করলাম কিছু একটা করব । পরে দেখি যে বাচ্চা টাকে জোর করে রিক্সা দিয়ে উঠায়া নিয়ে যাইতেসিলো আর বাচ্চাটা তখন বলতেসিলো যে মা আমি তোমাকে ছাইরা থাকতে পারুম নাহ .. এই কথাটা শুনার পরে আমার অনেক খারাপ লাগতেসিলো । মহিলা ঐ মারে টাকা দিয়া গেলো । পরে একটু সামনে যাবার পরেই বাচ্চাটা লাফ দিয়া রাস্তার মদ্ধ্যে পরল ।
ওর মা সাথে সাথে দৌড় দিছিলো গিয়া মেয়েটারে ধইরা বলল যে যা উনার সাথে চুল ধইরা অনেক্ষন টান টানি করল । মেয়েটা তারপরো কাদতেসিলো আর বলতেসিলো যে মা আমি তোমার সাথে থাকুম । পরে দেখি যে আরো অনেক জোরে জোরে মারতেসে । পরে আমি দ্রুত আমার কোচিং এর এক টা বড় ভাইকে গিয়া বললাম যে ভাইয়ে চলেন গিয়া থামাই পরে উনি আর আমি আর আমার কোচিং এর সব ছেলেরা একসাথে গেলাম । যাবার পরে মহিলা কে থামাইলাম ।
কিন্তু মহিলা তো আর আমাদে বাধ্য নয় উনি আমাদের কে বলল যে “তোমাদের কথায় কি আমার জীবন চলব আমার মেয়েরে আমি যা ইচ্ছা তাই করুম” আমরা আর তখন কিছু বলতে পারলাম নাহ । আমরা পরে চলে আসলাম .. পরে কোচিং এ বসে বসে আমি শুধু একটা জিনিস চিন্তা করলাম যে একজন মায়ের প্রতি তার বাচ্চার কতটা টান । আমি লক্ষ্য করেছিলাম যে যখন মা টা চলে আসতেসিলো তার চোখ থেকেও পানি পরতেসিলো । কোন দিনই কোন মা তার বাচ্চাকে ছেরে থাকতে পারে নাহ । আর বাচ্চা টার কথা কি বলব , যখন বাচ্চা টা দেখছিলো যে তার মা তাকে অন্য এক জনের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছিলো কিন্তু তার পরো সে বলুছে যে আমি তোমারে ছারা থাকতে পারুম নাহ ।
এই কথা টা শুনে খুব খারাপ লাগল আমার । এক বার চিন্তা করে দেখো । এমন যদি কোন দিন হয় যে তোমার মা তোমাকে সামনা সামনি বলে গেলো যে আমি একবারে চলে যাচ্ছি আর কোন্দিন দেখা হবে নাহ বাবা/মা আমার ... এই কথা টা বললে তোমার কি রকম লাগবে ঐ সময় । পৃথীবিতে মা এর চেয়ে আপন কেও নেই । তবে যখন অর্থের প্রয়োজন হয় তখন কিসের ভালোবাসা কিসের বন্ধুত্ত ।
এরকম অনেকেই মনে করে কিন্তু জীবনে যদি বন্ধুত্ত আর ভালোবাসাই নাহ থাকে তাহলে এই অর্থ দিয়ে কি লাভ ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।