আমরা যদি না জাগি মা, কেমনে সকাল হবে...
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ নেওয়ার পর জামাতিদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা এখন টেরোরিজম টাস্কফোর্সের মাধ্যমে দেশের "অখণ্ডতা" রক্ষা হবে কিনা তা নিয়ে আপাতদৃষ্টিতে চিন্তিত হয়ে পড়েছে। আসলে চিন্তিত না, চিন্তিত হওয়ার ভান করছে। ঘটনা কিন্তু অন্য। "জামাতি অখণ্ডতা" (রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা নয়) ইস্যু দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগকে ঢেকে কিংবা স্তিমিত করে দেওয়া যায় না- তা নিয়ে নিশ্চয়ই গবেষণা চলছে মগবাজারে।
সামনে আমরা এরকম আরো কিছু বায়বীয় ইস্যুর দেখাও ইনশাল্লাহ পাবো।
এদিকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর একশ্রেণীর ছুপা জামাতি কাম সুশীলও প্রলাপ বকা শুরু করেছে। বিশেষ করে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি সংসদে ওঠার পর তারা আকারে-ইঙ্গিতে এমন একটা আবহ তৈরি করার চেষ্টা করছে যে, বাংলাদেশের মানুষ আবার অন্ধকার যুগে ফিরে গেছে। মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না ভয়ে। দিনেদুপুরে ডাকাতি, রাহাজানি, লুটপাট, ধর্ষণ চলছে...
বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ ছিল সবসময়ই।
এমনকি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও। তখনও আমরা দেখেছি, হোয়াইট কলার ক্রিমিনালরা 'কালা জাহাঙ্গীরের' কাজগুলো সেরেছে। ব্যক্তিগতভাবে আওয়ামী লীগের আমি কঠোর সমালোচক। কিন্তু মন্ত্রিসভা গঠনসহ (বেয়াইপর্ব ছাড়া) আরো নানা বিষয়ে এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের পারফরম্যান্স আমাকে আশাবাদী করে তুলছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি সংসদে তোলার পর আমি আওয়ামী লীগের প্রায় ভক্ত হয়ে যাচ্ছি।
কিন্তু সংসদে প্রসঙ্গটি ওঠার পরপরই ছুপা জামাতি কাম সুশীলদের 'সব গেল রে' টাইপ প্রচারণার এই ধরনগুলো কিন্তু ভালো মনে হচ্ছে না।
এইসব আবহসঙ্গীত নির্মাতার কাছ থেকে সাবধান থাকুন। তাদেরকে চোখে চোখে রাখুন। গতিবিধি লক্ষ্য করুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।