লোকটার সঙ্গে খুব একট ভালো পরিচয় ছিল তা কিন্তু না.. এক্ই অফিসে কাজ করি.. সে সুবাদে রোজই দেখা হয... ক্যান্টিনে হয়তো একই টেবিলে বসে খাওয়া হয় দুপুরের ভাত কিংবা অসময়ের চা... আর তার ফাকে ফাকে খ্ণস্থায়ী আড্ডা... বুধবার আমার কাজ ঘুমানো.. সাপ্তাহিক ছুটির দিন তাই.. দিনটা কোনো কাজে না লাগিয়ে আমি ঘুমাই.. আজ সকালেও রুটিনের কোনো বিকল্প আমার কাছে ছিল না। সকালে ঘুম থেকে উঠে.. নাস্তা খেয়ে.. রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে ঘণ্টাখানেক বিশ্বময় ঘোরার পর আবার বিছানায় ফিরে যাই। ৩টার দিকে ভাত খেয়ে ভাবলাম একটু বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় যোগ দেই... আড্ডা মানে ফেসবুক.. কিন্তু যদি জানতাম কি ভয়ানক এক দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে.. তাহলে হযতো আর... সহকর্মী রাব্বানীর কবিতা আমি খুবই পছন্দ করি... পেজের একেবারে ওপরেই রাব্বানীর একটি কবিতা.. পরতে গিয়ে বিরাট হোচট... আরে দুর এইসব কি বলে রাব্বানী.. এ কি করে হয়.... আরেকটু নিচে আরো দুই সহকর্মী রনি... ও রানার আরো দুটি লেখা... ঠিক একই কথা... আমি কি এখনো ঘুমাচ্ছি?? তাহলে... ভাত খাওয়া? খাওয়ার টেবিলে আম্মার সঙ্গে কথা বলা.. সবই কি স্বপ্ন?? ভেতর থেকে শব্দ দিলাম.. ব্যাটা জেগে ওঠ্.. এটা হতে পারে না.. একেবারেই হতে পারে না.. জলজ্যান্ত একটা লোক.. আরে দুর.. সব ভুল.. এটা হতে পারেই না... জোরে মাথায় ঝাকাই... না.. জেগেই তো আছি.. তাহলে.. সত্যি... এবার শরীর কাপছে... কি বোর্ডে আমার আঙুল চলেও চলছে না.. চোখের সামনেই একটা হাসিমাখা মুখ ভেসে উঠছে বারবার... কালকেও যে লোকটাকে দেখলাম মগ্ন হয়ে কাজ করছে তার টেবিলে.. আজ সকালে সে নেই.. চলে গেছে না ফেরার দেশে.... কবি আপন মাহমুদ.... দুর বাল.. চোখে আবার কি হলো??
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।