হারাতে চাই নিঃষীম আধারে,ডুবে যেতে চাই নিকশ কালোয়....যদি তোমায় না পাই আলোয়.........
আমার টুকরো কাগজে লেখা আরেক টুকরো নিঃসঙ্গতা আরেকবার ভাগাভাগি করার ইচ্ছা হল!!![/sb
আজকাল মাথার মধ্যে সঙ্গাহীন সব প্রলাপ মৃত্যুর চিবুক বেয়ে গড়গড়িয়ে নামতে থাকে। আমার সেই প্রতিটা অকাল মানবিক প্রলাপে আমি শুধু তোমার প্রতিচ্ছবির মরিচীকা খুজে পাই।
আমি সুখের সংজ্ঞা শিখেছিলাম -
আমার দিকে তোমার অনুকম্পাময় ক্ষণিক মদু অম্ল চাউনি দেখে,কোন অজানা খামখেয়ালির বশে মধ্যরাতেরো অনেক পরের কোন এক সময় আমাকে ফোনে তোমার হেয়ালিময় কণ্ঠ শোনানো তে, যে কন্ঠ শুনিয়ে তোমার সাথে সাথে ঘুমিয়ে যাওয়া আমায় জাগিয়ে রাখতো পুরোটা বাকি থাকা রাত।
আমি অধিকার কি বুঝতে শিখেছিলাম-
আমার প্রতিটা বিষয়ে তোমার কড়া শাষণ দেখে। আমার তীব্র আকাঙ্খার প্রতি টা চাওয়াকে তোমার চোখের পলকে উড়িয়ে দেয়া দেখে!
আনন্দে বিস্মৃত হতে অভ্যস্ত করালে তোমার শত ব্যাস্তময় সময়ের কিছুটা আমায় ধার দিয়ে দিয়ে।
আমার চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়া অসঙ্খ্য ফোটা ফোটা টুকরোতে ছিল শুধু তোমারই না পাওয়া কোন কষ্টের গল্প।
তুমি কখনো কি আমাকে বুঝতে চেষ্টা করেছো????
কখনো কি আমার সেই আদিগন্ত শূন্যতার রেশ তোমার মনে বিন্দু পরিমান আচড় ও কাটেনি যা তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে আমি বেমালুম ভুলে যেতাম?
ঝুম ঝুম বর্ষায় তোমাকে আমার সাথে একবার মাত্র ভেজানোর সেই গোপন ইচ্ছাটুকু কি অণুক্ষণের জন্যে হলেও তোমার কাছে খোলস ছেড়ে বের হয়নি??
এই প্রতিটা প্রশ্নের জবাব আমার জানা আছে। শুধু অসহায় ভাঙ্গা একটা মন নিয়ে আমি কাতর হয়ে সব না জানার ভাণ ধরে পড়ে থাকি। কারন?? এই না জানার ভণিতা যদি তোমার মধ্যে বিন্দু পরিমাণ ভাল লাগার স্বস্তি দেয়,সেই স্বস্তিতেই আমার সিন্ধুসম সুখের অস্তি্ত্ব লুকিয়ে আছে।
ইদানিং খুব অদ্ভুত একটা নেশা টের পাই আমি।
আমাদের বাড়ির একদম পাশে বেশ কিছুটা খোলা জাগা একদম কাশফুলে ফুলে ভরে গেছে। সাদা সাদা মায়াগুলিকে ঘরে এনে ফুলদানিতে সাজিয়ে রাখার শিল্পকে (!) মা ইদানিং পাগলামির পর্যায়ে দেখা আরম্ভ করেছে!এমন কাশ আগেও বেশ কয়েকবার এনে আমার পড়ার টেবিলের পাশে রেখেছি। পড়তে পড়তে হঠাত সেদিকে তাকালে ক্ষণিকের জন্যে ভ্রম হয় যে বই সমেত কোন কাশবনে চলে এসেছি!ন্যানো সেকেন্ডের সেই ভ্রান্তি যে কি হর্ষময়! বেশ অনেকদিন পার করে গত পরশু আবার তেমন কিছু শুভ্র কাশ আমার পড়ার টেবিলটার পাশে জায়গা করে নিয়েছে। সেই সাথে জায়গা করে নিয়েছে খাল কেটে কুমির আনার মত এক ক্রান্তিকাল! বুনো কাশের উড়াউড়িতে আমার পূরো ঘর এখন কাশময়। আমার মা বিরক্তির শেষ পর্যায়ে এসে হুমকি দিয়ে গেছে যে এই জঞ্জাল না ফেলে আসা পর্যন্ত আমার ঘরে ঝাট দেয়ায় ধর্মঘট চলবে।
আসলে ঝাট দিয়ে লাভ ও নেই,ঝাট দেয়ার মিনিট দশেকের মধ্যে পূরো মেঝে আবার কাশে কাশে ঠাসা!
এর আগে যতবার এমন কাশফুল এনে রেখেছি,কোনাবার এমন না হয়ে এবার কেন হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে মা বল্লেন,কাশে পাক ধরেছে! পাক ধরা কাশ এমন তূলোর মত উড়োউড়ি করে ছড়াছড়ি হবেই!
বেশ মজা পেলাম মার কথায়। প্রত্যেকটা কাশের দন্ড আস্তে আস্তে ন্যাড়া হয়ে যাচ্ছে একেকটা বিচ্ছিন্ন কাশতন্তূর আত্নহননে!
কাল হঠাৎ সেই কাশদণ্ডের জাগায় নিজেকে আবিষ্কার করলাম!তোমার দিনের পর দিন অবহেলায় আমার একেকটা ইচ্ছার মৃত্যু আমাকে ওই ন্যাড়া কাশের দণ্ড বানিয়ে দিয়েছে। প্রবল শূন্যতার অন্ধকারে আমার প্রত্যেকটা বোধ ডুবে যাচ্ছ। কোন এক অস্তি্ত্ববোধহীন কোমার দিকে আমি ধিরে ধিরে এগিয়ে যাচ্ছি।
আজকাল আর পাক লাগা কাশফুলগুলোর দিকে তাকাতে চাই না আমি.......
তাকাতে পারি না!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।