জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যখন হত্যা করা হয় তখন বিধাতাই হয়তো জাতিকে আজ মুক্তি দেওয়ার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। হ্যা তিনি দেশ পরিচালনার যোগ্যতম ব্যক্তি হিসেবেই আজ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
আমি অতো মেধাবি নই। রাজনীতিবিদরা কী বলেন বা করেন তা সব সময় বুঝিও না। তবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর জননেত্রী শেখ হাসিনার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য ও সিদ্ধান্ত আমাকে বিমোহিত করেছে।
১- বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঘড়ির সময় এক ঘন্টা এগিয়ে আনা হয়েছে। এই ধরনের ব্যবস্থা ইউরোপের কয়েকটি দেশে আছে। ঘড়ির কাঁটা ঘুরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত একটি যুগান্তকারী ঘটনা। ইউরোপের মানুষের তুলনায় আমাদের দেশের মানুষ অনেক কম শিক্ষিত, অর্ধেকের বেশী বলতে গেলে নিরক্ষর। সেই দেশে এই ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত সত্যিই ছিলো একটি সাহসী পদক্ষেপ।
যতদূর শুনেছি শেখ হাসিনার নির্দেশেই এ বিষয়ে কর্মকর্তারা ভাবতে শুরু করেছিলেন।
২- ঐ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা কর্মচারীদের হাফ হাতা শার্ট পরে অফিসে আসতে বলেছিলেন। অনেকের কাছে (শেখ হাসিনা বিরোধীদের কাছে অবশ্যই) শেখ হাসিনার ঐ আহবান হাস্যকর মনে হলেও আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। এ থেকে প্রমাণিত হয়েছে, জননেত্রী দেশের সম্পদ কীভাবে বাঁচানো যায় তা নিয়ে সারাক্ষণ চিন্তাভাবনার মধ্যে থাকেন।
৩- ঢাকা শহরের ট্রাফিক ঝামেলা এড়াতে শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো বললেন- স্কুল ও অফিস টাইম আলাদা হতে হবে।
জানি না বিষয়টি কার্যকর হয়েছে কিনা বা কতদূর হয়েছে। তবে এটি কিন্তু একেবারেই শেখ হাসিনার মস্তিস্কপ্রসূত চিন্তা। যারা শেখ হাসিনার বিরোধিতা শুধুমাত্র রাজনীতির কারণে করেন, তাদেরকে ভেবে দেখার আহবান জানাচ্ছি।
৪- সম্প্রতি মালদ্বীপের পক্ষ থেকে মাটি কেনার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বাংলাদেশকে। উষ্ণায়নের কারণে সাগরের উচ্চতা বেড়ে গেলে মালদ্বীপ তলিয়ে যেতে পারে- এই আশঙ্কা থেকে দেশটি সর্বশেষ এই সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছে যে, বাইরে থেকে মাটি এনে দ্বীপদেশটিকে উঁচু করতে হবে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে মালদ্বীপের মানুষের প্রতিবাদ জানানোর জন্য পানির নীচে মন্ত্রীসভার বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যাই হোক সেটা এ লেখার বিষয়বস্তু নয়। মালদ্বীপের প্রস্তাব পেয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মাটি তোমাদের দেবো। তবে আমাদের নদীগুলো ড্রেজিং করে সে মাটি তোমাদের নিতে হবে। চমৎকার! চমৎকার! এই না হলে দেশের প্রধানমন্ত্রী সত্যিই শেখ হাসিনা প্রমাণ করলেন তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা।
একঢিলে দুই পাখি। একটি সাহায্যপ্রার্থী দেশকে সাহায্য করাও হবে, আবার উজানে পানি আটকে দেয়ায় মৃতপ্রায় নদীগুলো আবার খরস্রোতা হবে। বাহ বাহ ধন্য তুমি ধন্য হে শেখ হাসিনা।
পুনশ্চ : যারা শুধুমাত্র বিরোধিতার কারণে বর্তমান সরকারের বিরোধিতা করেন তাদের আরো একটি বিষয় ভেবে দেখার আহবান জানাচ্ছি। লক্ষ্য করুন, শেখ হাসিনা ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার সময় বা তার আগে যেরকম বেশী কথা বলা বা দুই একটা উল্টোপাল্টা মন্তব্য করে বিতর্কিত হয়েছিলেন, গত ৯ মাসে কিন্তু সেরকম একটি কথাও তার মুখ থেকে শোনা যায় নি।
পিলখানা হত্যাকান্ডের পর সেনাকুঞ্জে বিক্ষুব্ধ তরুণ সেনা কর্মকর্তাদের তোপের মুখে পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দিয়েছেন তিনি তা যারা ঐ কথোপকথোনের টেপ ইন্টারনেটের বদৌলতে শুনেছিলেন, তারা জানেন। পার্লামেন্টে কথা বলার ধরনেও তার পরিবর্তন এসেছে। এখন তিনি বিরোধী দলকে অনর্থক খোঁচাও কম মারছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।