যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
আমরা ঢাকাবাসী। আমরা হাঁটি না। আমরা বসে বসে সর্বত্র দৌড়াই। দশ মিটার দূরে যাবার জন্য আমাদের রিকশা লাগবে। এরোপ্লেন হলে আরো ভালো হয়।
কারণ আমাদের পা নাই। থাকলেও পচে গেছে। আমাদের গাড়ী আছে। আমরা হাগতে গেলেও গাড়ীতে চড়ি। দুইরোড পরের দোকানে যেতে আমাদের গাড়ী লাগে।
তিনরোডের পরের মার্কেটে যেতে আমাদের রিকশা লাগে। চাররোড পরের অফিসে যেতে বাস লাগে। বাসা বা অফিসের গেট থেকে বের হতেই আমাদের পায়ে কুষ্ঠ লাগে। আমরা আর হাঁটতে পারি না। সেখানেই দাড়িয়ে থাকি।
নইলে পাশের মোড় পর্যন্ত কোনমতে আমরা হেঁটে যেতে পারি। তারপরে বাস, সিএনজি, রিকশার জন্য আমরা এতিমের মত অপেক্ষা করি। আমাদের চেহারা দেখলে মনে হয় আমাদের বাড়ী পাঁচ হাজার মাইল দূরে। এই রিকশাটা অথবা বাসটা অথবা সিএনজিটা না পেলে আমরা মরে যাবো। এতিম হয়ে যাবো।
আমাদের চেহারায় আমাদের পঙ্গুত্ব ভীষণ স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে।
কিন্তু এবার কই যাবেন? আল্লা আপনাদের হাঁটার জন্য এমন ব্যবস্থা করেছে আপনিই শুধু না আপনার চোদ্দগুষ্টি হাঁটতে বাধ্য। জ্যামের মধ্যে যানবাহনে বসে থাকতে থাকতে আপনাদের পাছায় কুষ্ঠ হয়ে গেছে। এটা আল্লাই আপনাদের জন্য করেছে। গুলশান থেকে মিরপুর পর্যন্ত আজ হেঁটেই যেতে বাধ্য হলাম।
আল্লার অভিশাপ লাগছে! হাঁটবি না সালা! তোর চোদ্দগুষ্টি হাঁটবে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।