এভাবেই ভালোবাসা পুড়ে পুড়ে যায়..
প্রীতিলতার কোরিডোরে অথবা হুডখোলা বারান্দার
রেলিঙ ঘেঁসে কতো রাত নিদ্রাহীন কেটে গ্যাছে -
মেহদী উৎসবে।
যার হাতে ছিল অসীম দক্ষতা এ কারুকার্যের ;
তার মুখ আর দেখা যেতনা ,
তবু হলের যে কোনায়ই থাকনা কেন --
এড়াতে পারতোনা মেয়েদের উৎপাত ।
আমিই কেবল নির্বিকার চেয়ে ভাবতাম --
"উফ ,মাগো মেয়েগুলোর কি ধৈর্য্য ;"
এমন ধৈর্য্যের রাত আমারো একদিন এলো ,
দু'হাত ভরে বোনেরা এঁকে দিল নানা আল্পনা ।
কমিউনিটি সেন্টারের ঝলশানো আলোয় জ্বলজ্বল করে উঠলো
মেহেদী রাঙ্গানো হাত ;
ওপক্ষের সুধীজন কেবল উল্টে -পাল্টে যাচাই করে নিল --
কনের হাত এতোটাই ফর্সা কিনা ।
সে পরীক্ষায় লেটার মার্কস পেয়ে উত্তীর্ন হলাম
নতুন বাড়ীতে ,নতুন বিছানায় --নতুন আঙ্গিনায় ।
এমন আয়োজন মোড়ানো দুটি হাত কেমন অবলীলায়
ঝড়াতে লাগলো তার জৌলশ।
ক্রমশ এ হাতে উঠে এলো লাল শাকের ডাট ,
কখনোবা লতির কালো স্পর্শে কলুশিত হলো নম্রতা।
কখনোবা অফিসের ভাড়ী ফাইল ,মার্কেটিঙের স্যাম্পল ;
সারাদিন চোলতে থাকা কলমের অবাধ বিচরণ ।
অনেকগুলো বছর কেটে গেল স্রোতস্বীনি নদীর মতোন ;
সেই কাঁচা রঙ আজ আর নেই .।
নিতান্ত অবহেলায় পড়ে থাকা দুটো হাত কোলে নিয়ে বোন বোললো --
চলো ,"তোমায় মেহদী পড়িয়ে দেই ।
"
"যাতো যালাসনে,অমন ঠায় বসে থাকতে আমি পাড়বোনা "।
ঐ দিন আর নেই আপু --বলেই ;
পাঁচ মিনিটে সাজিয়ে দিল হাত দুখানা ।
লেকের ঠান্ডা জলেই ধুয়ে ফেললাম সুনিপূণ কারুকার্য ,
পূর্নিমার প্রথম আলো আছড়ে পড়লো ঘোলা জলে ;
সেই জল চোমকে দিল আমায় .।
প্রায় দশ বছর পর পুনরায় নিজেকে দেখা --
মুগ্ধ দু'চোখে শুধু চেয়ে রইলাম ;
যেন অপরিচিত অন্য রমনীর মেহেদী জড়ানো -
ভুবন ভোলানো রাঙ্গা দুটো হাত ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।