ভালবাসি প্রাণ প্রিয় মা ও জন্মভূমিকে
প্রথম পর্ব-http://www.somewhereinblog.net/blog/bipul_roniblog/28872925
যখন জিজ্ঞেস করল-আপনার কোন সম্পর্ক টম্পর্ক আছে কিনা? তখন মেয়েটি বলল, আসলে আমি এটা এতক্ষন ধরে বলতে চাচ্ছি। হ্যাঁ আমার একটা সম্পর্ক আছে। মেহেদী তো আকাশ থেকে পড়ল। যে মেয়ে পাত্রর সাথে দেখা করার জন্য চলে এল, আর এখন বলছে তার একটা সম্পর্ক আছে। মেহেদী উত্তেজিত ভঙ্গিতে বলল, তো আপনি এখানে আসলেন কেন? এটা ঠিক করেন নাই।
জীবনে কখনো এ ধরনের ভুল করবেন না। আপনি কি জানেন, আমাদের বিয়ে প্রায় ঠিক ঠাক, তাছাড়া আপনাদের ফ্যামিলি আর আমাদের ফ্যামিলির সম্পর্কটা অত্যন্ত নিকটে, পাশাপাশি গ্রাম। কি কারণে সম্পর্কটা নষ্ট হল, মানুষ জানাজানি হলে আমাদের দু'পরিবারের কি অবস্থা হবে? আপনি আপনার ফ্যামিলি'র কাউকে বিষয়টা বলতে পারতেন, বলতেন আমার একটা স্বপ্ন আছে। আমি অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারব না। মেয়েটি বলল, আসলে আমার বিয়ের জন্য যত জায়গা দিয়েই আসছে, সব জায়গাই আমি পড়ালেখা শেষ করি, বাড়িটা আগে কর, এগুলো বলে পিছিয়েছি।
মেহেদী বলল, ছেলেটা কি করে? মেয়েটি বলল, ছেলেটি মাত্র মাষ্টার্স শেষ করেছে, চাকরী এখনও পায় নাই, তাই আমি কোন সাহসে ফ্যামিলির কাছে বলি। বললে তো তাকে দেখতে চাবে।
কি আর করা, মেহেদী জানতে চাইলো এখন কি করব? মেয়েটি বলল, আপনি বলবেন আমাকে পছন্দ হয়নি। মেহেদী বলল, আমাদের সবাই আপনাকে পছন্দ করেছে, সো আমি মিথ্যা কথাটা কি করে বলি? যাক দেখি কি করা যায় এই বলে রুম থেকে বেরিয়ে এল।
বাইরে এসে দেখে দু'পক্ষের ফ্যামিলিই রেডি ছেলে-মেয়েকে বরণ করে নেওয়ার।
ইতিমধ্যে মেহেদী'র এক ভগ্নিপতি এসে জিজ্ঞেস করল, কি খবর? মেহেদী বলল, সমস্যা আছে, এখন কিছু বলা যাবে না, তো মনে রাখেন এখানে বিয়ে হচ্ছে না। সাথে সাথে ভগ্নিপতি মেহেদী'র আব্বাকে ইশারায় বলে দিল। এরিমধ্যে মধ্যস্থতাকারি আন্কেল মেয়েকে জিজ্ঞাসা করতে গেলে মেয়ে রাজি আছে কিনা? মেয়েতো রাজি না, সে এখন বিয়ে বসবে না, তার সামনে অনার্স ফাইনাল, প্রায় এক দেড় ঘন্টা আন্কেল, মেয়ের মা, ভাই বুঝাল। যাক মেহেদী ও তার ফ্যামিলি এক ঘন্টা পর ওখান থেকে চলে গেল।
তখনও মেয়েকে বুঝানোর কাজ চলছে।
রাতে আন্কেল মেহেদী'র আব্বাকে ফোন করল মেয়েতো রাজী, তোমরা আত্মীয়তা করলে আমি তিন দিনের মধ্যে সম্পন্ন করে দিতে পারি। তখনই মেহেদী'র আব্বা বলল, দেখুন মেহেদীর সাথে মেয়ের কি কথা হয়েছে, আপনি তা মেহেদীর কাছ থেকে শুনুন। এই বলে মেহেদীকে ফোনটা দিয়ে দিল। মেহেদী চেয়েছিল, মূল ঘটনাটা না বলতে, কিন্তু এখন আর না বলে পারছে না। তাই আন্কেলকে বলল, দেখুন উনারা মেয়েকে জোর করে রাজি করেছে বলে আমার বিশ্বাস, দেখুন জোর করে কোন সম্পর্ক করা যায় না।
আসলে মূল সমস্যাটা হচ্ছে, মেয়ের একটা সম্পর্ক আছে, যেটা সে তার ফ্যামিলির কাছে বলতে পারছে না। আন্কেল বলল, আরে এ রকম অনেক সম্পর্ক থাকে, বিয়ের পর ঠিক হয়ে যায়। মেহেদী বলল, না আন্কেল জোর করে কিছু করা ঠিক হবে না। আন্কেল বলল, আচ্ছা ঠিক আছে আমি দেখছি।
চলবে -------------------
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।