আজ প্রিন্সেস ডায়ানার ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯৭-এ প্যারিসের সুড়ঙ্গে ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু বরণ করেন তিনি। ডায়ানাকে নিয়ে বের হয়েছে একটি বই। বইটা বেরিয়ে গিয়েছে বৃহস্পতিবার ‘দ্য প্রিন্সেস ডায়ানা কনস্পিরেসি’। লেখক অ্যালেন পাওয়ার তাতে সরাসরি দাবি করেছেন, রাজপরিবারের নির্দেশেই ডায়ানাকে খুন করেছিল বৃটিশ সেনার বিশেষ বাহিনী এবং এ ব্যাপারে তার কাছে অকাট্য প্রমাণ রয়েছে।
অ্যালেনের বক্তব্য, সে দিন প্যারিসে ডায়ানাদের গাড়িকে ধাওয়া করা পাপারাৎজিদের দলে ছিলেন বৃটিশ গুপ্তচর সংস্থা এমআই-৬-এর এক ছদ্মবেশী অফিসার। তিনিই বৈদ্যুতিক বন্দুক দিয়ে ডায়ানার মার্সিডিজের চালককে শক দেন। যার ফলে ওই দুর্ঘটনা। কিন্তু কেন? লেখকের দাবি, ডায়ানা যাতে তার বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুলতে না পারেন, সেই কারণেই তাকে খুন করানো হয়েছিল। শুধু বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় ডায়ানার গল্প।
প্রকাশ করা হয়েছে চলচিত্রের মাধ্যমেও।
একজন বলছেন, “(ছবিটার) প্রতিটা দৃশ্যে আমার মনে হবে, এটা ভুল, এটা মিথ্যে, এটা ঠিক নয়। ” পাক শল্যচিকিৎসক হাসনাত খান। যার সঙ্গে প্রিন্সেস ডায়ানার বছর দুয়েকের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গল্প ঘিরেই তৈরি হয়েছে ‘ডায়ানা’ ছবিটা। প্রিন্সেসকে নিয়ে অগুনতি বই বেরোলেও সরাসরি তার জীবন অবলম্বনে পূর্ণদৈর্ঘ্যের সিনেমা সম্ভবত এই প্রথম।
নামভূমিকায় নাওমি ওয়াটস। সেপ্টেম্বরে ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা। আর সেই ছবি নিয়েই চূড়ান্ত বিরক্ত ৫৪ বছরের হাসনাত। তিনি বলছেন, তার আর ডায়ানার সম্পর্ক নিয়ে যা গুজব ছড়িয়েছিল, শুধু তার ওপর ভিত্তি করেই ছবিটা তৈরি হয়েছে। যে কারণে ছবিটা দেখতে গেলে প্রতিটা দৃশ্যই তার মনে হবে মিথ্যে।
তাই হাসনাত ঠিক করেছেন, ‘ডায়ানা’কে দেখবেন না।
২০০১ সালে কেট স্নেলের লেখা একটি বই, ‘ডায়ানা: হার লাস্ট লাভ’-এর কাহিনী অবলম্বনেই এই ছবি। হাসনাত জানিয়েছেন, নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে কেট স্নেল তার সঙ্গে দেখা করে বইটি লেখার কথা জানিয়েছিলেন। তার আত্মীয়-বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার অনুমতিও চেয়েছিলেন। কিন্তু হাসনাতের দাবি, তিনি লেখিকাকে বলে দিয়েছিলেন, “আমি কারও ঠিকানা বা ফোন নম্বর দেব না।
আপনি নিজে যেতে চাইলে আমার বাধা দেয়ার কিছু নেই।
তা হলে ঠিক কী রকম ছিল তার আর ডায়ানার সম্পর্কটা? হাসনাতের বক্তব্য, “আমি ডাক্তার, ডায়ানা প্রিন্সেস এ রকম ছোট-বড় ভেদ ছিল না আমাদের মধ্যে। আমরা বন্ধু ছিলাম। দু’টো মানুষের যেমন বন্ধুত্ব থাকে, তেমন।
ডাক্তার জানিয়েছেন, ছবিটি মুক্তি পাওয়ার সময় একটি দাতব্য হাসপাতালের অর্থ সংগ্রহের কাজে পাঞ্জাবে যাবেন তিনি।
ওই হাসপাতালটি তার ও ডায়ানার স্বপ্ন ছিল।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।