একজন ইউনুস খান বেঁচে থাকতে চান গণ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং উদ্যেগ গ্রহণের মাঝে।
ব্যবহৃত কিংবা নতুন কাপড় থেকে শুরু করে কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, কিংবা ফটোগ্রাফি সবকিছু নিলামের মাধ্যমে বিক্রির জন্য সবচে জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে ই-বে ডট কম। আর্থিক মূল্য নির্ধারণ সম্ভব, এমন কোনো কিছুই বাদ যায় না জনপ্রিয় এই সাইটের নিলাম তালিকা থেকে। তবে, ৬১ বছর বয়সী এক বৃদ্ধাকে নিলামে তুলে দেয়ার ঘটনা বোধহয় ইবে-তে এই প্রথম। সম্প্রতি দশ বছর বয়সী এক মেয়ে তার দাদীকে বিক্রির জন্য নিলামে তুলে দেয়ার এই ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাজ্যে।
খবর ডেইলি মেইলের।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, নিতান্ত দুষ্টুমি করেই দাদীকে ইবে-তে তুলে দেয় দশ বছর বয়সী মেয়ে জো। তবে অবাক করা ব্যাপার হলো, এই দুষ্টুমি করে নিলামে তুলে দেয়া বৃদ্ধার দাম তিন দিনে ৩১ হাজার ৮ শত ৬০ ডলারে (বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ২২ লাখ ৩০ হাজার ২ শত টাকা) পৌঁছেছে!
নিলামে বিড করার সময় ক্রেতারা জানতেনও না যে মহিলা সত্যি সত্যিই বিক্রি হবেন না। তিনদিন ঐ পোস্টটি অনলাইনে থাকার পর ইবে কর্তৃপক্ষের নজরে আসে এই ব্যাপারটি। সাইটের নীতিমালা অনুসারে কোনো মানুষকে নিলামে তোলা যায় না।
আর তাই তৎক্ষণাৎ পোস্টটি সরিয়ে দেয়া হয়।
ডেইলি মেইল জানিয়েছে, জো’র বাবা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমার মায়ের সঙ্গে জো-এর সম্পর্ক যথেষ্টই ভালো, আমি তাকে প্রায়ই মা'র সঙ্গে গল্প করতে দেখি। তবে, মা’কে ইবে-তে তুলে দেয়াটা নিতান্ত দুষ্টুমি ছাড়া আর কিছুই নয়। খালি ঘরে ওকে দিয়ে ছোট খাটো কাজ করানোয় বিরক্ত হয়েই আসলে জো সম্ভবত তার দাদীর দেখাশোনার জন্য একটি লোক খুঁজতে চেয়েছিলো। তার উদ্দেশ্য দাদীকে বিক্রি করে দেয়া ছিলো না।
এদিকে যাকে নিয়ে এতো আলোড়ন, তিনি কিন্তু মোটেই বিব্রত কিংবা মর্মাহত নন। বরং দিব্যি খোশমেজাজে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, তার নাতনীর ‘কৌতুক’ তিনি বুঝতে পেরেছেন এবং এ জন্যেই কিছু মনে করেননি। উল্টো, তিনি ব্যাপারটাকে উপভোগ করেছেন বলেই জানিয়েছেন।
অঘটনঘটন পটিয়সী জো জানিয়েছে যে, সে ল্যাপটপে ইন্টারনেট ব্যবহার করছিলো আর তার দাদী পাশে বসে প্রলাপ বকছিলেন এবং তাকে বিরক্ত করছিলেন।
তখনই হঠাৎ দাদীকে ইবে-এর নিলামে তুলে দেয়ার দুষ্টুবুদ্ধিটি তার মাথায় আসে।
জো আরো বলেছে, ‘আমি জানতাম না তার দাম এতো হবে! ভেবেছিলাম, হয়তো সর্বোচ্চ ৯৯ পাউন্ড টাউণ্ড উঠতে পারে। বিশ হাজারের পাউন্ডেরও বেশি দেখে আমি রীতিমতো অবাক হয়েছি! অবশ্য দাদী বলছেন- তার মূল্য কয়েক মিলিয়নের কম নয়। ’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।