স্বপ্নবাজ
শুরুটা যেভাবেই হোক। শুরুতো হয়েছে? লাভ ক্ষতি হিসেবের বালাই নেই। কীটনাশকের ভয়ও নেই। ধাক্কা ধাক্কি নেই। একটু বুঝে সুঝে পথ অতিক্রম করলেই হলো।
আহবান জানাতেও বাধা, সেখানেও অভিযোগ নেই। যুদ্ধ চলছেই। চলবে। অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এতো আয়োজন নয়। সুখের জন্য? না সেটাও নয়।
একগাদা প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়া বিরক্তিকর মনে হতে পারে। কেন যেন বিরক্তিটাই ভালো লেগে যায়। কি জানি। গল্প লিখবো? শুরুটা হয়। অসমাপ্তই থেকে যায়।
কবিতা? ওরে বাপস-ডর করে। দেশের কথা? স্বাধীনতার কথা? ভাষা আন্দোলনের কথা? সেকেলে সেকেলে ভাব প্রকাশ পায়। বর্তমান নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে কেন যে বারবার ফিরে যেতে মন চায়-সেটাও মাঝে মাঝে উঁকি মারে। গুতোগুতিও কম সহ্য করতে হয় না। এখন আর আহত করে না।
তবুও ছুটে চলা। গন্তব্যহীন সে যাত্রা।
শর্ত জুড়ে দিয়ে এখন অপেক্ষায়। কথা রাখা না রাখা তাদের বিষয়। কিন্তু দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
বিশ্বাসের পাল্লাটা দিনকে দিন গাঁঢ় হচ্ছে। এটা বলতে কোন দ্বিধা নেই। প্রেম বিষয়ক কথাগুলো কত সহজেই বলা যায়। বলিও। আমি একা নই।
সবাই। কম। বেশী। একজন নারী। অন্যজন পুরুষ।
আগ্রহটা এমনিতেই বেড়ে যায়। আর দেশপ্রেম? শিকেয় তোলা আছে। মাঝে মাঝে নেড়ে চেড়ে দেখা। দারুণ অনুভূতি। গেল ২৬ মার্চে এ প্রজন্মের ক’জনকে দেখলাম।
না না অবাক হইনি। মাথায় লাল সবুজের পতাকা বাঁধা। গায়ে গেঞ্জি। বাংলাদেশের মানচিত্র। রক্তাক্ত ইতিহাসের কিছু ছবি।
পেট্রোল ভর্তি করে বাইক নিয়ে সর্বোচ্চ গতিতে ছুটে চলার প্রতিযোগিতা। হুম, এটাই শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর নতুন পদ্ধতি। দুর্গাপুজাতে দেখলাম, পিচ্চি ছেলেরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে বাংলা মদ গিলে টালমাটাল অবস্থায় আছে। অন্য দৃষ্টিতে দেখার কারণ নাই। আনন্দ।
নিছক আনন্দ। দশ হাজার মোমবাতি জ্বালিয়ে শহীদদের স্মরণ করার কথাটা ফলাও করে পত্রিকায় প্রকাশ পায়। বাস্তবে জ্বালানোও হয়। কবে যে শুনতে হবে শহীদদের স্মরণে গলা ভেজানো হচ্ছে। চাই উপলক্ষ।
পাইলেই হইলো। ব্যস। খারাপ লাগার কোন মানে নেই। অতীত নিয়ে পড়ে থাকা বোকামী। নির্বুদ্ধিতার প্রকাশ।
বর্তমানটাকে সাজাতে হবে। কেমন করে সাজানো হবে? কিছু কিছু অতীত যে, বারে বারে ফিরে আসে। অতীত থেকে শিক্ষা নাও। আরে মশাই অতীত কেন? অতীত, অতীতই। কি আর পাবার আছে? কিচ্ছু নেই।
ছেঁড়া জালে কি আর মাছ ধরা যায়? ঐটা কোন বীরত্বগাঁথা ইতিহাস হলো? দু’চারটি এটম বোমা ব্যবহার করলেইতো ল্যাঠা চুকে যেত। গেরিলা যুদ্ধ। সম্মুখ যুদ্ধ। সম্ভ্রম হারানো মা, বোনদের কথা। স্বজন হারানোর বেদনা।
বাপের বা মায়ের ভাই অথবা বোন। আমার কে? মনে রাখার প্রয়োজন নেই। তাইতো কেন মনে রাখতে হবে?
জন্ম থেকে বাংলায় কথা বলছি, সেইটা কেমনে এলো, কেমনে হলো-জানার দরকার নেই। মাঝে মাঝেতো এইসব বিষয় নিয়ে কথা উঠে। তাতেই যথেষ্ট।
স্বপ্ন দেখো। স্বপ্ন বোনো। দেখা যাক কতদিন আর এই স্বপ্ন দেখার অভিযান চলে? কতদিন আর বোকা হয়ে থাকে? দাফনের চিত্রটা আরো করুণ। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান তাঁরা। তারপরও তাঁদের সহ্য করতে হয়।
বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর সাথে সন্ধি করতে হয়। মরলে ব্যথা পাই। জীবদ্দশায়?
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কি হবে? হবে না। কেন হবে না? বিচার করলে যে সামনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ হতে পারে। তার চাইতে সেই ভালো মুলো ঝুলিয়ে কার্য হাসিল করা।
চলুক না কটা বছর?
আমরা সেটা দেখার অপেক্ষায়। কারণ সামনের পথ আরো কঠিন হবে...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।