আমি কিছুই লিখব না।
২০১০ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যে 'মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট' (মেশিনে পাঠযোগ্য) চালুর আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় এ আশ্বাস দেওয়া হয় বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন কমিটির সভাপতি আব্দুস সালাম।
২০১০ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যে বিশ্বের সব দেশকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট চালু করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইসিএও)।
সরকার এ সময়ের মধ্যে নতুন ধরনের এ পাসপোর্ট চালু করতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের নাগরিকরা কোনও দেশে ভ্রমণ করতে পারবে না।
পাসপোর্ট অধিদপ্তর থেকে বর্তমানে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পাসপোর্ট ইস্যু করা হচ্ছে। এতে তথ্য হাতে লিখে ছবি ও স্বাক্ষর পেস্ট করার কারণে জালিয়াতির সুযোগ থাকে।
এছাড়া ব্যক্তিগত বিবরণী সম্বলিত কোনও ডাটাবেজ না থাকায় একাধিক পাসপোর্ট করার প্রবণতাও দেখা যায়। এ কারণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশী পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতাও কমছে।
বাংলাদেশে ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে পাসপোর্ট আধুনিকায়নের কার্যক্রম শুরু হয়।
২০০৪ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মেশিনে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট, ভিসা ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রবর্তনের কার্যক্রম হাতে নেয়। তবে তা বাস্তবায়নের কাজ পরবর্তী সময়ে আর এগোয়নি।
দেশে বর্তমানে এক কোটি ২০ লাখের বেশি ম্যানুয়াল পাসপোর্টধারী রয়েছেন।
সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর আব্দুস সালাম সাংবাদিকদের বলেন, "পাসপোর্ট ও বহিরাগমন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, ২০১০ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যে তারা মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট চালু করতে সক্ষম হবেন। "
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে কমিটির সভাপতি জানান, সরকার ইতোমধ্যে এই ধরনের পাসপোর্ট প্রকল্পের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে।
এতে এই ধরনের কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ২৩টি প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতা করছে। আগামী ২৭ অক্টোবর দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
সরকার আইসিএও'র সময়সীমা পূরণে ব্যর্থ হবে এবং দেড়শ'র বেশি দেশে বাংলাদেশীরা প্রবেশ করতে পারবে নাÑ কিছু গণমাধ্যমে স¤প্রতি এমন খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবারের বৈঠকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট চালু নিয়ে আলোচনা হয়।
আইসিএও'র দিকনির্দেশনা অনুসারে, বাংলাদেশ সরকারকে ২০১০ সালের এপ্রিল মাস থেকে কাগজের তৈরি পাসপোর্ট ইস্যু করা বন্ধ করতেই হবে।
অবশ্য ২০১০ সালের এপ্রিল মাসের পর কাগজের তৈরি পাসপোর্টও বৈধ থাকবে বলে জানিয়েছেন আব্দুস সালাম।
"তবে নির্ধারিত সময়সীমার পরে নতুন করে কাগজের তৈরি কোনও পাসপোর্ট ইস্যু করা যাবে না", বলেন তিনি।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন, কমিটির সদস্য সানজিদা খাতুন, নূরুল ইসলাম সুজন ও মুজিবুল হক চুন্নু উপস্থিত ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।