নোয়াখালীর উপকূলীয় বিছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া উপজেলার সোনাদিয়া ও জাহাজমারা ইউনিয়নে আজ ভোর থেকে বিকাল পর্যন্ত পৃথক বিক্ষুদ্ধ জনতার গণপিটুনীতে ৪জন হয়েছে। এ নিয়ে  দুই দিনে ৬জন নিহত হয়েছে। আজ ভোরে জলদসু্য আশরাফ বাহিনী প্রধান আশ্রাফ, দুপুর তার সহযোগী কেফায়েত উল্যাহ ও বিকেলে ওসমান ও সারোয়ার সহ ৪জন নিহত হয়। পুলিশের বিশেষ অভিযানে এ পর্যন্ত ৪ মহিলাসহ ১৫ জনকে গ্রপ্তোর করেছে পুলিশ। এদিকে পুলিশের অভিযানে জলদসু্যদের সাথে বন্ধুক যুদ্ধ ও গণপিটুনিতে ৬জন নিহতের খবরে ওই সকল এলাকায় আনন্দ উত্সব ও শস্তি দেখা দিয়েছে।

 

পুলিশের বিশেষ অভিযান চলাকালে দস্যু বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে পালানোর সময় বিক্ষুব্ধ জনতার রোষানলে পড়ে এবং গণপিটুনীতে নিহত হয়। নিহত জলদস্যু ওসমান ও সারোয়ারের লাশ বিকেলে জাহাজমারা ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর রাস্তার ওপর পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

 

পুলিশ এ সকল স্থান থেকে এ পর্যন্ত ৩টি এলজি, ৩০ রাউন্ড বন্দুকের গুলি, ২টি রামদা, ৩টি বন্দুক ও ২৩টি রকেট বোমাসহ বিপুল অস্ত্র উদ্ধার করেছে।

 

পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান পিপিএম জানান, নোয়াখালীর উপকূলীয় হাতিয়ার চরাঞ্চলসহ জেলাকে ডাকাত ও জলদসু্য মুক্ত না করা পর্যন্ত সাধরণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ অভিযান চলছে এবং অব্যাহত থাকবে।

 

 

উল্লেখ্য, হাতিয়া'য় পুলিশের বিশেষ অভিযানে এ নিয়ে গত ২দিনে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে ইউনুস বাহিনীর প্রধান ইউনুস ও গণপিটুনীতে আলতাফ, আশরাফ, কেফায়েত, ওসমান ও সারোয়ারসহ ৫ জন নিহত হয়। অভিযান ও গণপিটুনীতে মোট ৬ জন নিহত হয়েছে।

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে ৭ বার

Bookmark it!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।