এছাড়া বৃষ্টি ও অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে উপজেলার নিঝুম দ্বীপ প্লাবিত হয়েছে। দ্বীপের বেশির ভাগ ঘরবাড়িতে পানি উঠায় জনদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
হাতিয়া ও কোম্পনীগঞ্জ উপজেলায় বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দমকা হাওয়া বইছে। সেইসঙ্গে থেমে থেমে বৃষ্টি।
নোয়াখালী সদর থেকে হাতিয়ায় যাওয়ার সরকারি সি-ট্রাকসহ সব ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মেঘনা ও বঙ্গোপসাগরে ৩ নম্বর স্থানীয় সংকেত জারি করে মাছধরা নৌকা ও ট্রলারগুলোকে নিরাপদে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহিদুল ইসলাম জানান, ভোর থেকে সেখানে দমকা হাওয়ার সঙ্গে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। মেঘনা নদী উত্তাল থাকায় হাতিয়া থেকে জেলা সদরের সঙ্গে নৌ যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম বিআইডব্লিওটিএ’র সি-ট্রাক বন্ধ রাখা হয়েছে।
এছাড়া ট্রলারে যাত্রী পারাপার বন্ধ রাখতে হাতিয়ার নলচিলা, তমরুদ্দী ও চেয়ারম্যান ঘাটে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
স্বাভাবিকের চেয়ে ৪-৫ ফুট উচ্চতায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করে নিঝুম দ্বীপ প্লাবিত হয়েছে বলেও তিনি জানান।
নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহরাজ উদ্দিন জানিয়েছেন, অস্বাভাবিক জোয়ার ও বৃষ্টিপাতের কারণে দ্বীপের ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লা গ্রাম, মুন্সি গ্রাম, বৌবাজারের অধিকাংশ ঘরবাড়িতে পানি ঢুকেছে।
এতে করে দ্বীপের অন্তত ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে দুর্গতদের ১৮ বস্তা চিড়া দেয়া হয়েছে।
এদিকে কোম্পনীগঞ্জ উপজেলার ইউএনও নাছির উল্লা খান জানান, চর এলাহীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫-৬ ফুট উচ্চতায় জোয়ারের পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সেখানে ঝড়ে কিছু গাছপালা উপড়ে পড়লেও এখনো তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
সকাল থেকে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
বামনী ও ছোটফেণী নদী উত্তাল থাকায় মাছধরা নৌকা ও ট্রলারগুলো তীরে অবস্থান করছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।