আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি। কিস্তি ৪০
৩৯ তম কিস্তিতে কয়েকজনের নাম বাদ পড়েছে। তাদের মধ্যে আমাদের বহুমাত্রিক প্রেমিক ডেইলি স্টারের হাসান জাহিদ তুষার অন্যতম। এখন সংসার করছেন।
ভালো আছেন। তার বাইকের পেছনে কাউকে না কাউকে দেখা যেতো। এখন রিপোর্টিং ও সংসার নিয়ে ব্যস্ত। তবে তার যে সব বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক ছিল তাদের কোনো একজনের সাথে সংসার করা হয়নি।
একই অবস্থান তাদেরই বন্ধু ও এক সময়কার বিএসএস-'র রিপোর্টার নুরুল করিম ভাইয়ের।
পুরো দস্তুর কর্মমুখর জীবনে গিয়ে তার যে বিয়ে করা, সেটিও অবশ্য প্রেমের।
ইত্তেফাকের সাহাবুল হকের প্রেম বিষয়ক গল্প শোনা গেছে। তবে তাকে কারো সাথে পাওয়া যায়নি। ক্যাম্পাস রিপোর্টিংয়ে থাকার শেষের দিকে সুজন মেহেদী প্রেম করতো লাকীর সাথে। এর ইতিবাচক গতিও ছিল।
ওরা এখন সংসার করছে। এক কন্যা সন্তান নিয়ে ভালোই আছে সুজন।
মাসুম আল জাকী সে সময় ছিল অবজারভারে। ওর বউ মুক্তা থাকত মৈত্রী হলে। ও আসত সাংবাদিক সমিতে।
প্রায় আমাদের সবার সাথে আলাপ হতো। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে জাকি ও মুক্তা এখন সংসার করছে। এটাও কোনো অংশে কম আনন্দের খবর না।
যুগান্তরের মুসতাক পুরনো ঢাকায় এক তরুণীকে পছন্দ করতো বলে জানতাম। তবে তারও সেই একই কপাল তাকে তার বিয়ে করা হয়নি।
তবে তার বিয়েটা প্রেমের কিনা সেটি আমি জানার চেষ্টা করিনি।
শিপু যে প্রেম করতো, সেটা আমার জানা ছিল না। শিপু হলো আমার দেখা অসাধারণ একটা ছেলে। আমি ওকে খুব পছন্দ করি। এর সবচেয়ে বড় কারণ হলো আমার প্রতি ওর অনুরাগ।
শিপুর প্রেমের খবর জেনেছি, ওর বিয়ের বছর খানেক আগে। ওকে আমার নিজের ছোট ভাইয়ের মত দেখি বলে, আমার কাছে ও বড় হয়নি কখনো। এখনো না। তাই ওর এ দিকটার খবর বেমালুম ভুলে ছিলাম।
নিজের কথা আমি বলতি চাইছলাম না।
কিন্তু এত বেশি ফোন পেয়েছি যে তা না বললেই নয়। আমার প্রেম বিষয়ক বড় কোনো গল্প নেই। এর সবচেয়ে বড় কারণ আমি স্ট্রেইট কাট কথা বলি্ । পুতু পুতু টাইপের আলাপের ধারে কাছে যাই না। তবুও এর ভেতর দিয়ে বেশ কয়েকজন তরুণী আমাকে পছন্দ করতেন।
তাদের মধ্য থেকে একজন নিয়ে আমি সংসারী। দু সন্তানের জন্ক হিসাবে ভালোই তো আছি।
আমার প্রেম ছিল মূলত লেদার কলেজে। আমার অনুজ শিপু যেটাকে চামড়া পট্টি বলতে পছন্দ করে। তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই।
তবে আমার সে সময়কার প্রিয় মানুষটিকে সময় দেয়া হতো কম। এখনো এমনটা ঘটে। ও আসত সাংবাদিক সমিতিতে। অথবা মধুতে। আমরা এর বাইরে ক্যাম্পাসের কোনায় কানায় চিপায় চাপায় আড্ডায় অভ্যস্ত ছিলাম না।
কারণ এটাকে আমি বরাবরই এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেছি।
লীনার সাথে আমার প্রেমের বয়স কম। আমরা অল্প সময়ের মধ্যে বিয়ে করেছিলাম। অনেকটা ইঁচড়ে পাকা টাইপের ব্যাপার। তবে আমার আসলে প্রেম করার মত সময় ছির না।
সারাদিন নিজেকে ব্যস্ত রাখটা আমার একটা স্বভাব। যদিও কোনো মেয়ের এমন ছেলে পছন্দ হবার কথা নয়। কিন্তু আমাকে তারপরেও কিছু তরুণী তাদের মনে কোনায় জায়গা দিযেছেন। তাদের কাছে আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সীমা নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।