আমার কিছু চাওয়ার ছিলো চাওয়া হলো না যমুনার খাদের পাশে দাড়িয়ে শুধু দেখেই গেলাম ভাসিয়ে নেওয়া স্বপ্নসম গৃহস্থলি খরস্রতায় মিলিয়ে গেলো পূজোর ফুল, মেলার পুতুল শিবের পাথর, খেলনা গাড়ি; বললাম তারে সব তো নিলি,আমায় নিবি ? ফিরিয়ে দিলো সে স্বর্বগ্রাসী, জ্যান্ত পাথর সে নেবে না ফিরেই এলাম শূণ্য হাতে যৌবনের নদীর কাছে শৈশব কৈশোর দু'টোই বেঁচে, আমার কিছু চাওয়ার ছিলো চাওয়া হলো না | এগিয়ে গেলাম প্রায় বাস্তুহারা নদী থেকে নারীর কাছে সেও দেখি অন্তরভেদী চক্ষু মেলে চেয়েই ছিলো তার কাছেই যাবো এটাই যেন অদৃষ্ট লেখা, খন্ডাবে কে ? বিস্ময়ে দেখি মুগ্ধ চোখে তার ও মাঝে চলে নিত্য স্রোতের খেলা, চুল গ্রীবা জঙ্ঘা সর্বোস্ব নিয়ে সে এক দেবীর মতো ই নিপূন হাতে কোন এক অনমনীয় পাথর কেঁটে গড়া ; তাকে দেখে ভুলেই গেলাম পূজোর ফুল, মেলার পুতুল বোধের থেকে হারিয়ে গেলো শৈশব কৈশোর শিবের পাথর, ধূলোর পথের খেলনা গাড়ি; কোথায় চার আনার মাটির পুতুল আর কোথায় দেবীতুল্য নারী| মনতো বলে নারী র কাছে সব ই আছে ফিরিয়ে দেবার চেয়েই দেখো তবু চাইতে গিয়ে হাত কেঁপে যায় জন্ম থেকেই খোলস মোড়া শামুক স্বভাব এক দিনে কি বদলানো যায় তাই না চাইতেই পেলাম এক কিনারাহীন আগুন নদী হাত পুড়িয়ে মন জ্বালিয়ে উড়ালাম সে ছাই অনেক সময় হঠাত্ দেখি আমি সেই শূণ্য হাতেই শৈশব কৈশোরের সে স্মৃতি টা ও নেই যা হারিয়েছিলাম যমুনার জলে যৌবনের নদীর কাছে ! আমি তাই নারী কেও চিনি সেও যমুনার মত ই সর্বগ্রাসী স্রোতস্বিনী |
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।