আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টিকে থাকাটাই এখন কঠিন

এখন কি করবে বাংলাদেশ? আশা ছিল ট্রফি জেতার। যদিও সেই আশা পুরোপুরি নিরাশায় পরিণত হয়নি। কিন্তু উদ্বোধনী ম্যাচ হেরে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের এখন টিকে থাকাটাই কঠিন হয়ে পড়ল। গতকাল কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশ ০-২ গোলে হেরে যায় নেপালের কাছে। গ্রুপটা কঠিন হওয়াতে গতকাল বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচটি তাই অনেকটা ফাইনালে রূপান্তরিত হয়েছিল।

কেননা যারা জিতবে তাদের সেমির পথটা ভালোভাবে পরিষ্কার হয়ে যাবে। না, এই সুযোগটা নিতে পারল না এমিলিরা। নেপাল জিতে শেষ চারের পথে পা বাড়িয়ে রাখল। ইনজুরির কারণে উদ্বোধনী ম্যাচ নিয়ে মামুনুলদের নিয়ে অনেকে টেনশনে থাকলেও সবার আশা করছিলেন বাংলাদেশই জিতবে। জয়ের পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে থাকলেও নেপালিরা কাল জয়ের শপথ নিয়েই মাঠে নেমেছিল।

তাছাড়া সাফ গেমসে দুবার স্বর্ণজয়ের কৃতিত্ব থাকলেও সাফ ফুটবলে শিরোপা তাদের কাছে অধরা থেকে গেছে। তাই তারা এবার নিজেদের মাটিতে সুযোগ হাত ছাড়া করতে চাচ্ছে না।

দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ ও ফুটবলারদের সুযোগ সুবিধা সবই দেওয়া হয়েছে। টুর্নামেন্টের আগে নেপাল সরকারের একটি ঘোষণা ফুটবলারদের আরও উজ্জীবিত করে তোলে। দেশটির কিংবদন্তি ফুটবলার গনেশ থাপা ঘোষণা দেন, সাফে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে সরকার প্রতিটি খেলোয়াড়কে কাঠমান্ডুতে নির্মিত আধুনিক অ্যাপার্টমেন্ট উপহার দেবে।

শুধু তাই নয় অবসর নেওয়ার পর ফুটবলারদের ১০ হাজার রুপি করে আজীবন পেনশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

একদিকে নিজস্ব মাঠের সুবিধা তারপর আবার উপহার ঘোষণা। সব মিলিয়ে নেপাল কাল উজ্জীবিত হয়ে মাঠে নামে। অন্যদিকে যুদ্ধে নামার সব প্রস্তুতি নিয়েও একই ইনজুরি বাংলাদেশকে হতাশায় পেয়ে বসে। তারপর আবার কোচ ক্রুইফের আন্ডারডগের উক্তি বাকি মনোবলটাও ভেঙে দেয় এমিলিদের।

এ কথা ঠিক উদ্বোধনী ম্যাচ হারলেও বাংলাদেশের এখনও সেমিতে খেলার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি। কিন্তু এত কঠিন পথে হাঁটা বলা যায়। পরবর্তী ম্যাচই লড়তে হবে ভারতের বিপক্ষে। এরপর ৫ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের সঙ্গে দেখা। দুই ম্যাচ জিতলেই বাংলাদেশের আবার শিরোপার স্বপ্ন জেগে উঠবে।

কিন্তু প্রথম হারার পর হতাশায় এমিলিরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কিনা সেটাই দেখার বিষয়। ফুটবলাররা এখনও আশাবাদী, কিন্তু ফুটবল এতটাই আতঙ্কে রূপ নিয়েছে যে এখন ভালো কিছু আশা করাটা যেন অন্যায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গতকাল শুরু থেকেই নেপাল আক্রমনমুখী ছিল। বারবার হামলা চালিয়ে বাংলাদেশের রক্ষণভাগ তছনছ করে ফেলে। এ সময় ক্রুইফের শিষ্যদের বেশ ক্লান্ত মনে হচ্ছিল।

১৮ মিনিটে ডিফেন্ডারদের ভুলে গোল হজম করতে হয় বাংলাদেশকে। অনিল গুরুং নেপালের পক্ষে প্রথম গোলটি করেন। এরপর ৩১ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান ভরত খাওয়াস।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.