প্রথম ম্যাচ হেরে শিরোপা জয়ের বহু রেকর্ড রয়েছে ফুটবল ইতিহাসে। রয়েছে বাংলাদেশেরও। ১৯৯৯ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। তারপরও ফুটবল দল সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফিরেছিল হাসিমুখে। এবারও একই সমীকরণের মুখে দাঁড়িয়ে লোডডিক ক্রুইফের শিষ্যরা।
প্রথম ম্যাচে নেপালের কাছে হেরে যেমন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ছিটকে পড়ার রাস্তায় উঠে এসেছে দল, তেমনি একই সঙ্গে রয়েছে শিরোপা জয়ের সম্ভাবনাও। তবে সবার আগে টিকে থাকতে হবে আসরে। সেই টিকে থাকার লড়াইয়ে আজকের প্রতিপক্ষ মহা শক্তিধর ভারত। যাদের বিপক্ষে পরিসংখ্যান কখনোই সুখকর নয়। তারপরও আজ জয়ের স্বপ্ন নিয়েই লড়াইয়ে নামছেন জাহিদ হোসেন এমিলি, মো. জাহিদরা বাংলাদেশ সময় পৌনে ৪টায় কাঠমান্ডুর আর্মি মাঠে।
প্রথম ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে আসরের সবচেয়ে বেশি ৬ বারের চ্যাম্পিয়ন ভারত। তাও আবার আত্দঘাতী গোলে। টিকে থাকতে নেপালের বিপক্ষে দুঃসহ স্মৃতি ভুলে ভারতের বিপক্ষে মরণকামড় দিতে প্রস্তুত ক্রুইফ শিষ্যরা, 'কোনো সন্দেহ নেই আসরের ফেবারিট দল ভারত। পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ে কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে তারা।
কিন্তু প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবছি না। আমরা নিজেদের প্রতিই মনোযোগ দিচ্ছি বেশি। কেননা চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে টিকে থাকতে প্রয়োজন ৩ পয়েন্ট। সেটা পেতেই আমরা উদগ্রীব। ফুটবলাররাও জানেন এটাই শেষ সুযোগ।
জয় পেতে পরিশ্রম করতে হবে। সেজন্য প্রস্তুত ফুটবলাররা। ' ভারতের বিপক্ষে জিততে চাইছেন ক্রুইফ। তবে ডাচ কোচের মতে ছয়বারের চ্যাম্পিয়নরা অনেক বেশি ব্যালান্সড, 'ভারত অনেক ব্যালান্সড দল। পাকিস্তানের বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয় পেলেও তাদের রয়েছে বেশ কয়েকজন ভালো মানের ফুটবলার।
' ভারতীয় অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী পর্তুগালের বি ডিভিশনের স্পোর্টিং লিসবনে খেলেন।
নেপালের বিপক্ষে বেঙ্গল টাইগাররা খেলেছিল নিয়মিত অধিনায়ক মামুনুল ইসলামকে ছাড়া। আজকের ম্যাচে এই মিডফিল্ড জেনারেলের খেলার সম্ভাবনা ৫০-৫০। তাই তাকে নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই কোচের, 'মামুনুল আমাদের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ফুটবলার। সে এখনো সুস্থ হয়ে উঠেনি।
তাই নিশ্চিত হতে পারছি না আগামীকাল (আজ) সে খেলবে কি না। তবে মিডফিল্ডার সোহেল রানা সুস্থ হওয়ায় তার খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। ' ভারতকে প্রবল প্রতিপক্ষ মানছেন কোচ। কিন্তু জয়ের চিন্তা ছাড়ছেন না। জয়ের কথা ভাবছেন অধিনায়ক মামুনুলও, 'পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের ম্যাচ দেখেছি।
খেলা দেখে মনে হয়েছে, তাদের হারানো সম্ভব। সবকিছু যদি ঠিকঠাক মতো হয়, অবশ্যই আমরা জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ব। আমি বিশ্বাস করি ভারতকে হারানোর ক্ষমতা রয়েছে আমাদের। ' ১৯৯৯ সালে ভারতকে হারিয়েই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ।
ক্রুইফের মতো ভারতের ডাচ কোচ ভিম কুভারমানসই হালকাভাবে নিচ্ছেন না বাংলাদেশকে, 'নেপালের কাছে হেরে বাংলাদেশ এখন ক্ষুধার্ত বাঘ।
তারা জয়ের জন্যই খেলবে। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশ মোটেই দুর্বল নয়। প্রথম ম্যাচে হয়তো ভালো খেলেনি। তাই বলে আমাদের ছেড়ে কথা বলবে না।
'
বাংলাদেশ ও ভারত দুই প্রতিবেশী এখন পর্যন্ত পরস্পরের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেছে ২৯টি। এর মধ্যে জয়ের পাল্লা ভারতেরই বেশি। তাদের ১৭ জয়ের বিপক্ষে বেঙ্গল টাইগাররা হেসেছে মাত্র ৫ বার। বাকি ৭ ম্যাচ অমীমাংসিত। ভারত গোল করেছে ৪০টি এবং বাংলাদেশ ১৯টি।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় ২-১ গোলে এবং ভারতের ৪-২ গোলে। তবে সবশেষ মুখোমুখিতে ১-০ গোলে জিতেছিল বাংলাদেশ। সেই সাফল্যের পুনরাবৃত্তি হউক আজ, প্রার্থনায় গোটা বাংলাদেশ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।