সর্বশেষ সংসদ নির্বাচন থেকে একটি প্রসন্গ সবসময় আলোচিত। সেটি হলো যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার। বিষয়টিতে লুকানো কিছু গল্পের ইন্গিত পাচ্ছি আমি। পাঠক লক্ষ্য করুন স্বাধীনতা যুদ্ধের আজ প্রায় আটত্রিশ বছর পার হতে চললো তবুও এই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতিকদের জল্পনা কল্পনার মিথ্যাচার সত্যাচারের কোনো শেষ নেই। সম্প্রতি মাননীয় আদালতের রায় হলো প্রয়াত রাস্ট্রপতি শেখ মুজিবর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক।
অন্যদল ক্ষমতায় আসলে আবার কি রায় হয় সেটাও দেখার বিষয়। আমাদের বাজেটে আইন মন্ত্রনালয় প্রস্তাব করেছে বাইশ শত কোটি টাকা যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার কাজ পরিচালনার জন্য। আরো প্রস্তাব আছে এই বিচার কাজের জন্য বিভিন্ন দেশের আইনজীবি এবং গোয়েন্দা ভাড়া করা। যেকারনে এই বিশাল বাজেট। পাশ্চাত্যের বেশ কয়েকটি দেশের রাস্ট্রদূতেরা এই বিচার কাজে খুব আগ্রহী।
প্রকশ্যে মন্তব্য ও করেছে যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ করতে হবে। এখন বিবেচনার বিষয় হল এতগুলি টাকা দেশের বাইরে না পাঠিয়ে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ করলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে। যুদ্ধঅপরাধীরা সমাজের ঘৃণিত অংশ। আমরা যদি সচেতন হই তাহলে এদেরকে ব্য়কট করা খুব সহজ। কম্বোডিয়া সহ আরো দেশ যুদ্ধঅপরাধীদের বিচার করতে গিয়ে পাশ্চাত্যের দেশগুলির পিছনে অগাধ টাকা ব্যয় করে ক্ষান্ত দিচ্ছে।
আমাদের মত দুর্নীতিগ্রস্ত দেশে এই বিপুল অর্থ অপচয় বই কিছুই নয়। তাই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য হিসাবেই এই বিপুল অর্থ অপচয়ের প্রতিবাদ করছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।