ইদানিং খুব ঘাস খাই আর নির্বোধ গরু হয়ে উঠার স্বপ্ন দেখি,বঙদেশে গরুদের জন্য সব লক্ষীই হাত পেতে আছে । রাষ্ট্র ও সমাজযন্ত্র যখন সংকরিত গরুর গোয়াল ।
একা মানুষ কি ভাবে?একা মানুষ মানেটাই বা কি? মানুষ বলতে কি শুধু ৪৮০ টাকার বায়োকেমিক্যাল স্তুপ?
সম্ভবত মানুষ শুধু একটি বিচ্ছিন্ন এন্টিটি নয়, মানুষ বলতেই তার সামাজিক সম্পর্কসমুহের বিশাল তালিকা। তাহলে একা মানুষ কি? কবিতা কি একা মানুষের? জিম মরিসনের লাইট মাই ফায়ার কি সামাজিক মানুষের সৃষ্টি নাকি একা মানুষের?
শংকর থেকে মোহাম্মদপুর রাস্তায় ডিভাইডার নেই। নতুন বসানো হচ্ছে।
জ্যামের প্রচন্ড উতসাহে স্তিতিশীল বিভিন্ন যানবাহন, রিকশায় অসংখ্য কপোত কপোতি ,বাড়ানো ঠোট আর সিউডো সেক্সুয়াল আচরনের পাশে দর্শক হয়ে চায়ের দোকানে চাতে বন ভিজিয়ে খাচ্ছিলাম। সামাজিক সম্পর্করা কখোনো কিভাবে নিজেকে ভয়ের গহ্বরে ফেলে দেয় তা ভেবে আতকে উঠছিলাম। আমি বাজি ধরে বলতে পারি প্রতিটি মানুষ একবার অন্তত ২৪ ঘন্টার বৃত্তীয় পরিক্রমনের মাঝে ভাবতে বাধ্য হয় "i just want to disappear" । ধরনী দ্বিধা হও আমি তন্মধ্যে প্রবেশ করি।
বাবা মা যেভাবে ২৪/৭ ক্লান্তিহীন পাহাড়া দেয়, অথবা প্রেমিকা যেভাবে হাতে সিগারেটের গন্ধ পেলে কেন সে এখনও আমাকে ছেড়ে যায় নি সেটা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে, বন্ধুবান্ধবরা যেভাবে স্ত্রৈণ ট্যাগ লাগিয়ে বাতিল করে দেয়, প্রতিটিবারেই মনে হয় পৃথিবীর মাটি বড় আরাধ্য।
এটাকি মানসিক সুস্থতার লক্ষন যে উধাও হতে চেয়েও পার্থিব দাবার ঘুটি হিসেবে থেকে যাই, কোন হাতি ঘোড়া নয়, ছাপোষা এক ছকের ক্ষমতার সৈনিক।
মাঝে মাঝে চায়ের দোকানের চায়ে ভেজা বনরুটি আর জ্বলন্ত গোল্ডলীফকেই সুখের দেবতা মনে হয়, চায়ের দোকানের নোংরা পরিবেশকেই দেবী আফ্রোদিতির যৌবন ছোয়ায় সবুজ মনে হয়। পালাতে ইচ্ছা করে খুব।
চাতে ভিজে বনরুটি নরম হয়ে পৃথিবীতে অবশিষ্ঠাংশ সুখের আস্বাদ দিয়ে যায়, আর সকল সুখের মতই আলোর গতিতে নি:শেষ হয়ে যায়। গোল্ডলীফের ফিল্টার শুধু অবশিষ্ট থাকে আর আমার ভেতরে পালানোর ছন্দ শাশ্বত হয়ে ফিরে ফিরে আসে।
আমি সদর দরজা পেড়িয়ে নোংরা গলিতে হোচট খেলাম
নিঃশ্বাস চেপে আকুলিবিকুলি খাবি খাওয়া ফুসফুসে পাম্প করে
সজোরে প্রবেশ করলাম সীসা মেশানো বিষবাষ্প আজলা ভরে,
শহরের ব্রাত্য সৌরভ পাশ কাটিয়ে গলির আবাসিক খুপড়ি
সারির আকরিক অশুদ্ধির জানালাগুলির
ওপাশ হতে ভেসে আসা নাগরিক দ্ব্যার্থতার হুংকার কানে মেখে
আবিস্কৃত হলাম রাজপথে
পেড়িয়ে গেলাম পার্ক রেস্তোরার অজস্র কপোত কপোতী মুখোশের
ফাঁপা প্রেমাতুরতার হাস্যকর যাত্রাপালার ট্রাম্পেট মিঊজিককে
রাস্তায় রাস্তায় বাড়ানো শূন্যপাকস্থলীর হাতের বিপরীতে মনুষ্য
সফিস্টিকেশনের বমনার্ত অহংকারের পাশ দিয়ে দৌড়ের সময়
সারা অভ্যন্তর হতে অপমানবীয় আশীর্বাদ শুনলাম প্রত্যাদেশের মত
হাঁপড়ের মত হাপাতে ভাগ্যাহত হতে পাশ কাটালাম সত্যভাষনের
সৌর রোদের সামনে জমা ঘন কৃষ্ণাভ বর্ষণমেঘের আহত মিছিল
সদ্যজাতের পাশে দানব পৃথিবীকে রেখে দৌড়াতে থাকলাম
ফুটপাথের বাস্তবতার মাঝখান দিয়ে
প্রতিবেশে অনেক বিষ ,বিষক্ষয়ের আশায় প্রতিবেশের গাঢ়
বুনোটে দ্রবীভূত হবার আশায় দৌড়ালাম
জীবন্মৃতের ডিকম্পোজড মাংসের মত খসে যাক কবিতারা
শুকিয়ে যাক দারফুরের অনাহারের মত
দৌড়াচ্ছি পথে মিশে যাচ্ছি জৈবনিক কোলাহলে
অসীম উতকেন্দ্রিকতার উপবৃত্তীয় পরিসীমায়;
তোমার বুকে জন্মানো কবিতার কাছ থেকে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।