soroishwarja@yahoo.com
খালিদ আল-হাল্লাবকে সারাটা সকাল নিষ্ঠুর বিচারক দাঁড় করিয়ে রেখেছেন। শেষে রায় দিয়েছেন, যে বাড়িটায় সে ছোটবেলা থেকে আছে সেটা ছেড়ে দিতে হবে। বিচারকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকার অপমান অবশেষে সে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারল। মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত_ জোহরের নামাজের পর কাউকে এ কথাটা বলতে শুনে তার মনটা নরম হল ও আনন্দে ভরে গেল। বাড়ি ফিরে এসে সে একটা কুড়াল ও একটা কোদাল নিল।
মায়ের পায়ের নিচের মাটি খনন করতে লাগল। মা বারান্দায় একটা কাঠের চেয়ারে বসেছিলেন। তার কাতর আর্তনাদ এক মুহূর্তের জন্যও থামছিল না। অনেকণ ধরে সে খোঁড়াখুড়ি করল, কিন্তু ভেজা ভেজা মাটি ছাড়া আর কিছুই পেল না। এক সময় রাগে সে কোদাল ও কুড়াল ছুড়ে ফেলল।
চিনি আর বেশি করে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে মাকে একটা চা দিল। কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘুমের কোলে ঢলে পড়লেন মা। এতণ ধরে খোঁড়া গর্তে সে একটা কম্বল ও দুটো বালিশ রাখল। চেয়ার থেকে মাকে তুলে নিয়ে গর্তে বিছানো কম্বলের ওপর শুইয়ে দিল সে। মা যে চেয়ারটায় বসেছিলেন সেটাতে বসে কান্তিতে হাঁপাতে হাঁপাতে মায়ের খাওয়া বাকি চাটুকু খেল।
তারপর গর্তে ঢুকে সেও মায়ের পাশে শুয়ে পড়ল। মায়ের একটা হাত আঁকড়ে ধরল। কবরের অন্ধকার যাতে দ্রুত নেমে আসে সেই প্রার্থনা করতে করতে সে চোখ বুঁজল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।