নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে অংশ নেয়া তথ্য সংগ্রহকারীরাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে এ পরিচয়পত্র পৌঁছে দেবেন।
“কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে- প্রথম পর্যায়ে বুধবার থেকে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকা ও ঢাকা জেলায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু হবে। ঢাকায় দুই সপ্তাহ চলবে। এরপর পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য জেলায় বিতরণ শুরু হবে। ”
হাতে হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে সংশ্লিষ্টদের বাসায় অবস্থান করার অনুরোধ জানান এ নির্বাচন কমিশনার।
নিজে উপস্থিত থাকতে না পারলে পরিবারের ‘দায়িত্বশীল কেউ’ তা সংগ্রহ করতে পারবেন বলেও মো. শাহনেওয়াজ জানান।
নির্ধারিত সময়ে জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে নিজ থানার নির্বাচন কার্যালয় বা জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে যোগাযোগের পরামর্শ দেন তিনি।
৩১ অক্টোবরের মধ্যে সারাদেশে পরিচয়পত্র বিতরণ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির। এরপরও প্রয়োজন হলে সময় বাড়ানোর কথা ভাববে কমিশন।
“৩১ অক্টোবরের মধ্যেও যারা পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে পারবেন না, তাদের ইসি বা জেলা বা উপজেলা অফিস থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
”
ইসি কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে ভোট দেয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। এছাড়া কোনো নাগরিক সেবা নিতে জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলকও করা হয়নি।
২০০৭ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা কার্যক্রম হাতে নেয়ার সময় ভোটারদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার এই কার্যক্রম শুরু হয়।
বর্তমানে ৯ কোটি ২১ লাখেরও বেশি নাগরিক ভোটার তালিকাভুক্ত। এর মধ্যে গতবছর হালনাগাদের সময় ৭০ লাখের বেশি ভোটার অন্তর্ভুক্ত হন তালিকায়।
আগে বিতরণ না হওয়া ২০ লাখসহ প্রায় ৯০ লাখ ভোটারের হাতে এখনো জাতীয় পরিচয়পত্র পৌঁছেনি।
বর্তমানে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সীরাই জাতীয় পরিচয়পত্র পান। তবে সম্প্রতি সব নাগরিককে জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার বিধান রেখে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন সংশোধন করা হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।