বহিরাগত শ্রমিকের তাণ্ডবে নিঃশেষ হওয়া পোশাক কারখানাকে আবার দাঁড় করাতে চায় স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের মালিকপক্ষ। এমনটাই জানালেন গ্রুপের অন্যতম স্বত্বাধিকারী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশারফ হোসেন। এ জন্য তিনি শ্রমিক, ক্রেতা ও ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহায়তা কামনা করেন।
বিজিএমইএর কার্যালয়ে গতকাল রোববার বিকেলে প্রথম আলোর সঙ্গে একান্ত আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। ঘটনার পর থেকে তাঁর সার্বক্ষণিক সঙ্গী হয়ে আছেন দুই ছেলে।
মোশারফ হোসেন জানান, তিলে তিলে গড়া স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান বৃহস্পতিবার রাতে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি একবারের জন্যও সেই ধ্বংসস্তূপ দেখতে যাননি। টেলিভিশনও দেখেননি। কারণ, এ ঘটনা দেখার মতো মানসিক অবস্থা তাঁর নেই।
মোশারফ হোসেন বলেন, ‘সবকিছুই শেষ হয়ে গেছে।
এখন নতুন করে শুরু করতে হলে আমাকে সুস্থ থাকতে হবে। সেই চেষ্টাই এখন করছি। ’ তিনি বলেন, বহিরাগত শ্রমিকদের দেওয়া আগুনে শুধু তৈরি পোশাক ও গুদামজাত কাঁচামাল মিলিয়ে ৪০০ কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়েছে। এখন ক্রেতাদের কাছে পণ্য রপ্তানি করতে হলে নতুন করে কাঁচামাল আনতে হবে। পুড়ে যাওয়া পোশাক ও কাঁচামাল ব্যাংকের কাছে দায়বদ্ধ ছিল।
এসব কথা বলতে বলতে গলা ধরে আসে মোশারফ হোসেনের। পাশের চেয়ারে বসা ছেলে হাসনাত মোশারফ চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। বলে যান মোশারফ, ব্যাংকের কাছে অনেক টাকার দায় তৈরি হয়ে গেছে। নতুন করে কাঁচামাল আনতে হলে ব্যাংক সহায়তা লাগবে। তাই ব্যাংকের সহায়তা ছাড়া ব্যবসা শুরু করা সম্ভব নয়।
স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের এই ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, এইচএসবিসি, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এনএসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংকের সহায়তায় ব্যবসা পরিচালনা করতেন। তিনি বলেন, ‘ব্যাংক আমাকে পুরোটা ঋণ বা আসল মওকুফ করে দিক, সেই অবাস্তব দাবি করি না। যদি ঋণ মওকুফ করতে হয়, তাহলে ব্যাংকই সমস্যায় পড়বে। আমি চাই, সুদ মওকুফ করে ব্যাংক আমাদের পাশে দাঁড়াক। তাহলেই ঘুরে দাঁড়াতে পারব।
কারণ, এ মুহূর্তে শ্রমিক ও ক্রেতা-দুটিই আমার হাতে আছে, শুধু দরকার ব্যাংকের সহায়তা। ’
মোশারফ হোসেন বলেন, ‘আমি কখনো শ্রমিকদের শ্রমিক হিসেবে নয়, দেখছি পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে। তার পরও এদেরই কয়েকজন হামলাকারীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। তাদের প্রতিহত করতে পারিনি। এটাই আমার দুঃখ।
’
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।