পথের সন্ধানে পথে নেমেছি.........
গত সোমবার অফিসের কাজে বিডিআর গিয়েছিলাম। সেদিন ছিল বিডিআর এর দরবার (বিডিআর বিদ্রোহের পর প্রথম দরবার) যার জন্য ভিতরে ঢোকা যায়নি। গেইট ও ভিতরে ছিল খুব কড়াকড়ি নজরদারি। দায়িত্বে ছিল সেনাবাহিনীর জ্ওয়ানরা। ভিতরে যাব শুনে একজন জওয়ান এগিয়ে আসল এবং কোথায় যাব জানতে চাইল।
বলার পর বল্ল দরবার শেষ হওয়ার পর যার কাছে যাব তার অনুমতি সাপেক্ষে ভিতরে যাওয়া লাগবে। যা হোক আমি আর এতক্ষন অপেক্ষা করিনি।
বিডিআর বিদ্রোহের পর এই প্রথম সেখানে কাজে গিয়েছিলাম। একটা জিনিস আমার কাছে একটু বেমানান এবং কষ্টদায়ক লাগল, গেইটে সেনাবাহিনীর জ্ওয়ান ছাড়া বিডিআর এর কোন জ্ওয়ানকে দেখা গেল না । নিজের কৌতহলের কারনে এদিক সেদিখ খোজে দুইজন বিডিআর জওয়ানকে দেখলাম গেইট রুমের এক কোণায় মলিন এবং লজ্জিত মুখে দাড়িয়ে আছে।
হায়রে .. .. . গর্বিত বিডিআর .. ..নিজেরা নিজ গৃহে পরবাসি। নিজেদেরকে নিজ ঘরে পাহারায় রাখে অন্যরা ।
অবিশ্বাস যে মানুষকে ছোট এবং লজ্জিত করে ওদেরকে দেখে আমার তাই.. ..ই মনে হল। জাতি হিসাবে এই লজ্জা কি শুধুই বিডিআর এর? এই লজ্জা কি আমাদেরকে স্পর্শ্ব করে না? বা করবেনা?
এই অপমান, এই অবিশ্বাস, এই লজ্জার জন্য কি সব বিডিআর সদস্য দায়ী ? এর সাথে কারা কারা জড়িত ? কারা এই লজ্জা এবং এই অপুরণীয় ক্ষতির জন্য দায়ী? দেশের একজন নগণ্য নাগরিক হিসাবে এটা জানার অধিকার আমার আপনার সবারই আছে। আমরা চাই এই জগণ্য ঘটনার সুষ্ট তদন্ত ( ? ) ও বিচার হোক।
বিচারের নামে কোন প্রহসন নয়। যদি তা করা হয়, তবে ইতিহাস একদিন ঠিকই এর মুল্যায়ন করবে।
বিডিআর এর ইতিহাস ও গৌরব আজকের নয়। এই ইতিহাস ও গৌরব দীর্ঘ দিনের। এই গেীরব যেমন শুধইু ওদের নয় তেমনি এখনকার এই লজ্জা শুধু ওদের নয়।
এর দায় ভার জাতি হিসাবে আমাদের উপরও বর্তায়, আমাদেরকেও স্পর্শ্ব করে ও করবে। তাই আসুন ওদের পাশে থেকে ওদের গৌরব ও অহংকার ওদের ফিরিয়ে দেই এবং জাতি হিসাবে আমরা হই গৌরবান্বিত ও সুরক্ষিত।
জয় বাংলাদেশ রাইফেলস, জয় সীমানার অতন্দ্র প্রহরী
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।