হুশিয়ারি :- আমার ব্লগে কেউ সাহিত্য খুইজেন না । ইহা একটি মাকাল পরিবেশনা।
২৬মার্চের ছুটিটা কাজে লাগানোর ধান্দা ছিল কয়েকদিন আগ থেকেই। সেই অনুযায়ি পরিকল্পনা করা হলো। আমাদের টার্গেট ছিল ঐ দিন বগুড়া, মহাস্থানগড় সহ আরো যত ঘুরাঘুরি করা যায় করবো।
ভোর ৬ টার সময় আমরা জায়গামত হাজির হয়ে গেলাম। কয়েকজন লেট করবে এটাই স্বাভাবিক, ফাইনালি সাড়ে ছ’য় টার দিকে মাইক্রো যোগে রওনা দিলাম আমরা ১৩ বন্ধু। আর সমগ্র যাত্রাপথ ছিল আন-লিমিটেড দুষ্টামিতে ভরপুর।
বগুড়া শহরে পৌছালাম সাড়ে এগারটার দিকে। সেখান থেকে মহাস্থানগড় যেতে ১২টা বেজে গেলো।
প্রায় ৫/৬ ফুট চওরা ইটের প্রাচীর দিয়ে মহাস্থানগড়ের বিশাল একটা অংশ ঘেরা আর প্রাচীরের দুরুত্ব কত কিলোমিটার তা আমার জানা নেই। বিশাল এই অংশটুকু ভুমি থেকে প্রায় ৫০/৬০ ফুট উচুতে। এর উপরিভাগ সমতল, আছে বিশাল মাঠ, ক্ষেত, গাছ, ঢিবি। রাস্তার অপর পাশে আছে মহাস্থানগড় যাদুঘর এবং গোবিন্দ ভিটা । ছোট এই যাদুঘরের ভেতরে আছে শত শত বছর (১২০০ - ১৮০০ শতক) আগের বিভিন্ন দেব-দেবী মুর্তি, স্বর্ন-রৌর্প মুদ্র, বাসন-পাত্র, শিলা লিপি, হাতিয়ার, নক্সা করা ইট ইত্যাদি আর বাইরে আছে কামান, ১৮ শতকের তোরন।
এ অংশটুকু দেখার পর রওনা দিলাম ’গোকুল’ নামক জায়গায় বেহুলার বাসর দেখতে। মহাস্থানগড় থেকে মাইক্রো দিয়ে যেতে প্রায় আধ ঘন্টা লাগলো। ’বেহুলার বাসর’ দেখতে ছোট-খাট গোলাকার পাহাড়ের মত। স্থানীয় লোকেরা আঙ্গুল দিয়ে দেখালো ঐটা বেহুলার থাকার ঘর, এইটা রান্না ঘর, এইটা খাওয়ার ঘর (!!)। ’বেহুলার বাসর’ এর উচ্চতা হবে প্রায় ৬/৭ তলা বিল্ডিং এর সমান।
এখান থেকে পুরো এলাকার বিশাল একটা অংশ দেখা যায়।
ভ্রমন স্মৃতি ঃ ২৬ মার্চ ২০০৭ইং, সোমবার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।