কি যে বুঝি তাও বুঝি না।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা
১৯৭১ সালে ২৫মার্চ রাত্রিতে ইপিআরের ওয়্যারলেসের মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা করেন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুৃ শেখ মুজিবুর রহমান। ২৫ মার্চ রাত্রিতে ‘‘অপারেশন সার্চ লাইট ’’ এর মাধ্যমে পাকি¯তানীরা বাঙালি নিধন শুরু করেন।
১. পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠী সমগ্র পাকিস্তানে ব্যবহার্য ভাষা হিসেবে উর্দুকে গ্রহনের প্রস্তাব করে। এ কারনেই বাঙালী জাতি ভাষা সংগ্রামে লিপ্ত হয়।
২.২৪ জুলাই ১৯৪৭ ড. মুহম্মদ শহীদুলাহ দৈনিক আজাদ
পত্রিকায় পাকিস্তানের ভাষা সমস্যা শিরোনামে একটি নিবন্ধে উলেখ করেন যে ‘‘ বিদেশী ভাষা হিসেবে যদি ইংরেজি ভাষা পরিত্যাজ্য করা হয় তাহলে বাংলা হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে উর্দু বিবেচনা করা যেতে পারে।
৩.ডিসেম্বর ১৯৪৭ করাচীতে কেন্দ্রীয় শিামন্ত্রী ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে একটি শিা সম্মেলনে সরকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।
৪.সেপ্টেম্বর ১৯৪৭ মুসলিম লীগ থেকে বের হয়ে এসে
অলি আহাদের নেতৃত্বে ‘‘গণতান্ত্রিক দল’’ দল গঠন করা হয়। এবং ঘোষনা করা হয় য়ে শিার মাধ্যম হবে মাতৃভাষা।
আমাদের মাতৃভাষা বাংলা।
৫.সেপ্টেম্বর ১৯৪৭ বুড়িগঙ্গা নদীতে একটি নৌকার মধ্যে বসে ‘‘যুবলীগ” গঠন করা হয়।
৬.২ সেপ্টেম্বর ১৯৪৭ ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র শিকরা মিলিত হয়ে ‘‘ তমুদ্দিন মজলিশ” নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।
৭.৪ জানুয়ারী ১৯৪৮ সালে ‘‘ছাত্রলীগ” গঠন করা হয়।
৮.২৩ ফেব্র“য়ারী ১৯৪৮ পাকিস্তান গণ পরিষদে প্রথম অধিবেশনে কুমিলার কংগ্রেস সদস্য ‘‘ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত” বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবী উত্থাপান করেন।
পরিষদে এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করা হয়।
৯. ২ মার্চ ১৯৪৮ সালে ‘‘রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ” গঠন করা হয়। আহবায়ক মনোনীত হয় জনাব শামছুল আলম।
১০. ১১ মার্চ ১৯৪৮ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে প্রথম বিােভ মিছিল বের হয়। শেখ মুজিবের নেতৃত্বে এই মিছিল বের হয় এবং তাকে গ্রেফতার করে।
তিনিই প্রথম পাকিস্তানের রাজনৈতিক বন্দী।
১১. ১৯৪৯ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত ১১ মার্চ ‘‘ রাষ্ট্রভাষা দিবস” পালন করা হয়।
১২. ১৯ মার্চ ১৯৪৮ পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল মুহম্মদ আলী জিন্নাহ প্রথম এবং শেষ বারের মত বাংলায় আসেন। ২১ মার্চ ১৯৪৮ রেসকোর্স ময়দানে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উর্দুকেই এবং ২৪ মার্চ ১৯৪৮ কার্জন হলে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে ঘোষনা করে।
১৩. ১৯৫১ সালের ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষা দিবসে ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিনকে আহবায়ক করে ‘‘ বিশ্ব বিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা কর্ম পরিষদ” গঠন করা হয়।
১৪. ২৩ জুন ১৯৪৯ সালে ঢাকার রোজ গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তান ‘‘ মুসলিম আওয়ামী লীগ” গঠন করে। এর প্রথম সভাপতি নির্বাচিত হন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। সাধারন সম্পাদক মনোনীত হয় শামছুল হক। যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মনোনীত হয় শেখ মুজিব।
১৫. ৩১ জানুয়ারী ১৯৫২ মওলানা ভাসানীকে আহবায়ক করে ‘‘সর্ব দলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্ম পরিষদ ” গঠন করা হয়।
এই পরিষদ ২১ ফেব্র“য়ারী ১৯৫২ হরতাল পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন।
১৬. ২১ ফেব্র“য়ারী ১৯৫২ ঢাকায় আইন পরিষদের বাজেট অধিবেশন ছিল বিধায় এই তারিখ বেচে নেওয়া হয়।
১৭. ২০ ফেব্র“য়ারী ঢাকায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
১৮. ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্র“য়ারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গাজীউল হকের সভাপতিত্বে সভা শুরু হয়।
১৯. এক পর্যায়ে আবদুস সামাদ আজাদ ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার ঘোষনা দেন।
এ েেত্র তিনি চার জন করে মিছিল বের করার কথা ঘোষনা করেন।
২০. মিছিল শুরু হলে পুলিশ গুলি চালায় সালাম রফিক জব্বার শফিক সহ অনেকে নিহত হয়।
২১. ১৯৫২ সালে ২১ ফেব্র“য়ারী এই ঘটনা বাঙালী জাতীয় চেতনা বিকাশের প্রধানতম মাইল ফলক।
২২. ২১ ফেব্র“য়ারী ১৯৫২ পুলিশি গুলির প্রতিবাদে আইন সভার সদস্য মওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ সভা ত্যাগ করেন।
২৩. ২২ ফেব্র“য়ারী ১৯৫২ পূর্ব বাংলার মূখ্য মন্ত্রী নূরুল আমীনের সভাপতিত্বে বাংলাকে‘‘ রাষ্ট্রভাষা” হিসেবে গ্রহনের প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
২৪. ২২ ফেব্র“য়ারী ১৯৫২ ভাষা আন্দোলনের প্রথম শহীদ মিনার ডিজাইন করেছিলেন ড. বদরুল আলম ও সাঈদ হায়দার।
২৫. ২৪ ফেব্র“য়ারী ১৯৫২ প্রথম শহীদ মিনার (১০ ফুট/৬ফুট) উদ্বোধন করেন শহীদ শফিউর রহমানের পিতা মৌলভী মাহবুবুর রহমান।
২৬. ২১ ফেব্র“য়ারী ১৯৫২ ভাষা আন্দোলনের প্রথম কবিতা‘‘ কাঁদতে আসেনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি” রচনা করেন চট্রগ্রামের মাহবুব আলম চৌধুরী।
২৭. ১৯৫৩ ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংকলন ‘‘একুশে ফেব্র“য়ারী” নামে হাসান হাফিজুর রহমানের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়।
২৮. ১৯৬২ সালে শরীফ শিা কমিশন রিপোর্ট প্রকাশিত হয়।
২৯. ১৯৬২ সালে ঢাকার স্বাধীনতাকামী তরুণরা মিলে ‘‘বঙ্গ বাহিনী ” গঠন করে।
৩০.১৯৬৪ সালে আইয়ুব পরিকল্পিত ভাবে ভয়াবহ দাঙ্গার সৃষ্টি করে। এর ফলে ‘‘পূর্ব বাংলা রুখে দাড়াও” নামে আন্দোলনের ভিত্তি গড়ে তোলা হয়।
৩১. ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৬৫ পাক- ভারত যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধ ১৭ দিন স্থায়ী ছিল।
১৯৬৬ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের সহায়তায় তাসখন্দে পাকÑ ভারত সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত হয়।
৩২. ৫ ফেব্র“য়ারী ১৯৬৬ লাহোরে নিজামে ইসলামী নেতা চৌধুরী মোহাম্মদ আলীর বাসভবনে নিখিল পাকিস্তান জাতীয় সম্মেলনে ‘‘ছয়দফা” উত্থাপিত হয়।
৩৩. ১১ ফেব্র“য়ারী ১৯৬৬ ফিরে আসার সময় লাহোর বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের ছয়দফা সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে শেখ মুজিব বলেন ‘‘ছয় দফা বাঙালী জাতির মুক্তর সনদ” ।
৩৪. ১৮ জানুয়ারী ১৯৬৮ শেখ মুজিবকে মুক্তি দিয়ে পুনরায় জেল গেইটে আটক করা হয়।
৩৫. ১৯ জানুয়ারী ১৯৬৮ রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিব নামে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা শুরু হয়।
শেখ মুজিব ছিলেন প্রধান আসামী। অভিযুক্ত ছিলেন ৩৫ জন সাী ছিল ২৫১ জন। এই মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিল এ এস এস মোস্তাফিজুর রহমান।
৩৬. ২০ জানয়ারী ১৯৬৯ সালে ছাত্র ইউনিয়নের নেতা আসাদ শহীদ হন ।
৩৭. ২৪ জানুয়ারী ১৯৬৯ শহীদ হন নব কুমার ইন্সটিটিউশনের ছাত্র মতিউর রহমান।
৩৮. ২৪ জানুয়ারী ১৯৬৯ গণভ্যুত্থান হয় ।
৩৯. ৯ ফেব্র“য়ারী ১৯৬৯ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়।
৪০. ১৫ ফেব্র“য়ারী ১৯৬৯ ক্যান্টনম্যান্টে হত্যা করা নার্জেন্ট জহুরুল হককে।
৪১. ১৮ ফেব্র“য়ারী ১৯৬৯ শহীদ হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. শামসুজ্জোহা
৪২. ১৬ ফেব্র“য়ারী ১৯৬৯ পল্টন ময়দানে এক জনসভায় মওলানা ভাসানী বলেন ‘‘ প্রয়োজনে ফরাসী বিপবের মত জেলখানা ভেঙ্গে মুজিবকে মুক্ত করব”।
৪৩. ২০ ফেব্র“য়ারী ১৯৬৯ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করা হয়।
৪৪. ২২ ফেব্র“য়ারী ১৯৬৯ শেখ মুজিব সহ অনেকেই মুক্তি পান।
৪৫. ২৩ ফেব্র“য়ারী ১৯৬৯ শেখ মুজিবকে ‘‘বঙ্গবন্ধু” উপাধিতে ভুষিত করা হয়।
৪৬. ৫ ডিসেম্বর ১৯৬৯ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যু বার্ষিকীতে শেখ মুজিব পূর্ব পাকিস্তানের নাম করেন ‘‘বাংলাদেশ”।
৪৭. ২৮ মার্চ ১৯৭০ ইয়াহিয়া ‘দি লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক অডার” ঘোষনা করেন।
৪৮. ৭ ডিসেম্বর ১৯৭০ জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করা হয়।
১৭ ডিসেম্বর ১৯৭০ প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করা হয়।
৪৯. জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে সমগ্র পাকিস্তানে ৩০০ টি আসন নির্ধারিত করা হয়। এর মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানে ১৬২ টি পশ্চিম পাকিস্তানে ১৩৮ টি।
৫০. সমগ্র পাকিস্তানে সংরতি মহিলা আসন ১৩ টি।
৫১. আওয়ামী লীগ ৩১৩ টি আসনের মধ্যে ১৬৭ টি আসন লাভ করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।