১ম পর্ব- Click This Link
২য় পর্ব - Click This Link
৩য় পর্ব- Click This Link
সাহিত্য এমন কোনো ক্ষেত্র নয় যে , জোর করে নিজের স্থান দখল করা যায়।
কেউ কেউ আছেন, তারা মহাকালে বিশ্বাস করেন না। নগদ নারায়ণ চান। এরা চান দুচারটা বই লেখার পরই সবাই তাদেরকে কাঁধে তুলে হাটুক ! তর্ক ও জুড়েন অনেকটা গোয়ার্তুমির ঢং এ।
আচ্ছা , কেউ যদি এখন বলে , সুনীল গাংগুলীর বর্তমান কোনো লেখা , লেখাই হচ্ছে না - তবে তাকে মূর্খ ছাড়া আর কি বলা যেতে পারে ?
আমি তাদেরকে সুনীলের সাম্প্রতিক প্রকাশিত বড়গল্প ''কীর্তিনাশার এপারে ওপারে'' কিংবা উপন্যাস '' মানুষ! মানুষ !!'' পড়ে দেখার বিনীত অনুরোধ জানাই।
আসলে মাছের পচন ধরে মাথায় । আর কিছু মানুষের পচন ধরে চোখে। তারা
অনেক কিছুই দেখে - না দেখার ভান করে। প্রকৃতপক্ষে আমাদের ধীশক্তি
সম্পন্ন পড়ুয়ার বড় অভাব। তালি বাজিয়ে কারো গলায় মরমীবাদের মালা
দিয়ে দিলেই উনি 'মহান মরম ' হয়ে যান না।
যেতে পারেন না।
এখানে একটা উদাহরণ দেয়া যাক। নব্বই দশকের কবিদের অন্যতম একজন মোস্তাক আহমাদ দীন।
দীনের সাথে আমার যেদিন প্রথম সিলেটের রাজা ম্যানশনের একটি পুস্তক
বিপণীতে দেখা হয় , সেদিনই আমি অনুধাবন করতে পারি , দীন একজন
প্রখর চেতনাবাদী কবি। দীন কথা বলতেন কম।
লিখতেন খুব মেপে মেপে।
১৯৯৪ সালের দিকেই বাংলাদেশের লিটল ম্যাগ অংগনে দীন তার নিজস্ব
জায়গা করে নেন। এর পর আর তাকে পিছন ফিরে তাকাতে হয় নি।
মোস্তাক দীন এর প্রথম বই বের হয় ২০০১ সালে। ''কথা ও হাড়ের বেদনা''।
এবং বইটি ঐ বছরেই দৈনিক প্রথম আলো ' র বিবেচনায়
শ্রেষ্ট দশ সৃজনশীল বই এর তালিকায় স্থান করে নেয়।
এই যে পাওয়া , তা সম্ভব একজন প্রকৃত কবির পক্ষেই । কোনো প্রচার
মুখি ছড়াকারের পক্ষে তা সম্ভব নয় কোনো মতেই ।
.........................................
সিলেটের সাহিত্য অংগনকে ৯০- ৯৬ সময়ে আরো বেশ কিছু লিটল ম্যাগ
আলোকিত করেছে। এর মধ্যে এ মুহুর্তে আরো যেগুলোর কথা মনে পড়ছে, সে গুলো হলো - আহমদ মিনহাজ, টি এম আহমেদ কায়সার, নাসিমুল হক নিপু, সারওয়ার চৌধুরী সম্পাদিত ''প্যারাডাইম''
নাজমুল হক নাজু সম্পাদিত ''ঘাস''
লিয়াকত শাহ ফরিদী সম্পাদিত ''নির্ব্যাজ''
আব্দুল মমিন মামুন সম্পাদিত ''স্বকাল''
হাবিবুর রহমান এনার সম্পাদিত ''খোয়াব''
মোস্তাক আহমাদ দীন সম্পাদিত ''মুনাজেরা''
পুলিন রায় সম্পাদিত ''ভাস্কর''
শ্যাম সুন্দর দে রাধেশ্যাম সম্পাদিত ''ভিন্নায়ন'' ইত্যাদি ।
এসব সম্পাদকের ভূমিকা খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই ।
..................................
সিলেটে সে সময়ে যে শক্তিটি খুব বেশী প্রধান ছিল , তা হচ্ছে পারস্পরিক সম্মান। কবিদের মাঝে সৌহার্দ্য ছিল । আড্ডা ছিল প্রাণবন্ত। যা থেকে
উপকৃত তো বটেই , ভাব আদানের মাঝে জানা যেতো চেতনার বলয়কে।
মনে পড়ছে সে সময়ে মতিউর রহমান চৌধুরী সম্পাদিত দৈনিক বাংলা বাজার পত্রিকায় সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। একটি সাহিত্য অনুষ্টানে যোগ দিতে সিলেটে আসেন কবি মহাদেব সাহা ও নির্মলেন্দু গুণ।
আমরা ক'জন তাদের সাথে চুটিয়ে আড্ডা দিই । এ সময়ে গুণ দা আমাকে
একটি লেখা লেখার প্রস্তাব করেন ।
আগামী পর্বে লিখবো সে লেখা ও অন্যান্য প্রসংগে ।
( চলবে ........)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।