সভাপতিঃ ক্যাচাল সিন্ডিকেট প্রথমে জাতীয় ঐকমত্য, তারপর জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে ১৪ দলের এক বৈঠক শেষে এ কথা জানান হানিফ।
হানিফকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, সংসদে আওয়ামী লীগ যেকোনো আইন পাসের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠ। শাহবাগে ইতিমধ্যে তরুণ প্রজন্মের আহ্বানে সব স্তরের মানুষের পক্ষ থেকে জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি করা হয়েছে। এটা কি জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার মত যথেষ্ট নয়? জবাবে হানিফ বলেন, ‘শাহবাগের আন্দোলন মূলত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে।
এত কিছুর পরও বিএনপি জঙ্গিবাদি জামায়াতকে রক্ষা করে চলেছে। প্রধান বিরোধী দল বিপক্ষে থাকলে জামায়াত নিষিদ্ধ করা কঠিন হবে। আশা করি গণচাপে বিএনপি একপর্যায়ে তাদের অবস্থান থেকে সরে আসতে বাধ্য হবে। তখন জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা সহজ হয়ে যাবে। ’
জামায়াত-শিবির কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে।
এ অবস্থায় শাহবাগে তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনের নিরাপত্তা যথেষ্ট কি না, জানতে চাইলে হানিফ বলেন, জামায়াত-শিবির চোরাগোপ্তা হামলা করে তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনস্থল পর্যন্ত যেতে পারবে না।
আওয়ামী লীগের এই নেতা ১৪ দলের বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানাতে গিয়ে বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের যে বিচার চলছে, সামনের রায়গুলোতে প্রত্যেকের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে—১৪ দলের বৈঠকে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়েছে। কাদের মোল্লার রায়ের বিরুদ্ধে উভয় পক্ষের আপিলের সুযোগ রাখার বিল রোববার কিংবা সোমবার পাস হয়ে যাবে। ১৪ দল আশা করে, আপিলে কাদের মোল্লারও সর্বোচ্চ শাস্তি হবে। গত দুই দিন জামায়াত-শিবির ঢাকাসহ সারা দেশে যে তাণ্ডব চালিয়েছে এর নিন্দা করেছে ১৪ দল।
একই সঙ্গে তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্য জাতীয় ঐকমত্য তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কর্মসূচি: মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা এবং জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবের প্রতিবাদে ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে ১৪ দল। এ ছাড়া পূর্ব ঘোষিত ১৬ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে গণপদযাত্রা কর্মসূচি পালন করা হবে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে তিনটি স্থান যথা—হেমায়েতপুর থেকে সাভার বাজার, টঙ্গী থেকে আবদুল্লাহপুর এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে কাঁচপুর সেতু পর্যন্ত গণপদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানান, শাহবাগে তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনকে চলতে দিয়ে পাশাপাশি নিজেরাও কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার বিষয়ে আলোচনা হয় ১৪ দলের বৈঠকে।
১৯ ফেব্রুয়ারির জনসভার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সংসদে উভয় পক্ষের আপিলের সুযোগের বিল পাস হলে জনসভার মাধ্যমে কাদের মোল্লার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জোরদার করাও জনসভার লক্ষ্য।
১৪ দলের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ উল আলম লেনিন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুর রহমান সেলিম, আওয়ামী লীগের নেতা আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মৃণাল কান্তি দাস ও সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।
কপি পেস্টঃ প্রথম আলো ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।