আমি সত্য কথাই বলি.....যত কঠিনই হোক...
ঘটনা ১ ঃ
পার্বত্য জেলা শহর রাঙামাটিতে ১১ আগষ্ট বিকেল ৫টায় তর্কাতর্কিল জের ধরে এক বাঙালী টেক্সী চালককে মারধর করে এক উপজাতি যুবক। মুহূর্তেই সেখানে জড়ো হয় কয়েকশত পাহাড়ী এবং বাঙালী। শুরু হওয় চিৎকার-চেঁচামেচি। হৈচৈ। অনেক কষ্টে নানা দেন দরবার করে ছিনিয়ে নেয়া টাকা এবং মোবাইল ফেরত দেয়ার শর্তে ঘটনাটির মীমাংসা হয়।
কিন্তু এই রকম একটি ছোট্ট ঘটনার যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে তা খুবই ভয়ংকর। সামনের দিনগুলোতে কি অপেক্ষা করছে কে জানে ???
ঘটনা ২ঃ
আজ ১১ আগষ্ট রাঙাামটির নানিয়াচর উপজেলা থেকে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও মাছ ধরায় আটক এক ব্যক্তি এবং আটককৃত ৩০০ কেজি মাছ নিয়ে রাঙাামটি আসছিলেন মৎস বিভাগের লোকজন। পথে তাদের ধাওয়া করে চারটি নৌকা করে একদল সশস্ত্র উপজাতীয় যুবক। তাদের সবার হাতেই অস্ত্র ছিলো। কিন্তু একই সময় একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ চলে আসায় তারা সটকে পড়ে....মজার ব্যাপার হলো মৎস বিভাগের বোটে এবং লঞ্চে ৪ জন করে ৮জন পুলিশও ছিলো।
লঞ্চগুলোকে ফেরত পাঠানো হয়। এর ফলে রাঙামাটি তেকে নানিয়াচর উপজেলার দিকে যাওয়া লঞ্চটি ফেলত আসে এবং নানিয়াচর থেকে রাঙাামটির উদ্ধেশ্যে যাওয়া লঞ্চটিও ফেরত আসে। আতংকিত পুলিশ সদস্যরা জানিয়েছেন,সন্ত্রাসীদের হাতে তারা যে অস্ত্র দেখেছে তা তারা জীবনেও দেখেনি।
ঘটনা তিন ঃ
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা চন্দ্রশেখর চাকমা,যিনি সন্তু লারমা বিরোধী হিসেবেই খ্যাত,তার শেষ কৃত্য অনুষ্ঠানে রাঙামাটির বাইরে থেকে দুই বাস উপজাতীয় ব্যক্তি আসে ১১ আগষ্ঠ। কিন্তু তাদের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেয়নি পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা।
রাঙামাটি শহরের প্রধান কেন্দ্র ডিনি অফিসের সামেন ব্যারিকেড তৈরি করে তাদের ফেরত যেতে বাধ্য করা হয়। মৃত মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেও বাধা.....................
একই দিনে ঘটা এই তিনটি ঘটনা কি প্রমাণ করে ????????????????
আবার অস্থিতিশীল হচ্ছে পাহাড়...........
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।