অপরাজিত বন্দ্যোপাধ্যায় : নামেই ওরা সুন্দর। জল ছেড়ে ডাঙায় পা দিতেই বেড়িয়ে পড়ে ওদের রূপ। সে রূপের বিভৎসতা যুদ্ধের বিভৎসতাকেও হার মানায়। ওদের আক্রমনে বহু মহীরুঢ়ের ভূবন পতন ঘটে। বীর সৈনিকদের পায়ের মাটি উপড়ে এলাকা তছনছ করে জীবন লুটে ওরা সিদ্ধহস্ত।
ওদের নাম কখন সিডার, কখন বিজলি, কখনও বা আইলা। নাম যাই হোক ধ্বংসে কিন্তু কেউ ওরা কারো থেকে কম নয়। মাঝেমধ্যে প্রকৃতি তাদের ঔদ্ধত্যকে শাসন করে দেয় বলে রক্ষে। তাই কখনও বাংলাদেশ, কখনও বার্মা কখনও বা পশ্চিমবঙ্গে ওদের বাড়বাড়ন্ত সহ্যের সীমা ছাড়ায়। এমনটিই ঘটে গেল সম্প্রতি।
এবারে দাপট দেখালো আইলা।
সমুদ্রের নীল জলে তৈরি হলেও অন্যান্য ঘূর্ণিঝড়ের মতো আইলার জন্মদাতা আবারও বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ। নিম্নচাপের কোন নাম হয় না তাই দিন দিয়েই তা বুঝতে হয়। আইলা স্রষ্টা বঙ্গোপসাগরের ওপর দানা বেঁধেছিল ২১শে এপ্রিল। বঙ্গোপসাগর ও আবরসাগর প্রায়শই নানাধরণের ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়।
নিম্নচাপ তৈরি হলেই তাকে ঘিরে সমুদ্রপৃষ্ঠে তৈরি হয় বায়ুপ্রবাহ। একপাশ থেকে অন্যপাশে ছুটে বেড়ানো এই বাতাসের স্রোত যখন একমুখী হয় তখন ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নেয়। নিম্নচাপের প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে ঘূর্ণিঝড়টি কতটা শক্তিশালী হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সুগভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়কে বাধ্য করে সমুদ্রের জল ছাড়তে। তাইতো বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে তৈরি সুগভীর নিম্নচাপ থেকে তৈরি ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে উপকূলবর্তী এলাকায়।
কোন ক্ষেত্রে ঐ ঘূর্ণিঝড়কে বাইতে সাহায্য করে আকাশে হঠাৎ এসে পড়া কোন ঘন মেঘ, কখনোবা জলাকণা। ঠিক যেমনটি হয়েছে আইলার ক্ষেত্রে। আইলাকে মৌসুমী বাতাস দ্রুততার সঙ্গে নিয়ে এসেছে দক্ষিণবঙ্গে। আর তার বিভৎসতা ও ক্ষয়ক্ষতি তা আর বোধহয় লিখে বোঝানোর দরকার নেই। পশু, পাখি থেকে মানুষ সবাইকে একসাথে সাপটে শেষ করেছে ঐ ঘূর্ণিঝড়।
এর জেরে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়লো। তবে এটা কোন নতুন ঘটনা নয়। এর আগেই বারংবার বঙ্গোপসাগরীয় নিম্নচাপ আমাদের কাঁদিয়েছে। সন, তারিখ মানব মস্তিষ্কে বেশি দিন স্থায়ী হয় না বলে রক্ষে। তা না হলে আমাদের দুস্বপ্ন তাড়া করে বেরাতো সারা জীবন।
ঝোড়ো বাতাস কখন ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন, কখন হ্যারিকেন তা স্থির করে দেয় কেবল একটি মাত্র শর্ত। তার গতিবেগ। ঘূর্ণিঝড়, প্রবল ঘূর্ণিঝড়, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় সবকটি ভাগ করে দেয় ঐ গতিবেগ। বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের মধ্যকার সবকটি ঘূর্ণিঝড়কে ‘নিরক্ষীয় ঝড়’ বলে তকমা দেওয়া হয়ে থাকে। অন্যদিকে প্রশান্ত মহাসাগর কিংবা আতলান্তিক মহাসাগরে তৈরি ঘূর্ণিঝড়কে বলা হয় আতলান্তিয় ঝড়।
নাম পড়লেই কোন ঝড় কোথায় হয় তা সহজে বোঝা যায়। কোথায় সিডার, বিজলি, আইলা আবার কোথায় এলিনা, রিটা, ক্যাটরিনা। নাম দেওয়া নিয়েও রকমফের আছে। ১৯৬০ সালে প্রথম ঘূর্ণিঝড়কে নামকরণ করা শুরু হয়। করেন অস্ট্রেলিয় আবহবিদরা।
তার আগে অবশ্য ঘূর্ণিঝড় শুধু নয় বড় ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগের রকমারী নাম দেওয়া হতো। সে অনেকদিন আগের কথা। ১৯৩৯-৪০ নাগাদ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইউ এস আর্মি এয়ার কর্পোরেশনের কর্তাব্যক্তিরা প্রশান্ত মহাসাগর ও আতলান্তিক মহাসাগরের বিভিন্ন ঘূর্ণাবর্তের নাম দিতেন তাদের বান্ধবী এবং স্ত্রীদের নামে। বিষয়টি একসময় চূড়ান্ত অনুমোদনের পর্যায়ে নিয়ে যায় আমেরিকার নৌবিভাগ।
তবে ১৯৫০-৫২ সালের মধ্যে উত্তর আতল্যান্তিক মহাসাগরে নানান ঘূর্ণিঝড়ের নাম হয়েছে চলতি কথা দিয়ে। যেমন এবে, বেকার, চার্লি। কিন্তু ১৯৫৩ সালে আমেরিকার ওয়েদার ব্যুরো ঝড়ের নাম মেয়েদের নামে ফিরে যায়। ১৯৭৯ সালে মাত্র একবারের জন্য মেয়েদের বদলে একটি মাত্র পুরুষ নাম ব্যবহৃত হয়েছে। এরপর ২০০০ সালে ১লা জানুয়ারি ওয়্যাল্ড মেটিরিওলজিক্যাল ওরগানাইজেশন ( ডব্লু এম ও ) টাইফুন, সাইক্লোনের নাম মেয়েদের নামে রাখার একটি গ্রহনযোগ্য প্রস্তাবনা পেশ করে।
তাই ক্যাটরিনা, উলমা নাম এসে যায়। তবে এবিষয়ে তেমন কোন বাধা নেই। মেয়েদের সঙ্গে ছেলেদের নামও যথেচ্ছ ব্যবহৃত হচ্ছে। আমাদের সামনে সেঅর্থে আতলান্তিয় ঘূর্ণিঝড়ের নাম ছেলেদের নামে না শুনলেও ২০০৯ সাল থেকে তা হয়ত শোনা যাবে। ঘূর্ণিঝড় না আসতেই নাম ঠিক।
নামের সারণিতে থাকছে রিচার্ড, টমাস, ওয়াল্টার, ফ্রাঙ্কলিন লি, টনি, উইলিয়াম কত কি। ২০১২ সাল পর্যন্ত অন্তত আটটি নামই পুরুষের।
আমাদের দেশ ও বঙ্গোপসাগরীয় এলাকায় নামকরণের একটি আলাদা নিয়ম আছে। বঙ্গোপসাগর ও আবরসাগর সংলগ্ন ১৬টি দেশকে এক একবার নামকরণের সুযোগ দেওয়া হয়। এটি চূড়ান্ত করে ওয়্যাল্ড মেটিরিওলজিক্যাল ওরগানাইজেশনের অধীনস্থ ট্রপিক্যাল সাইক্লোন রিজিওনাল বডি।
সাম্প্রতিক আইলার নাম দেওয়ার ভার পড়েছিল মালদ্বীপের। নাম আগেই ঠিক ছিল। এমনটা না যে নিম্নচাপ সুগভীর নিম্নচাপে পরিণত হলো আর নাম বাছতে নামলেন আবহবিদরা। না একবছর আগে ঠিক হয়ে গেছে বিজলির পরের নিরক্ষীয় ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে আইলা। বিজলি’র নামকরণ করেছিল বাংলাদেশ।
বিজলি, আইলার পরবর্তী নিরক্ষীয় ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে জল। এটি দিয়েছে ভারতের আবহবিজ্ঞান দপ্তর। প্রত্যেক নামেরই একটি অর্থ থাকে। তবে বেশিরভাগ নামই হয় কোন ‘নাম বিশেষ্য’র দিকে তাকিয়ে। তাই নাম নিয়ে কারো তেমন মাথা ব্যথা থাকে না।
ঘূর্ণিঝড়ের একটি আগাম নাম দেওয়ার পিছনে আর একটি বড় কারণ আছে। আদপের কোথা থেকে ঝড় কোথায় আসছে, তা আগে থেকে জানানোটা খুব জরুরী। সতর্কতার লক্ষ্যেই এই ঘোষণা। ‘নাম বিশেষ্য’-এ ঘূর্ণিঝড়ের নাম হলে তা মেসেজ আকারে পাঠানো যায়, সকলের মুখে মুখে ঘুরতে পারে।
নিম্নচাপ মানে বৃষ্টি এটি সকলেই জানেন।
কিন্তু সবসময় নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় তৈরি করতে পারে না। নিম্নচাপের সময় বাতাসের স্রোত বওয়া শুরু হয় ঠিকই তবে তা সবসময় ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটারকে ছাড়িয়ে যেতে পারে না। এই গতিবেগ ছাড়িয়ে গেলেই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। দেখা গেছে দুর্বল নিম্নচাপের ক্ষেত্রেও উৎপত্তিস্থলে ঘন্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো বাতাস বইতে থাকে। কিন্তু ঐ গতিবেগ ৩০-৫০ কিলোমিটার মধ্যে এলেই আবহবিদরা বলতে থাকেন নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়া শুরু করেছে।
গতিবেগ ৬০ কিলোমিটারকে ছাড়ালেই সেটা হয় সুগভীর নিম্নচাপ। তখনই ভয় শুরু। সুগভীর নিম্নচাপও যে সবসময় বড় ঘূর্ণিঝড় ঘটাবে তার মানে নেই। তারজন্য প্রয়োজন কিছু বাড়তি কারন। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কতো সময়ে সাধারণ নিম্নচাপটি সুগভীর নিম্নচাপ পরিণত হয়েছে তার ওপর।
যত দ্রুত এই প্রাকৃতিক কাজটি ঘটতে থাকবে তত দ্রুতই নিম্নচাপের দোসর ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানা শুরু করবে। ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোনের গতিবেগ থাকে সাধারণত ঘন্টায় ৬২-৮৮ কিলোমিটার। গতিবেগ বাড়তে থাকলে হয় তার নাম হয় প্রবল ঘূর্ণিঝড় (সিভিয়ার সাইক্লোন) এবং আরো বাড়লে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় (ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোন)। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় ৮৯-১১৮ কিলোমিটার। আর অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় ১১৯-২২১ কিলোমিটার।
ঘূর্ণিঝড়ের একেবারে চরম সীমা অত্যাধিক প্রবল ঘূর্ণিঝড় বা ‘সুপার সাইক্লোন‘। এর গতিবেগ ২২২ কিলোমিটার থেকে সর্বাধিক ৩৯০ কিলোমিটার। কারণ ঘন্টায় ৪০০ কিলোমিটার বেগে ধাইলেই তা নামধাম বদলে যায়। তখন তাকে ডাকা হয় টর্নেডো। যদিও ভারতে এই রাক্ষুসে ঝড়ের প্রাদুর্ভাব দেখা যায় নি।
১৯৭১ সালের ২৯শে সেপ্টেম্বর ওড়িশাতে শেষ সুপার সাইক্লোন আছড়ে পড়েছিল। ২৫ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়েছিল ঐ অত্যাধিক প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি।
আইলা পশ্চিমবঙ্গে ১১৫ জনের প্রাণ কেড়ে ফসলের দফারফা করেছে। মৃত্যুর সংখ্যা দিনকে দিন বাড়তে বাড়তে তা জাতীয় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের তকমা পেয়েছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের অবস্থা তথৈবচ।
তবে এই আইলার জেরেই কিন্তু সময়ের ১৫ দিন আগে পশ্চিমবঙ্গে এসেছে মরশুমী বর্ষা। এটি একটি সর্বকালীন রেকর্ড। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের মহাফেজখানার মে মাসে বর্ষা আসার যে দুটি নথি আছে তাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে এবারের ২৪মে তারিখে আসা মরশুমী বর্ষা। ১৯৪৬ সালে ২৭শে মে এবং ১৯৯৯ সালের ২৮শে মে পশ্চিমবঙ্গে দ্রুত বর্ষা এসেছিল। জুনের নিঘর্ন্ট না মেনে তা এসেছিল।
ঐ দুই বছরেই নিম্নচাপের ঘাড়ে চেপেই এসেছিল মরশুমী বর্ষা। কিন্তু কোন ক্ষেত্রেই তা ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নেয় নি। এর কারণ সেই নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপের রূপ নিতে দুই দিন সময় নিয়েছিল। কিন্তু এবারে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই এই কাজ হয়েছে। আর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় সবটাই প্রথম দফায় সামলাতে হয় দক্ষিণ ২৪ পরগণাকে।
কারণ এই জেলাই বঙ্গোপসাগরের নিকটবর্তী। এইটুকু যোগসূত্রতা জেরে বারবার সমস্যায় পড়তে হয়েছে সুন্দরবন সংলগ্ন বিভিন্ন ব্লকগুলোকে। তবে সুন্দরবন বারংবার যেকোন সামুদ্রকি ঝড়কে দারুনভাবে সামলেছে। ইতিহাসে বহু ঘটনা রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে ২০০৭ সালের ১৫ই নভেম্বর ভয়ঙ্কর বিধ্বংসী ঝড়কে সুন্দরবনের বাদাবন কব্জা করে তা বাংলাদেশে রপ্তানি করে দিয়েছে।
আইলার ঠিক আগে ১৬ই এপ্রিল ওড়িশার উপকূল বেয়ে ধেয়ে এসেছিল বিজলি। ওর গতিবেগও কম ছিল না। ঘন্টায় ১১০ কিলোমিটার। একেবারে আইলার মতো। কিন্তু সুন্দরবনের কৌশলী ছকের কাছে বিজলি পরাজিত হয়েছিল।
সুন্দরবন সিডারের মতো বিজলিকেও সোজা বাংলাদেশে পাঠিয়ে ছেড়েছে। এযাত্রায় আইলা কিন্তু বাদাবনকে বোকা বানিয়েছে। সাগরদ্বীপ থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে থাকতে থাকতে হঠাৎই গতিবেগ বাড়িয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের পিছনে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু এসে দাঁড়ানোয় আইলা আরো দাপুটে হয়েছিল। তাই চোট সহ্য করতে পারে নি সাগর।
এর ওপর বারংবার আইলা তার পথ পরিবর্তন করেছে। তাই একবার বেঁধে ফেলার সময়ই আইলা উঠে গেছে আকাশের ৪০ মিটারের উচ্চতায়। তবুও বাদাবনকে সাথে নিয়ে মাতলা, হাতানিয়া-দোয়ানিয়া, মনি, হেড়োভাঙ্গারা আইলাকে বাংলাদেশকে ঘুরিয়ে যে চেষ্টা করেছিল তা সফল হয় নি। পারবে কেন আইলা যে বড়সড় বিপর্যয় ঘটাতেই এসেছে। তাইতো বসিরহাট মুখ করেই বাংলাদেশে যেতে গিয়েও হঠাৎ ১২০ ডিগ্রি ঘুরে তা বাঁক নেয় ডায়ামন্ডহারবারের দিকে।
আর বাকিটা সকলেই জানা। প্রথমদিন ২৫শে মে দক্ষিণবঙ্গ। ঠিক পরদিন ২৬শে মে উত্তরবঙ্গ। তাও বারংবার বাধা পেয়েছে আইলা। ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের প্রবল গতির সঙ্গে তা দ্রুত গতিমুখ পরিবর্তন করতে থাকে বলে তা ক্ষয়ক্ষতিটা হয়েছে বেশি।
এইজন্য ভুক্তভুগীরা দেখেছেন সৈনিক বৃক্ষের দলের মাঝ বরাবর না ভেঙ্গে তার শেকড় শুদ্ধ উপড়ে গেছে। বাদ পড়ে নি কাঁচা, পাকা, মাঝারি মাপের বাড়ি। গ্রাম বাংলা থেকে শহর কলকাতা সবটায় আইলা দারুন খপ্পরে পরেছে। ইট-কাঠ-পাথরে তৈরি কলকাতাকে বেশিক্ষণ সহ্য হয় নি আইলার। তাই দিন থাকতে থাকতে সে পাড়ি জমায় হাওড়ায়।
আবহবিদরা ভেবেছিলেন বিস্তীর্ণ জায়গা পাড়ি দিয়ে হুগলী ঘুরে ঝাড়খন্ডে চলে যাবে ঘূর্ণিঝড়টি। কিন্তু সেটা শেষপর্যন্ত হয় নি। পরদিনই আইলার পিছনে থাকা মৌসুমী বাতাস তাকে আবার শক্তি জুগিয়েছে। আইলা দমকে গোটা রাজ্য বিপর্যস্ত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।