আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনবী (সাঃ) পর্ব-(২)

দুনিয়া ঐ ব্যক্তিরই থাকার জায়গা যার থাকার কোন জায়গা নেই। আর ঐ ব্যক্তির জন্যই সম্পদ যার জ্ঞান বুদ্ধি নেই।

১ম পর্বের পর............ ‘তাদের ওপর এতখানি কাজের চাপ দেয়া যেতে পারে, যতখানি তদের সামর্থে কুলায়। সাধ্যাতীত কোন কাজের নির্দেশ কিছুতেই দেয়া যাবে না’ (মুসলিম শরিফ)। শ্রমিকদের বেতন, উৎপাদিত পণ্যে তাদের অংশ ইত্যাদি সম্পর্কে মহানবী (সাঃ) বলেছেন, ‘শ্রমিকদের বেতন নির্দিষ্ট না করে তাকে কাজে নিযুক্ত করা যাবে না’ (বায়হাকি)।

মানুষের নিজের হাতের কাজের বিনিময় এবং সৎ ব্যবসা থেকে প্রাপ্ত মুনাফা উত্তম উপার্জন। (আহমদ) শ্রমিককে তার কাজ থেকে অংশ দান কর। কারণ আল্লাহর শ্রমিককে কিছুতেই বঞ্চিত করা যেতে পারে না। ’ (মুসনাদে আহমদ বিন হাম্বল)। ‘তোমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সেই যে অধীনস্থদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে।

’ পবিত্র কোরআনে মহান রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেছেন, ‘যাদের যা প্রাপ্য তার থেকে কাউকে বঞ্চিত করো না। ’ নবীজী (সাঃ) জুলুমের পরিণাম কি হতে পারে, তা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘জুলুম-শোষণ কিয়ামতের দিন অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যাবে। ’ অর্থাৎ অন্ধকারে মানুষ যেমন দিশেহারা হয়ে যায়, কাউকে সাহায্যকারী পায় না, ঠিক তেমনি জালিম কিয়ামতের দিন অসহায় হয়ে পড়বে। তিনি আরও বলেন, ‘তোমরা মানুষকে অত্যাচার ও শোষণ কর না।

’ ‘মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, যে জাতি নিজের ভাগ্য নিজে পরিবর্তন করে না, আল্লাহ তার ভাগ্য পরিবর্তন করেন না। ’ মহানবী (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার কাছে ভিক্ষা করে, আমি তাকে দিয়ে দেই, আর যে ব্যক্তি ভিক্ষা থেকে বিরত থাকে অথবা আল্লাহর কাছ থেকে সমৃদ্ধি চায়, আল্লাহ তাকে সমৃদ্ধি দান করেন। আর যে ব্যক্তি আমার কাছে ভিক্ষা করে না, সে আমার কাছে ভিক্ষুকের চেয়ে অধিক প্রিয়। (বোখারি শরিফ)। ভিক্ষাবৃত্তির ওপর শ্রমের মর্যাদা দেয়া হয়েছে এবং ভিক্ষাবৃত্তি নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

কিন্তু ভিক্ষাবৃত্তি নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। কিন্তু ভিক্ষাবৃত্তি নিষিদ্ধ করা হয়নি। অন্য হাদিসে আছে, দু’প্রকার লোকের পক্ষে ভিক্ষা করা নাজায়েজ। ১• ধনী ২• সুস্থ সবল ব্যক্তি। (আবু দাউদ, তিরমিযি) মহানবী (সাঃ) বলেন, তোমাদের অধীনস্থ ব্যক্তিদের তোমরা তোমাদের আপন সন্তানদের মতো স্নেহ-সমীহ কর।

শ্রমিকের মজুরি আদায় না করার পরিণতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ভয়াবহ কিয়ামতের দিন আমার মমতাময়ী আশ্রয় থেকে সেই ব্যক্তি বঞ্চিত হবে যে কোন শ্রমিককে নির্ধারিত পারিশ্রমিক দেয়ার চুক্তিতে নিয়োগ করে, অতঃপর তার কাছ থেকে পূর্ণ শ্রম ও কাজ আদায় করে নেয়; কিন্তু তাকে পূর্ণ পারিশ্রমিক দেয় না। শ্রমিকের অধিকার হল তার পারিশ্রমিক ঠিকমতো পাওয়া। শেষ পর্ব.............। শীঘ্রই লিখব............. (সংকটে মুসলিম বিশ্বের করণীয়)

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.