আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুত্তা

ধুমপানে বিষপান
আমার বাড়িওয়ালার খুব সুন্দর একটা টিনএজ মেয়ে আছে! মাঝে মাঝে চোখে চোখ পড়লে এত সুন্দর করে হাসে, মনটা গলে যায়! সেদিন দেখি মেয়েটা বাড়ির আঙ্গিনায় তার অতি আদরের কুত্তাটাকে কোলে নিয়ে কটন বাট দিয়ে কুত্তাটার কান পরিস্কার করে দিচ্ছে! একেই বলে কপাল! এই এক আজব দেশ! কুত্তারে নিয়া এত গদগদানি দেখলে কার না শরীর জ্বলে! প্রতিদিন বিকেলেই দেখি ছেলে বুড়ো অনেকেই একটা কুত্তা নিয়ে হাটতে বেড়িয়েছে! হাতে থাকে একটা ছোট পলিথিন ব্যগ আর কিছু টিস্যু! হাটতে বেড়োলেই প্রাকৃতিক পরিবেশে কুকুরগুলির বাথরুমের সময় হয়, আর অমনি কুকুরের পশ্চাৎদেশে ব্যগটি ধরে বসে পড়ে কুত্তাওয়ালিরা , তারপর অতি যত্নে টিস্যু দিয়ে মুছেও দেয়। বিকালে হাটতে বেড়োলে এই দৃশ্য আপনার চোখে পড়বেই! এবার কুত্তা বিষয়ক কিছু বিড়ম্বনার কথা বলি! এক বড়ভাইয়ের বউ দেশ থেকে সবে জাপান এসেছে। তখন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরান কাপড়ের বাজার বসেছিল, জাপানিজরা তাদের পুরান কাপড়চোপড় ইত্যাদি অতি সস্তায় এই বাজারে বিক্রি করে দেয়। নতুন ভাবি একা একাই সেই পুরান বাজার ঘুরে অতি সস্তা পেয়ে একটা খুব সুন্দর টপস কিনে ফেলল! ভাবি একবিন্দুও জাপানীজ জানে না আর সাধারন জাপানীজরা ইংলিশ জানবে সেটাও দিবাস্বপ্ন। যাই হোক আমাদের স্লীম ভাবি স্লীম টপস কিনে নিয়ে রাতে ভাইকে খুব আগ্রহ নিয়ে দেখাল।

সবই ভাল ছিল কিন্তু পড়তে গিয়ে টপস আর শরীরে সেট হয় না! পরে ভাইজান টপস নিয়ে বিশ্লেষন করে যা পেল তা হল আসলে ঐটা কুকুরের পাথর বসানো মখমলের জামা! এইটা কিন্তু কুকুরের জামা, চিনে রাখুন! আরেক বড়ভাইতো একবার ৭০% সেল পাইয়া এক দোকান থেকে অনেকগুলো ক্যন ফুড কিনে নিয়ে আসছিল। বলা বাহুল্য যে ওদের লোকাল ফুডে একবিন্দু ইংলিশ অক্ষর থাকে না। খুশিতে সেই বড়ভাই আবার ফোন কইরা সেল এর খবর অন্যদেরও জানাইছে! তখন আরেকজন ঐ দোকানে গিয়ে যা দেখল তাতেতো তার চক্ষু চড়কগাছ! ঐগুলো ছিল সব কুকুরের খাবার। যাই হোক ঐ ভাই ক্যন ফুড ফিরত দিয়ে তার টাকা ফেরত পাইছিল!! এবার আমার জাপানীজ দৌড় বলি! সেদিন রাস্তায় বাড়িওয়ালার টিন এজ মেয়েটার সাথে দেখা হলো। ভাংগা জাপানীজে দুই চারটা কথা হলো।

সে নাকি হসপিটাল যাচ্ছে। জানতে চাইলাম কি সমস্যা! মেয়েটার কথা শুনে আমার মনটাই খারাপ হয়ে গেল! মেয়েটি নাকি প্রেগনেন্ট। নিয়মিত চেকআপের জন্য হসপিটালে যাচ্ছে! আহারে অবিবাহিত মেয়ে ১৬-১৭ বছর বয়স-কে করল আকামটা? জাপানীজরা শুনছি খুবি কনজারভেটিভ আর ওরাতো ৩৫-৪০ এর আগে আজকাল বিয়েই করে না। ৩/৪ মাস পর সেদিন আবার মেয়েটার সাথে রাস্তায় দেখা! চোখে মুখে মাতৃত্বের কোন ছাপ নেই, সেই আগের মত উচ্ছল উজ্ঝল! হাই হেলো করতেই হঠাৎ চোখ চলে গেল মেয়েটির কুকুরটির দিকে! পেটটা ফুলে ঢোল মুহুর্তেই সন্দেহ হলো, তারপর কথা বলে জানলাম আসলে মেয়েটা না তার কুকুরটাই প্রেগনেন্ট আর সে কুকুরটাকে নিয়মিত চেকআপ করাতে হসপিটালে নিয়ে যায় হায়রে জাপানীজ ভাষা, হায়রে কুত্তাসকল
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।