হেগেল একস্থানে মন্তব্য করেছেন, বিশ্ব ইতিহাসের অতি গুরুত্বপূর্ণ সব ঘটনা ও ব্যক্তি যেন দুবার হাজির হয়। সেইসঙ্গে এ কথাটা বলতে তিনি ভুলে গিয়েছিলেন: প্রথম বার আসে বিয়োগান্ত নাটকের রূপে, দ্বিতীয় বারে প্রহসন হিসেবে। দাঁতোঁ-র পরিবর্তে কাসিদিয়ের; রবেসপিয়েরের বদলে লুই ব্লাঁ; ১৭৯৩-১৭৯৫ সালেরপর্বতের’ জায়গায় ১৮৪৮-১৮৫১ সালের ‘পর্বত’, খুড়োর বদলে ভাইপো। আঠারোই ব্রুমেয়ারের দ্বিতীয় সংস্করণটির পরিস্থিতিতেও সেই একই ব্যঙ্গচিত্র! মানুষ নিজেই তার ইতিহাস রচনা করে বটে, কিন্তু ঠিক নিজের খেয়াল খুশিমতো নয়, নিজেদের নির্বাচিত পরিস্থিতিতে নয়, অতীত থেকে প্রদত্ত ও আগত পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে। মৃত পূর্বপুরুষদের সমস্ত ঐতিহ্য জীবিত লোকের মাথায় দুঃস্বপ্নরে মতো চেপে বসে থাকে। ঠিক যখন মনে হয় তারা নিজেদের মধ্যে ও বস্তুজগতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধনে, তথা অভূতপূর্ব কোনো সৃষ্টির কাজে প্রবৃত্ত হয়েছে, সেইসব বৈপ্লবিক সন্ধিক্ষণেই তারা উদ্বেগাকুল হয়ে অতীতের ভূত নামিয়ে এনে নিজেদের কাজে লাগাবার জন্যে ব্যাকুল হয়ে ওঠে এবং তাদের নাম, রণধ্বনি ও সাজসজ্জা ধার নিয়ে পৃথিবীর ইতিহাসপটে
নতুন দৃশ্যটিকে ঐ দূর অতীতের শ্রদ্ধেয় ছদ্মবেশে ও ধার করা ভাষায় উপস্থিত করতে চায়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।