কাঙাল জানিয়া বাবা দিও দরিশন, অধম জানিয়া বাবা দিও দরিশন.....
বরাক নদীর গতিপথ এবং তার গঠনশৈলী প্রাকৃতিক ভাবে সমৃদ্ধ একটি খোরস্রোতা নদী বলে প্রমাণিত।
ভারতের তিনটি প্রদেশ যেমন মিজোরাম আসাম এবং মনিপুরের প্রদেশের সীমানা বরাবর দক্ষিন থেকে উত্তর দিকে প্রবাহিত শিলচর লক্ষিপুর পয়েন্টে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে জকিগঞ্জ সিমান্তে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। টিপাইমুখ পয়েন্টে খোরোস্রোতা নদী থাকায় টিপাইমুখ পয়েন্টে এই নদীর দুই ভাগের একভাগ প্রায় সারা বছর পানির উৎস বিদ্যমান।
সবচেয়ে ভয়ংকর যে বিষয়টি তা হলো ভারত সরকার এই প্রকল্প শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদন নয় তা দিয়ে আন্তঃ নদী সংযোগ ঘটাবে। তার জন্যে ভারত সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক এমনকি যে কোন ধরনের যুদ্ধবস্তা যে কোন ধরনের কুটকৌশলের আশ্রয় নিতে পারে।
যা যা ক্ষতির আশংকা তা হলো যে পর্বত শ্রেনীতে এই টিপাইমুখ বাঁধ দিতেছে তাতে করে বাংলাদেশ বার্মা চীন বেকায়দায় পড়ে যাবে।এমনকি তারা তাদের অভ্যন্তরিন সামরিক বিশেষ সুবিধা পাবে এই লক্ষে তারা এই বাঁধ এর উচ্চতা এমন পর্যায়ে নিয়ে যাবে তা দিয়ে নদীর গতি পথ পরিবর্তন হয়ে নাগা ল্যান্ডের কহিমা হয়ে তা আবার আসামের সমতল ভূমিতে সেচ কাজ এবং ব্রম্মপুত্র নদীতে পানি সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে।
কিন্তু কেন এই বিশাল প্রকৃতিক বন ভূমি ধ্বংস করবে ভারত। তার কারন রাজনৈতিক অভ্যন্তরিন নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা এবং পাশ্ববর্তী দেশের উপর চাপ সৃষ্ঠি আর সেচ কাজের সুবিধার কথা চিন্তা করে আন্তঃ নদী সংযোগ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।