ইচ্ছে করে হারিয়ে যাই তোমার সীমানায়
আজ সকাল ৬টা ৫৮ মিনিটে শুরু হবে সূর্যগ্রহণের পর্ব। ১০০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ স্থায়ী পূর্ণগ্রাস সুর্যগ্রহণ দেখতে পাবে বাংলাদেশ। আগামী ১০৫ বছরের মধ্যে এ দেশে আর কোনো পূর্ণগ্রাস সুর্যগ্রহণ দেখা যাবে না। সূর্যগ্রহণের সময় পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে চাঁদ চলে আসে। এতে চাঁদের প্রচ্ছায়া সূর্যের উপর পড়ে বলে সূর্যের কিয়দংশ কালো দেখায় এবং নানারকম গুরুত্বপূর্ণ নৈসর্গিক ঘটনা ঘটতে থাকে।
এসময় প্রচুর পরিমানে অতি বেগুনি রশ্মি বের হতে থাকে, যা চোখের জন্য মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। গ্রহণকালে সূর্যের দিকে তাকালে অতি বেগুনি রশ্মি সরাসরি চোখের ভিতরের আলোক সংবেদনশীল পর্দা রেটিনাতে অবস্থিত অত্যন্ত স্পর্শকাতর অংশ ম্যাকুলা-র উপর গিয়ে পড়ে। এতে তা পুড়ে যায় ও পানি জমে। চোখের এই মারাত্মক ক্ষতি ধীরে ধীরে বোঝা যায় এবং তা স্থায়ীরূপ নিয়ে অন্ধত্বের দিকে ধাবিত হয়। একে সোলার এক্লিপ্স্ বার্ন বলে।
তাই এ মহাজাগতিক ঘটনা পর্যবেক্ষণের সময় চোখের জন্য সতর্কতাঃ
যা করা যাবে নাঃ
কোনভাবেই খালি চোখে সরাসরি সূর্যগ্রহন পর্ব দেখা যাবেনা। সাধারন সানগ্লাস পরেও তাকানো যাবেনা। ব্যবহৃত বা অব্যবহৃত কোনপ্রকার এক্স-রে ফিল্ম বা ক্যামেরার ফিল্ম ব্যবহার করে সূর্যগ্রহণ দেখা যাবেনা।
যা করা যেতে পারেঃ
বড় গামলা বা পাত্রে পানি নিয়ে তাতে কিছুটা হলুদগুড়ো মিশিয়ে ঘোলা করে নিয়ে সুর্যের ছায়া প্রতিফলন করে সহজেই সুর্যগ্রহণ দেখা যাবে। সায়েন্টিফিক সানগ্লাস পরে দেখা যাবে।
১২ নম্বরের ওয়েল্ডিং গ্লাস দিয়ে সরাসরি সুর্যের দিকে তাকিয়ে সুর্যগ্রহণ, তবে একনাগাড়ে ১০ সেকেন্ডের বেশি নয়। কাগজ ফুটো করে তার ভিতর দিয়ে সূর্যগ্রহণের প্রতিবিম্ব দেয়ালে ফেলে দেখা যাবে। দুরবিনে আইপিসের সামনে একটি সাদা কাগজ রেখে সুর্যালোকের প্রতিফলন করে নিরাপদে সুর্যগ্রহণ দেখা যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।