টেন্ডার বাক্স বসানো হয়েছে কিন্তু সিডিউল জমা নেয়া হবে না। এমন কান্ড কখনো দেখেননি টেন্ডার প্রক্রীয়ায় অংশগ্রহণকারীরা। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার নোয়াখালী উপকূলীয় বনবিভাগের অধীনস্থ বেগমঞ্জ ও মাইজদী বীজতলা কেন্দ্রের আওতাধীন সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তা, সংযোগ সড়ক ও রেলপথ রাস্তার পাশ্বৃবর্তী খাঁড়াগাছ বিক্রির সিডিউল জমা দানের শেষ দিনে ঘটেছে এ ঘটনা। নোয়াখালীর প্রভাবশালী টেন্ডারবাজ চক্রের থাবার কারণে সিউিউল জমা না নিলেও বনবিভাগ থেকে জানানো হয় অনিবার্য কারণবশত দরপত্র গ্রহণের কাজ স্থগিত করা হয়েছে। ফলে গাছ লাগানোর সাথে সম্পৃক্ত উপকারভোগীরা দুশ্চিন্তায় পড়েছে।
বনবিভাগ সুত্রে জানা যায়, নোয়াখালী উপকূলীয় বনবিভাগের অধীনস্থ বেগমঞ্জ ও মাইজদী বীজতলা কেন্দ্রের আওতাধীন সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তা, সংযোগ সড়ক ও রেলপথ রাস্তার পাশ্বৃবর্তী খাঁড়াগাছ বিক্রির জন্য প্রয়োজনী সকল কার্যসম্পাদন শেষে ৭টি গ্র“পে টেন্ডার আহবান করে গত ৩০জুন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। কোটি কোটি টাকা মূল্যের এগাছগুলো বিক্রির জন্য ১৫ জুলাই থেকে যাথারীতি সিডিউলও বিক্রি হতে থাকে এবং ২০ জুলাই সিউিউল বিক্রি শেষ হয়। ৪’শ টাকা দরে প্রায় ৩৫ হাজার টাকার সিডিউল বিক্রি হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দরপত্রের সিডিউল কিনেছেন এমন একাধিক ব্যক্তি জানান, নোয়াখালীর জেলা শহরে সওজ, এলজিইডি, ফ্যাসিলিটিজসহ বিভিন্ন বিভাগের ঠিকাদারী নিয়ন্ত্রণকারী সিন্ডিকেট গাছ বিক্রির সিডিউল বিক্রি শেষ হলে সক্রিয় হয়ে উঠে। বিশেষ সমঝোতার নামে টেন্ডার সিডিউলগুলো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে ব্যর্থ হয়ে সরকারি দলের এক শীর্ষ নেতার নির্দেশে সিডিউল জমা নেয়া স্থগিত করা হয়।
ফলে তারা বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদে গিয়েও সিডিউল জমা দিতে পারেননি। এনিয়ে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মানজারুল মান্নানকে জানানো হলে তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন নোয়াখালীর উপকূলীয় বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সিউিউল জমা কার্যক্রম স্থগিত করেছেন।
এদিকে সংযোগ সড়ক ও রেলপথ বনায়নের উপকারভোগী আহসান উল্যা, মনির হোসেন ও ইসমাইল জানান, গাছগুলো পরিচর্যা করে উপকারভোগীরা পরিণত করেছেন। এখন যদি টেন্ডারবাজ সিন্ডিকেটের স্বার্থ রক্ষার নামে বাজারমূল্য থেকে কমে নূন্যতম দামে গাছ বিক্রির ঘটনা ঘটে তাহলে উপকারভোগীরা এবং সরকারও রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে। তারা প্রকাশ্যে টেন্ডারের মাধ্যমে উপযুক্তমূল্যে গাছ বিক্রির দাবি জানান।
এনিয়ে জানতে চাওয়া হলে নোয়াখালীর উপকূলীয় বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ বদরুল আনম ভূঁইয়া জানান, বিক্রির জন্য গাছ চিহ্ণিত করার ক্ষেত্রে কিছু ভুল হওয়ার কারণেই দরপত্র জমা নেয়ার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে কারো চাপে নয়। দরপত্র আহবানের পূর্বে এ ভূল শুধরানো হয়নি এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। প্রয়োজনীয় প্রকৃয়া শেষে পরে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
#
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।