First I do then I think what I should do......
এই লেখাটি কারো ভালো লাগবে, আবার কারো প্রচন্ড খারাপ। কেউ হয়তো আমাকে মারতে তেড়ে আসবেন। কিন্তু যা সত্যি তা বলবই।
আজ সকালে আমার কয়েকজন শুভাকাঙ্খী আমাকে ফোন করে ১লা ফাল্গুন এর শুভেচ্ছা জানাল। আমি তাদের জিজ্ঞাসা করলাম, থার্টি ফাস্ট নাইটে শুভেচ্ছা জানালেন আবার ১লা ফাল্গুনের শুভেচ্ছাও জানালেন? আপনি কোন জাতির? কোন ইংরেজ তো আসে নাই আপনাকে ১লা ফাল্গুন জানাতে?
এবার নিশ্চয়ই আমার শিরোনামটি ধরতে পেরেছেন।
জার্মানী, চীন সহ অনেক দেশে তাদের নিজস্ব ভাষায় পড়াশুনা করতে হয়। ইঙরেজরা স্লো পয়েজনিং এর মাধ্যমে আমাদের মাঝে তাদের সংস্কৃতি ঢুকিয়ে দিচ্ছে, আর আমরা সেই মতই লাফাচ্ছি। ১৭শ শতাব্দীতে তারা আমাদের দিয়ে নীল চাষ করাত মেরেধরে আর আজ তাদের অনুসরণ করি সেধে সেধে। তারা যদি তাদের সংস্কৃতি আমাদের মাঝে ঢুকিয়ে দিতে পারে তবে আমরা কেন তোতার মত হায়-হ্যালো করি? ২১শে ফেব্রুয়ারিতে বুকে কালো ব্যাজ লাগিয়ে বড় বড় বুলি ছেড়ে বাঙালী, আর পরের দিন ডিজে পার্টি- এই না হলে বাঙালী? কি দরকার শহীদদেও এভাবে অপমান করার? ইংরেজরা আমাদের দেখে হাসে আর বলে, তোরা হলি ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা, খালি নাচানাচি।
আমরা মায়ের কাছে ঝি এর বদনাম করি আবার নিজের মেয়েকেই পড়াই ইংলিশ মিডিয়াম এ।
বাপেরে ডাকি ড্যাডি আর বাপে তো মহাখুশি। আবার সেই বাপই ২১শে ফেব্রয়ারিতে করে কবিতা আবৃত্তি। আসলেই আমরা শংকর জাতের চতুষ্পদ প্রাণী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।