আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অগ্রণী ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ

বড়াইগ্রাম(নাটোর) উপজেলার সমস্যা সম্ভাবনা নিয়ে এই ব্লগে আলোচনা করা হবে। বেশী করে নিমগাছ লাগান, আপনার পরিবেশ ভাল থাকবে।

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার লক্ষীকোল অগ্রণী ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ বিল বাবদ প্রতি বছর লক্ষাধিক টাকা রাজস্ব ফাঁকি, বিভিন্ন কাজের বিনিময়ে ঘুষ গ্রহণ এবং নানা অজুহাতে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, অগ্রণী ব্যাংক লক্ষীকোল শাখা প্রতি মাসে গড়ে ৫০০০ পল্লীবিদ্যুৎ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিল জমা দেয়। এর মাঝে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার গ্রাহকের বিল ২০০ টাকার বেশী।

সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ২০০ টাকা বা তার উর্দ্ধে বিল গ্রহণের ক্ষেত্রে ৫ টাকার রাজস্ব টিকিট ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু ম্যানেজার আব্দুল মতিন ব্যাংকের সেকেন্ড অফিসার তসলিম উদ্দিন ও ক্যাশিয়ার অরুণ কুমারের যোগসাজশে প্রতিমাসে নাম মাত্র গ্রাহকের বিল ফরমে টিকিট লাগিয়ে বাকীঁ গুলোর টাকা হাতিয়ে নেন। ঋণ গ্রহণ ও ওবিসি চেক কালেকশনে চাহিদামত উৎকোচ না দিলে মাসের পর মাস ঘুরানোর অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ব্যাংক লেনদেনের সময় সূচি সঠিকভাবে না মানায় প্রায়ই গ্রাহকদের সাথে কর্মকর্তাদের বচসা হচ্ছে। সকাল ৯ থেকে বিকাল ৩ হলেও এ শাখায় ১২ টার ১০ মিনিট আগেই বিদ্যুত বিল গ্রহণের কাউন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়।

আড়াইটার পর কোন চেক গ্রহণ করা হয় না । স্বাভাবিক সময়ে গেলেও ১০ মিনিটের কাজ ৩০ মিনিটের আগে হয় না। এসব অনিয়ম-দূর্নীতির ব্যাপারে শাখা ব্যবস্থাপক আব্দুল মতিনের নিকট জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। গ্রামীণফোনের বিল পে সার্ভিসের মাধ্যমে এখানে পল্লীবিদ্যুতের বিল দেয়ার ব্যবস্থা করা গেলে গ্রাহক হয়রানী বন্ধ হতো বলে এলাকাবাসী মনে করেন। আশা করব গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ভেবে দেখবেন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.