“এই সিএনজিওয়ালা ভাই, যাবেন?”
“হ যামু। কই যাইবেন?”
“এয়ারপোর্ট। ”
“চলেন”
“ভাড়া কত?”
“আরে, স্যার মিটারে যা আসবো তাই দিবেন। ”
উপরের কথোপকথনগুলো কাল্পনিক। একটু আগে ছোট ভাইকে ফার্মগেট থেকে এয়ারপোর্ট পাঠাতে গিয়ে যখন সিএনজি ঠিক করতে গেলাম তখন মাখার মধ্যে এই কাল্পনিক কথোপকথন চলছিল।
ওর ট্রেন ছাড়বে রাত ১১টার দিকে আর আমরা তখন ফার্মগেটে একটার পর একটা সিএনজি, ক্যাব খুজছি কারন সময় হাতে মাত্র ১ ঘন্টা। কমপক্ষে ৩০ টা সিএনজি দেখা হলো তারা কেউই এয়ারপোর্ট যাবে না। এরকম পরিস্থিতিতে যারা পড়েছেন তারাই বুঝবেন যে কেমন লাগে। অনেক পর যখন প্রায় হতাশ তখন একজন সিএনজি ওয়ালা আমাদের আশার আলো দেখালেন একটু, তিনি এয়ারপোর্ট যাবেন। কিন্তু তিনি যাওয়ার জন্য দাবি করলেন ২০০টাকা।
ফার্মগেট আনন্দ ছন্দ সিনেমা হল থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত ২০০টাকা ভাড়া কিভাবে হয় আমার বোধগম্য হলো না। ইচ্ছে করছিলো সিএনজি থেকে নামিয়ে কতক্ষন পিটাই সিএনজি ওয়ালাকে। কিন্তু ইচ্ছা পূর্ন করা আমাদের মতো সাধারন মানুষের পক্ষে এত সহজ নয়। সবশেষে ওকে ৩টা বিরাট ব্যাগ সহ উঠিয়ে দিলাম এয়ারপোর্টগামী ৩নং লোকাল বাসে। রুমে এসে মনে হলো ব্লগার ভাইবোনদের সাথে শেয়ার করি ব্যাপারটা।
তাই লিখতে বসে গেলাম।
আমরা কি ওদের কবল থেকে কখনোই মুক্ত হতে পারবো না?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।