আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খুচরো কথা...

সত্য অপ্রিয় হলেও সত্য । আমি জনপ্রিয় হতে ব্লগে আসিনি ; সত্য বলতে এসেছি...

এখন বিংশ শতাব্দি নয় ; একবিংশ শতাব্দি। যে কোনও নতুন শতাব্দির লক্ষণবৈশিষ্ট্য স্পষ্ট হতে সাধারণত ১ থেকে ১৫ বছর সময় লাগে। তার পূর্ব পর্যন্ত দূরদৃষ্টি আর গভির বিশ্লেষণী পর্যবেক্ষণ না থাকলে, কারুরই মনে থাকে না যে, সভ্যতা আরও এক নতুন বৈশিষ্ট্য-নিচয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে নতুনতর ইতিহাস সূচনা ও রচনা করার তাগিদে। যেমন গত শতাব্দিতে সেটা স্পষ্ট হয়েছিলো প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরুর মধ্য দিয়ে।

সবার টনক নড়েছিলো, সবাই উপলব্ধি করতে শুরু করেছিলো : উনিশ শতকের কোনও হিশাবই আর যেন মিলবার নয়। দুটি বিশ্বযুদ্ধ আর দেশে দেশে সামরিক বাহিনীর রাষ্ট্রক্ষমতা দখল ও শাসনের মধ্য দিয়ে বদলে গিয়েছিলো উনিশ শতকের পুরনো হিশাব-নিকাশ। কিন্ত্ত বিশ শতকের প্রথম ১০/১২ বছর সবাই নিজেদের ভবিত্যকেবিচার করেছিলো উনিশ শতকে অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোয়। আর সেটা যে এক মহাভুল তা বুঝতে তাদের দেড় দশকের বেশি সময় লাগেনি। একবিংশ শতাব্দি এলো।

আমাদের মনেই থাকে না। রাজাদের আরও না। কিন্ত্ত ২০১৪ কী ২০১৮ -ই হয়তো যথেষ্ঠ হবে সময় ও শতাব্দিটাকে চিনিয়ে দিতে। এখন, এই শতাব্দিতে ____ রাষ্ট্র , সমাজ ও জনমনকে শাসন করা কোনও সরকার বা সামরিক জান্তাদের কাজ নয়। যুদ্ধ আর রাজ্য দখলের উপায়/ পদ্ধতি নয়।

কিন্ত্ত কী রাজার দল, কী আধিপত্যে অভ্যস্ত অযথা সুবিধাভোগী ক্ষমতালিপ্সু সামরিক বাহিনীগুলো ( ক্ষমতালিপ্সু ___ কেননা, বিনা যুদ্ধকর্মে অলস বসে থাকা অস্ত্রধারীরা যে, বেতনভোগি কর্মচারী তা তাদের মাথায় থাকে না, মাথায় থাকে আরও কর্তৃত্ব ও আরও ক্ষমতা অর্জনের পিপাসা...) সে সত্য বুঝতে চাইবে না। উপলব্ধির চেস্টাও করবে না ; অন্তত ১৫ বছর। সে জন্যই আমজনতাকে হয়তো আরও কিছু সার্কাস দেখে যেতে হবে অন্তত ৭/৮ বছর। তারপর নতুন শতাব্দি তার আসল চেহারায় আবির্ভূত হবে। স্পষ্ট হবে, নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার।

যেখানে রাষ্ট্র সমাজ ও মানব-কাঙ্খা নিয়ন্ত্রিত ও আবর্তিত হতে যাচ্ছে বেসামরিক মানুষের তথ্যপ্রযুক্তিগত দ্ক্ষতার সমানুপাতে। ২০৩৫ সাল নাগাদ, এমনকী , হয়তো , তৃতীয় বিশ্বের ৮০% রাষ্ট্রে কোনও নিয়মিত সেনাবাহিনীই থাকবে না । কেননা, যুদ্ধের ধারণা তো তখন অস্ত্রকেন্দ্রিক নয় ! রাষ্ট্রসমূহে বিদ্যমান মানবাধিকার পরিস্থিতিই হবে উন্নয়ন পরিমাপের নিয়ামক তথা মাপকাঠি। আজকের প্রেক্ষিতে যেমন, আমি নিজেও বহুবার ভেবেছি : ক্রসফায়ার হয়তো সমর্থন-অযোগ্য নয় । কিন্ত্ত আসলে কি তাই ? যে বা যারাই দায়ি হোক বিচার বহির্ভূত এইসব হত্যাকাণ্ড মেনে নিতে, নতুন প্রজন্ম জন্ম নিচ্ছে না, বেড়ে উঠছে না এতোটা নির্বিকার থাকবার জন্য ।

রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনের অনৈতিক তৎপরতা ও কৌশল প্রয়োগের যে সংস্কৃতি শুরু হয়েছে ২০০০ সালের দিক থেকে তা আজ মধ্যরাত পেরিয়ে আরও হয়তো ৯/১০ বছর অব্যহত থাকবে... কিন্ত্ত তার প্রায়শ্চিত্য করার করুণ ভাবি ইতিহাসটির কথাও ভেবে দেখা দরকার। এখনই সময় সংযত হবার। সময় এক উৎকৃষ্ট শিক্ষক। আচরণের ব্যাকরণ তার চেয়ে বেশি কে আর শেখাতে পারে ? (সংক্ষেপিত)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।