আমি লিখি মানুষের কথা,মানুষ পড়ে না। তারা হাসে। তাদের হাসির জন্যে আমি লিখি 'সবকিছু হাসির বিষয় নয়' তারা হাসে না! তবু আমি লিখব।
শহরের এক হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে এক রোগী। মাঝ রাতে তাঁকে
দেখতে এলেন একজন পা-টলমল ডাক্তার।
বেডের পাশে দাঁড়ালেন তিনি।
ঠিক সেই-সময়ে আরো একজন ডাক্তার রাউন্ডে এলেন। তাঁরও
টই-টম্বুর অবস্থা। তিনিও নিজের পেশেন্ট ভেবে সেই রোগীর বেডের পাশে দাঁড়ালেন।
দুই-ডাক্তার হাত চালালেন রোগীর চাদরের ভেতর।
রোগীর হাত ভেবে তাঁরা পরস্পরের হাতের কব্জি ধরলেন।
প্রথম ডাক্তার বললেন--হুম যা ভেবেছি তাই, পেশেন্ট আজ তিন-চার পেগ মদ খেয়েছে।
দ্বিতীয় ডাক্তার বললেন--হুম চার-পাঁচ পেগ সাঁটিয়েছে নিশ্চয়।
প্রথম ডাক্তার--নেশার ঘোরে আরামে ঘুমোচ্ছে, আর আমরা মরছি কষ্ট করে।
দ্বিতীয় ডাক্তার--তিন চার পেগে কেন যে এদের এতো নেশা হয়ে যায়, ঘুমোনোর আগে খেয়াল রাখা উচিত ছিল ডাক্তারবাবু আসবেন রাউন্ডে।
প্রথম ডাক্তার--যত্তো সব মাতালের কান্ড।
দ্বিতীয় ডাক্তার--যত্তোসব মাতালের কান্ড।
দুই ডাক্তার নিজের-নিজের রোগীর হাত ছেড়ে চলে গেলেন নিজের নিজের চেম্বারে।
(২)
হাতুড়ে হলেও সমর-ডাক্তারের বেশ নাম-ডাক আছে। সুবোধের খুব ইচ্ছে ডাক্তারী শেখার।
তাই সে তিন-বছর ধরে ডাক্তার বাবুর ব্যাগ বয়েছে। অনেক অসুখ এবং ওষুধের নাম মুখস্ত করেছে। কিন্তু ডাক্তারীর আসল রহস্য ভেদ করতে পারছে না।
শুনে ডাক্তারবাবু বললেন--আমার সাথে কয়েকদিন থাকো, তাহলে বুঝতে পারবে, যা দেখবে,যা শুনবে মনে রাখতে হবে।
একদিন এক রোগীর বাড়ি গেলেন ডাক্তার বাবু।
সাথে সুবোধ। ডাক্তার বাবু বললেন--চানাচুর খেলে তো অসুখ সারবে না মা-মণি।
কিশোরী সলাজ হেসে স্বীকার করল অপরাধ। বললো--আর কখনো খাবে না।
বাইরে বেরিয়ে সুবোধ বলল--আপনি কি করে জানলেন মেয়েটা চানাচুর খেয়েছে?
ডাক্তার হেসে বললেন-এইজন্যেই বলি, চোখ-কান খোলা রাখবে।
তুমি খেয়াল করোনি রোগীর বিছানায় চানাচুরের টুকরো পড়েছিল?
এই তাহলে ডাক্তারীর রহস্য ভেবে সুবোধ নিজের চেম্বার খুললো।
প্রথম-দিনেই কল। রমানাথ মাস্টারের মা গুরুতর অসুস্থ। ছুটে গেল সুবোধ-ডাক্তার। দেখল-রোগীর বয়স আশীর কাছাকাছি।
বিছানা থেকে ওঠার ক্ষমতা নাই।
বললো--ইনি নিশ্চয় বিড়াল খাইয়াছেন, বিড়াল খেলে অসুখ কি করে ভাল হবে বলুন।
হতবাক রমানাথ বললেন--কি করে বুঝলেন, আমার মা বিড়াল খেয়েছেন?
--কেন, বিছানার চাদরে বিড়ালের পায়ের দাগ আপনাদের চোখ এড়াতে পারে, ডাক্তারের চোখকে ফাঁকি দেবার উপায় নাই!!!
(ফটো নেট থেকে নেওয়া)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।