আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মহীউদ্দীন খান আলমগীর



ঢাকা, জুলাই ১৩ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- অবৈধ সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় বিচারিক আদালতে সাজাপ্রাপ্ত সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে বেকসুর খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর ও মোহাম্মদ রইস উদ্দীনের বেঞ্চ আওয়ামী লীগের এ নেতার আপিল আবেদনের ওপর পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষে এ রায় দেয়। সাংসদ আলমগীর এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ২০০৭ সালের ২৬ জুলাই অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় মহীউদ্দীন আলমগীরকে ১৩ বছর সাজা দেয়।

রায়ের পর আলমগীরের আইনজীবী রফিক উল হক সাংবাদিকদের বলেন, "মহীউদ্দীন খান আলমগীরসহ ৫০ জনকে ২০০৭ সালের ১৮ ফেব্র"য়ারি সম্পদের হিসাব চেয়ে নিয়ে দুদক যে নোটিশ দিয়েছিল সেই নোটিশটি ছিল অবৈধ। "আর এই অবৈধ নোটিশের ভিত্তিতে যে মামলা ও সাজা হয়েছে তাও অবৈধ। এই বিবেচনায় আদালত মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সাজা বাতিল করে দিয়েছে। " দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলায় সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে এই প্রথম মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে খালাস দিল হাইকোর্ট। এ রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করবে।

কারণ আপিল করার মতো যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে। " ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ৩ ফেব্র"য়ারি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আলমগীরকে আটক করে যৌথবাহিনী। ওই বছরের ১৮ ফেব্র"য়ারি দুদক দেশের ৫০ জন রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, আমলা ও অন্যান্যদের একটি তালিকা প্রকাশ করে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাদের নিজের ও স্ত্রী-সন্তানদের নামে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব জমা দিতে বলে। ওই তালিকায় আলমগীরের নামও ছিল। এরপর ২২ ফেব্র"য়ারি আলমগীরের ভাই অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর এবং ভাইপো অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন দুুদক কার্যালয়ে গিয়ে মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সম্পত্তির হিসাব জমা দেন।

দুদকে দেওয়া সম্পত্তির হিসাব বিবরণীতে তথ্য গোপন ও অবৈধভাবে সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগে ৬ মার্চ আলমগীরের বিরুদ্ধে কমিশনের উপ-পরিচালক জীবন কৃষ্ণ রায় বাদী হয়ে তেজগাঁ থানায় মামলা করেন। ২০০৮ এর ২৮ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে এ মামলায় জামিন পান আলমগীর। এরপর ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এ মামলায় তার সাজা স্থগিত করে। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আলমগীর বলেন, "এই রায়ে হাইকোর্টের বিচারপতিদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। এ রায়ের ফলে স্বাধীন বাংলাদেশে আর কেউ মিথ্যা মামলা করতে সাহস পাবে না।

" ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রচুর নেতা-কর্মী এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। - বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.