আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রসঙ্গ 'ল্যাম্পপোস্ট'ঃ টিপাইমুখ বাঁধ প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রথম আত্মদানের সংবাদের অপেক্ষায়।



ঘুম ভাঙ্গা চোখে আজ ৭ জুন 'প্রথম আলোর' প্রথম পাতায় চোখ রাখতেই মেজাজ টা বিগড়ে গেল। প্রথম আলোর প্রথম পাতার সংবাদ.......................................... 'ল্যাম্পপোস্ট' নামে গুলশানে চরমপন্থী সংগঠনের বিক্ষোভ' Click This Link ক 'টিপাইমুখ বাঁধ' নির্মাণ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদসহ আরও কিছু ইসু নিয়ে 'ল্যাম্পপোস্ট' নামক বামপন্থী সংগঠনের কর্মীদের ভারত দুতাবাসের সম্মুখে সমাবেশে পুলিশের ন্যাক্কারজনক হামলা এক দিকে যেমন সারা নিন্দার ঝড় তুলেছে , অপর দিকে সংগঠনটির তরুণ কমরেডদের দুঃসাহসিকতা তন্দ্রাচ্ছন জাতিকে একটা নাড়া দিয়েছে। গত কাল ৬ জুন ২০০৯ দেশের জাতীয় দৈনিকগুলো ৫ জুন এর ঐ সংবাদটি কে বিভিন্ন মাত্রায় 'কভার' করেছিল। ৫ জুন 'দৈনিক প্রথম আলো ' সচিত্র কাভার করে শেষ পাতায়। দৈনিক প্রথম আলো কতৃক নিউজটি কে শেষ পাতায় কভার করা নিয়ে দু'টি ডানপন্থী সংগঠনের সমর্থক ব্রগাদের ঊস্মা গতকাল আমার কাছে কিছুটা হাস্যকর মনে হয়েছিল।

কারণ শেষ পাতায় সংবাদহীন ভাবে নিউজটির শুধু ছবি ছাপে ডানপন্থী পত্রিকা ইনকিলাব । দৈনিক ইত্তেফাকও সংবাদসহ শেষ পাতায়। দি ডেইলি স্টারে কোন নিউজ ছিল না। যাহোক আজকালে দৈনিক প্রথম আলো 'ল্যাম্পপোস্ট' নামে গুলশানে চরমপন্থী সংগঠনের বিক্ষোভ' শীরনামে মূলতঃ সংগঠনটির দুঃসাহসিক ইমেজ ধ্বংস করার জন্য তৎপর হযে উঠে। পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (এমএল) এর সাথে সম্পর্ক খুজবের করা এবং এই তরূণদের মুখে সন্ত্রাসের কালিমা লেপনই এর উদ্দেশ্য।

খ 'ল্যাম্পপোস্ট' নামক সংগঠনটির সম্পর্কে আমার বিস্তারিত পূর্ব জ্ঞান নেই। তবে বিগত বছর গুলোতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যারয় ক্যাম্পাস অতিক্রমের সময় সংগঠনটির দেয়াল লিখন আমার চোখে পড়ে। 'ল্যাম্পপোস্ট' নামক সংগঠনটির মুখোপত্রে চোখ বুলাবার সুযোগ আমি একবার পেযেছিলাম। এই দুই অবজাভেশন থেকে আমার মনে করি.............. বিপ্লবের রণনীতি রণকৌশল হিসাবে 'ল্যাম্পপোস্ট' নামক সংগঠনটি "নয়াজনগনতান্ত্রিক'' বিপ্লবের দৃষ্টি ভঙ্গি গ্রহন করেছে। বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থাকে সংগঠনটি 'নয়া সাম্রাজ্যবাদি উপনিবেশ' হিসাবে চিহ্নিত করে।

অপর দিকে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (এমএল) এর দৃষ্টিভঙ্গি ভারতের নকশাল বাড়ি আন্দোলনের অনুকরণে "জনগনতান্ত্রিক'' বিপ্লবই পথ আর বাংলাদেশে সামান্তীয় সমাজ কাঠামোতে প্রত্যক্ষ ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ বিদ্যমান বলে তারা মনে করে। দুটি সংগঠনের সুস্পষ্ট রাজনৈতিক মতার্দশ ভিন্নতা সুস্পষ্ট। গ প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মীদের পিছনে চরমপন্থী ছাপ্পর মারার প্রয়াস আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্ভাবিত স্ট্রাটেজ নয়। এটা বিগত জোট সরকারের সময় থেকে বহুল ব্যবহৃত প্রয়াস। আমার একান্ত ঘনিষ্ট একজনের অবিজ্হতা তুলে ধরী ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারী বই মেলা থেকে ফিরবার পথে ডঃ হুমায়ূন আজাদ সন্ত্রাসীদের নির্মম হামলার সম্মুখীন হন।

ঘটনা পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যারয়ের ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভে ফেটে পরেন। বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-ছাত্রযীদের হামলার শিকার হয় দায়িত্বরত পুলিশ। পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে সামাজ তান্ত্রিক ছাত্রপ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির তৎকালিন সভাপতি খালেকুজ্জামান লিপন কে গ্রেফতার কর হয়। খালেকুজ্জামান লিপন কে পূর্ব বাংলা (লালপতাকা) এর শীর্ষ নেতা হিসাবে প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ নিম্ন আদালত থেকে রিমান্ডে নিয়ে নির্মম নির্যাত চালায়। ডঃ হুমায়ূন আজাদের উপর হামলাকারীদের খুজে বের করতে না পারলেও বিশেষ ক্ষমতা আইনে সামাজ তান্ত্রিক ছাত্রপ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির তৎকালিন সভাপতি খালেকুজ্জামান লিপন দীর্ঘ দিন কারাভোগ ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন।

ঘ বিগত সরকারের সময় থেকে অপছন্দের মানুষকে কিংবা নিছক ব্যক্তিগত সংঘাতের অংশ হিসাবে অসংখ্য নিরাপরাধ মানুষকে কখন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (এমএল) কখন জনযুদ্ধ বা কখন লালপতাকার স্টিকার্ট লাগিয়ে ক্রসফায়ার বা এন কাউন্টারের হত্যা করা হয়েছে। ডাক্তার টুটুলের মায়ের করুণ আর্জি উপেক্ষা করে তাকে তথাকথিত এনকাউন্টারে হ্যাত করা হয়। আমি সংকিত যে টিপাইমুখ বাঁধ প্রতিরোধ আন্দোলনের বাংলাদেশের মাটিতে প্রথম শহীদের নাম হিসাবে 'আশিষ কারোয়া' আর 'প্রিস্ন মাহমুদ' এর নাম হয়তো আগামী কাল সকালে পত্রিকার পাতায় আমাকে পড়তে হবে। সময় তাকলে পড়ুন দি ডেইলি নিউ এজ ৭ জুলাই ২০০৯ Attack on Tipai demo triggers more protests Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।