সত্য সমাগত, মিথ্যা অপসৃত...............।
বহুত বছর আগে ইউরোপে নেপোলিয়ন নামে একজন মহাবীর আছিলেন, যিনি বলছিলেন, "অসম্ভব শব্দখান খালি বেকুবগো ডিকশনারীতেই পাওন যায়" । হেই মানুষডা ফ্রান্স দ্যাশের রাজা হইয়া এমুন যুদ্ধ শুরু করলেন যে বৃটীশ রাজ আর রাশিয়ার জারের ঠ্যাঙ কাঁপাকাপি শুরু হইয়া গেলো। কিন্তুক, কুদরতের খেলে ১৮১৫ সালে ওয়াটারলু যুদ্ধে হাইরা গিয়া তারে সেন্ট হেলেনা দ্বীপে পাঠায়া দেয়া হইলো। সেইখানে ছয়বছর পরে তার ইহলীলা সাঙ্গ হয়।
দুর্জনেরা কয় ভদ্রলোকেরে পরিকল্পিতভাবে আর্সেনিক বিষপ্রয়োগে হত্যা করা হইছিল।
গত কয়দিন ধইরাই আমার খালি উপ্রের এই গল্পখান মনে পইড়া যাইতেছে।
কারন, নিচের খবরগুলান!
১. হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন সাবেক দুই উপদেষ্টা মইনুল ও মতিন
২. হাসিনার খাবারে বিষ ছিল, সন্দেহ উপদেষ্টা মোদাচ্ছেরেরও
আমাগো বর্তমান প্রাইম মিনিষ্টার শেখ হাসিনা আফা আমাগো স্বাধীনতার স্থপতির সুযোগ্য কইন্যা। তেনার জইন্য আমাগো দিলে যথেষ্ট সম্মান আছে। কিন্তুক, প্রাইম মিনিষ্টার হিসাবে আগের টার্মে তেনার মোসাহেবের দল তেনার উপ্রে দিয়ে যেইভাবে ডক্টরেট ডিগ্রির বন্যা বয়াইয়া দিছিলো, তাতে এই সম্মান বিন্দুমাত্র বাড়ে নাই।
প্রভাবশালী মন্ত্রী তো তেনারে মাদার তেরেসার লগে ও তুলনা করছেন। কইছেন, "আমার নেত্রী জীবনে ও ভুল করেন নাই"! কপাল গুনে তিনি আবার এখন আমাগো প্রেসিডেন্ট!
ভাবতেছিলাম এই টার্মে আইসা এইসব জিনিস বদলাবো। কুথায় কী? কুনো চেঞ্জ নাই!
জেলে বিষ প্রয়োগের পরেও তিনি যেই ভাবে প্রবল প্রতাপে দেশ শাসন আর পলিটিক্স কইরা যাইতেছেন, দুই দিন পরে তো তেনার চামচার দল তেনারে নেপোলিয়নের চাইতে ও বড় বীর কইয়া আখ্যা দিয়া ফালাইবো!
শেষ কথাঃ
টিভি-টুভি কম দেখা হয়। এর মইধ্য দিয়া ক্যাম্নে জানি টিপাইমুখ নিয়া পিনাক রঞ্জনের অশ্রাব্য খিস্তি গুলান শুইন্যা ফালাইছিলাম। হাত-পা নাড়ায়া, মুখ বাঁকায়া আর চোখে ইংগিত দিয়া হেয় যেইভাবে আমাগো বিশেষজ্ঞগণেরে আবাল-বিশেষভাবে অজ্ঞ প্রমানে অপচেষ্টা চালাইলো, আমি ঐখানে থাকলে তো মনে হয় ওরে ধইরা থাবড়াইতাম।
কিন্তুক, আমাগো দীপু আফাতো হাসিমাখা মাখা মুখে হুউন্যাই গেলেন; কিছু কইলেন না!
অপমানে সারা শরীর জ্বইল্যা যাইতে ছিল! যাই হউক, দুই সপ্তাহ পরে আফায় মুখ খুললেন। যা কইলেন, "ব্যক্তিগত ভাবে আমার মনে হয়েছে তিনি 'হয়তো' কূটনৈতিক শিষ্টাচার মানেন নি"। আবার মাথা গরম হইয়া গেলো। আরে বেডী, তুই মিনিষ্টার হিসাবে সংবাদ সম্মেলনে আইছস, তোর ব্যক্তিগত মত দিয়া আমাগো কামডা কী? তার পরে ও মনরে বুঝ দিলান। কিছুতো কইল।
কিন্তুক, পরেরদিনেই জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুলের পোলার কথা হুইন্যাই বুঝলাম যে, হেরা আসলে বাঙালীরে হাইকোর্ট দেখাইবার চায়! পিনাক যেই সব কথা কইছে, তাতে at least তারে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে ডাইক্যা শাসায়া দেওনের কাম আছিলো, সেইখানে সৈয়দ আশরাফের এই কথা হুইন্যা মনে হইছে যে, আইজকা অর বাপে বাইচ্যা থাকলেও অরে ধইরা একখান উষ্ঠা মারতো। আমরা তো আম জনতা । আমাগো খালি হুইন্যা যাওন আর দেইখ্যা যাওনের কাম!
মনডা ভালা নাইগো ভায়েরা!
শ্যাষ হইয়া ও হইলো না শ্যাষ!
(সত্যিই সত্যিই বিষপ্রয়োগের ঘটনা ঘটে থাকলে এই নিয়া অহেতুক গলাবাজি না করে তদন্ত করুন এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন। সবকিছুর পরেও শেখ হাসিনা এদেশের বেশীরভাগ মানুষের ভোটে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী!)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।