আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমরা আসলে কার স্বার্থ উদ্ধারে ব্যাস্ত?

বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d

গত ২১শে জুন, রাজধানীর একটি হোটেলের একটি সেমিনারে ভারতের হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী তার বক্তব্যে যে সব মন্তব্য করেছেন তা নিশ্চই প্রচন্ড আঘাত হেনেছে এদেশের মানুষের মনে। তার উদ্ধত্বপূর্ণ মন্তব্য গুলোর তাৎক্ষনিক কোন জবাব আসেনি সরকারের পক্ষ থেকে। অথচ সেই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সহ অনেক গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। জবাব এসেছে ১০ দিন পরে।

তাও আবার স্বপ্রণোদিত হয়ে নয়। বরং সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উত্তর দেন, "পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী হয়ত কূনীতিক সীমারেখা মানেন নি। " এখানে "হয়ত" শব্দটি কোন স্বার্থে ব্যাবহার করা হয়েছে সেটা আমরা সাধারন জনতা বুঝতে পারছি না। জনাব পিনাক কিভাবে বাংলাদেশ সম্পর্কে এমন মন্তব্য করে পার পেয়ে যান, সেটার জবাব সরকারই ভালো বলতে পারবেন। কি স্বার্থ রয়েছে সেটা আমরা আমজনতা না বুঝলেও হয়ত সরকার বোঝে।

উল্লেখ্য, জনাব পিনাকের এমন মন্তব্য করার অভ্যেস শুধু এখনই না অতীতেও তিনি বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন বিষয় নিয়ে অনেকবার এমন কথা বলেছেন। কখনোই সরকারের পক্ষ থেকে তাকে কোন শোকজ করা হয়নি। সরকারের ভাষায় ভারতের সাথে রয়েছে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সেটা বন্ধুত্বপূর্ণ নয় বরং জুজুভীতি অবস্থা জ্বী হুজুর টাইপের এমন কিছু। এবার আসি একটি জাতীয় দৈনিক বেলায়। নিঃসন্দেহে এটি একটি প্রথম সারির বহুল প্রচারিত জাতীয় (!) পত্রিকা।

যারা একাধারে জাতিকে শপথ বাক্য পাঠ করিয়ে পাপমুক্ত করার মত মহান কাজে ব্যাস্ত। সেই হিসেবে আমরা ধরেই নিতে পারি, এই পত্রিকাটি বাংলাদেশের স্বার্থ এবং সার্বভৌমত্বে পূর্ণমাত্রায় বিশ্বাসী। বরং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোন অপপ্রচার হলে তামাম পাঠক বন্ধুদের নিয়ে সেটার বিরুদ্ধে মতবাদ গড়ে তুলতেই পারে। তারা পুরো সমাজকে বদলে দিতে পারে অথবা তারা দাবী করতেই পারে, যা কিছু ভালো তার সাথে তারা আছে। কিন্তু গত ২২শে জুন এই পত্রিকায়ও ২১শে জুনের সেমিনারের খবর ছাপা হয়েছিল "সেমিনারে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতঃ টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ ভারতের একরাতের সিদ্ধান্ত নয়" শিরোনামে।

দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সেই খবর যেকেউ পড়লে কোনভাবেই বুঝতে পারবে না যে, ঐ সেমিনারে জনাব পিনাক এমন কিছু বলেছিলেন যা কূটনীতিক শৃষ্টাচারের পরিপন্হী। বরং খুব বুদ্ধিমত্ত্বার সাথে পাশ কাটিয়ে খবরটি পরিবেশন করা হয়েছে। তাহলে এখন প্রশ্ন আসতেই পারে, এই পত্রিকাটি আসলে কাদের স্বার্থ সিদ্ধিতে ব্যাস্ত? আমাদের মিডিয়া জগতের আইকনের যদি এমন চেহারা হয় তবে আমাদের স্বাধীনতা আর সার্বভৌমত্ব লালন করবে কারা? মিডিয়ার কলমের লেখা থেকে বর্তমান আর ভবিষ্যত প্রজন্ম কি জানবে সত্য কোনটা আর অসত্য কোনটা? এর উত্তর কে দিবে? কে প্রজন্মকে মনের গহীনে নিজ দেশের প্রতি স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে সত্বাকে জাগিয়ে তুলবে? যারা আজ "জাতির দিন বদলানো আর যারা বদলে যাও বদলে দেবার কাজে মহাব্যাস্ত তারা জাতিকে আসলে কি উপহার দিবে সেটাই আসলে সন্দেহের বিষয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.