আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আসলে কি হচ্ছে!!!

এখানে নীল জল টলমল করে,এখানে নীলের ছায়া পড়ে

সেই কোন ক্লাশে পড়া শুরু করেছিলাম আমরা মনে নেই,তবে এখন ও মনে আছে খাদ্য, বস্র,বাস স্থান,শিক্ষা স্বাস্য্থ, মানুষের পাঁচটি মৌলিক চাহিদা। একক ভাবে কোন মানুষ প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠতে পারে না। একক একজন মানুষের পক্ষে এই মৌলিক চাহিদা গুলো পূরন করা কখনও সম্ভব না। কিছু না কিছুর জন্য তাকে অন্যের উপর নির্ভর করতে হয়। একজন মানুষ চাইলেই ডাক্তার আর তাতী একসাথে হতে পারে না।

তার যে যার যোগ্যতা অনুসারে কাজ করে আর এর সুষম বনটন করে নির্বাচিত সরকার। এখন মনে হচ্ছে এর দায়ভার আর সরকার নিতে রাজী না। এখন নিজের দায় নিজে ই নিতে হবে। আর দায়িত্ব দেয়া হবে ক্ষুদ্্র ঋন দাতাদের। তারা ই হবে আমাদের ত্রাতা।

শিক্ষা, স্বাস্থ্যর মতো বিষয় গুলোতে ও আর সরকার নাক গলাতে রাজী না। সব কিছু চলবে ঋণ ভিত্তিক। তবে কি অবৈতনিক শিক্ষার বিষয়টা উঠে যাবে?!!!এখন কি আমার ছেলেকে প্রাইমারী স্কুলে পাঠাতে হলে মহাজনদের কাছ থেকে ঋন করে পাঠাতে হবে!! তা মহাজনরা যে রকম শর্তেই দিক তা মেনে নিতে হবে?!!!সরকার কি কোন দায়ভার নিবে না? তবে কেন আমরা সরকার নির্বাচিত করবো? কেন আমরা এই সরকারকে কর দিব?এই কর আমাদের কি কাজে আসবে? এই কর দিয়ে সুরম্য সরকারী ভবন নির্মান হবে, চকচকে রাস্তা নির্মান হবে, রাস্তার দুই পাশের বস্তি উচ্ছেদ করে সবুজ গাছ লাগানো হবে। ছবির মতো সুন্দর দেশ হবে। সুন্দর দেশের বাতাস নিতে নিতে ক্ষুধায় অশিক্ষায়,বেড়ে উঠা আমি রোগবালাইয়ে ভুগে মাটির তলে।

প্রাকৃতিক দুর্যক এ আমার কি হবে, আমার তো আবাস ই নাই। যেখানে সরকারের উচিৎ শিক্ষা ,স্বাসথ্যর জন্য অনুদান দেয়া বা নাম মাত্র মূল্যে বা বিনা মূল্যে(আয়ের পরিমানের ভিত্তিতে) স্বাস্থ্য সেবা দেয়া সেখানে ক্ষুদ্্রঋনের কথা বলে সরকার কি বুঝাতে চান। আমি কিছু ই বুঝতে পারছি না। আমি অর্থনীতি বুঝি না, আমি এই ঋনের মারপ্যাচ ও বুঝি না, তাই তাদের কথার কোন আগা মাথা ও বুঝি না.....আমার মথায় কিছুই ধরছে না।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.