---
খৃষ্ট ও ইহুদী সমাজে নারীর আন্ত:ধর্মীয় অবস্থান বিশ্লেষণের পর এবার চলে আসি হিন্দু ধর্মে ।
মনুর বিধানে পিতা ,স্বামী ও সন্তানের কাছ থেকে কোন কিছু পাওয়ার মত অধিকার নারীর নেই। বলতে দ্বিধা নেই , হিন্দু ধর্মের মত খৃষ্ট ও ইহুদী সমাজে পারিবারিক সম্পত্তিতে নারীর কোন অধিকার ছিল না । পুঁজিবাদী ও স্বার্থান্বেষী খৃষ্টান ও ইহুদী পণ্ডিতেরা ধর্মগ্রন্থগুলো বিকৃত করে সম্পত্তিতে নারীর অধিকার আইন বিলোপ করে। নবী মুহাম্মদের আগমনের পর সর্বপ্রথম নারীরা সম্পত্তিতে উল্লেখযোগ্য অংশিদার হয়।
পিতৃ ও স্বামী উভয়ের সম্পত্তিতে নারীরা স্থায়ীভাবে অংশিদার হয়। পুরুষতান্ত্রিক ধর্মীয় সমাজে তা ছিল নজীরবিহীন ঘটনা। এ নিয়ে তোলপার হয় নবী মুহাম্মদের বিরুদ্ধে ইহুদী ও খৃষ্টান পণ্ডিতরা আদাজল খেয়ে নামে এমনকি তাকে হত্যার ষড়যন্ত্রও করে। বানানে ভুল থাকলে মাফ করবেন। তবে যথাসাধ্য শুদ্ধ বানানে লিখে যাওয়ার চেষ্টা করছি।
অনেক পাশ্চাত্য পণ্ডিতের মতে , তখন-ই সর্বপ্রথম নারী অধিকার ও তার নির্যাতন প্রতিরোধে আইনের শক্ত ভিত্তি স্থাপিত হয় । বিস্তারিত অন্য সময়ে আলোচনা করা যাবে । এবার প্রাসঙ্গিকতায় ফিরে আসি। হিন্দু ধর্মে স্বামীর মৃত্যু হলে তাকে বৈধব্যের জীবনযাপন করতে হয়। জীবনে কোন স্বাদ-আনন্দ-আহলাদ-উ্রৎসবে অংশগ্রহণ তার পক্ষে চির নিষিদ্ধ।
নেড়ে মাথা, সাদা বস্ত্র পরিহিতা অবস্থায় আতপ চালের ভাত খেয়ে জীবন যাপন করতে হয় তাকে। স্বামীর মৃত্যুর সাথে সহমৃত্যুবরণ বা সতীদাহ রীতিও পালন করতে হতো হিন্দু নারীকে। বৃটিশরা এই তো কয়েকদিন আগে সেই সতীদাহ বন্ধ করে। টানা ১০০০ বছর শাসন করার পরও মুসলিম মোঘল শাসকেরা এই প্রথার ব্যাপারে কেন উদসীন ছিল , তা কৌতুহলের ব্যাপার।
ভারতে যুবতি নারীকে দেবতার উদ্দেশ্যে- দেবতার সন্তুষ্টির জন্যে কিংবা বৃষ্টি অথবা ধন-দৌলত লাভের জন্যে বলিদান (ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে মাথা কেটে ফেলা) করা হত।
একটি বিশেষ গাছের সামনে এভাবে একটি নারীকে বলি দেয়া ছিল তদানিন্তন ভারতের স্থায়ী রীতি। প্রাচীন ভারতে নারীর অবস্থা অন্যান্য সমাজের তুলনায় অধিক নিকৃষ্ট ছিল। প্রচীন ভারতের প্রখ্যাত আইন রচয়িতা মনু মহারাজ নারী সম্পর্কে বলেছেনঃ
“নারী অপ্রাপ্তবয়স্ক হোক, যুবতী হোক, আর বৃদ্ধা হোক- নিজ ঘরেও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না।
“মিথ্যা কথা বলা নারীর স্বভাব ও বৈশিষ্ট। মিথ্যা বলা , চিন্তা না করে কাজ করা, ধোঁকা প্রতারণা, নির্বুদ্ধিতা, লোভ, পংকিলতা, নির্দয়তা এ হচ্ছে নারীর স্বভাবগত দোষ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।