আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাদশা হারুন অর রশিদ/এহসান হাবীব

ফোঁটায় ফোঁটায় জহর আমি জমা করে রাখি তোর নাম করে বুড়ি জপি নতুন রুবাই ।

আজকাল প্রায়শই বাদশা হারুন অর রশিদকে মনে পড়ে প্রৌঢ় লোকটির। প্রৌঢ় তার শৈশবে শোনা বাদশা হারুন অর রশিদের গল্পটাকে ভাবে। সেই যে বাগদাদের খলিফা আর আবু হোসেনের গল্প! ছোট্টবেলা যখন আমরা এই গল্প পড়েছি তখন খুব অদ্ভুত মজা হত। খলিফার তামাশা যেমন আমাদের মজা দিত আবু হোসেনের বোকামি তারও চেয়ে বেশী মজার উদ্যোগ এনে দিত।

কিন্তু এতো ছেলেবেলার কথা। তারপর কতদিন... সেই আবু হোসেন আর খলিফা হারুন অর রশিদ কবেই স্মৃতির পাতা থেকে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেছে। আজ আর মজার বিষয় হয়ে নয়। খলিফার সেই অতি পরিচিত গল্পটা প্রৌঢ়র মাথায় হঠাৎ হঠাৎ উঁকি দিয়ে যায়। কিন্তু কেন যে এই স্মৃতিটা এতদিন পর ফিরে আসছে প্রৌঢ় তা ধরতে পারে না।

এর কোন কার্যকরণসূত্রও যে খুঁজে পায় না। মানুষ যখন বুড়িয়ে যায় তখন তার ভেতরে এক ধরনের রোমন্থন কাজ করে। জীবনের পেছনে পড়ে থাকা দিনগুলো তার স্মৃতিতে সজীব হয়ে ওঠে- এটা প্রৌঢ় জানে। সেলিব্রেটিদের জীবনেও আসে প্রৌঢ়ত্ব, আসে ভাটার টান। সেই টান কী তাহলে তাকে কাবু করে ফেলছে? একটা অদ্ভুত শিরশিরানি সে টের পায় তার মেরুদণ্ডে।

বুঝলাম প্রৌঢ়ত্ব তাকে গ্রাস করছে। স্মৃতির জাবর কাটতে কাটতে অনেকটা সময় তার নষ্ট হবে অলস বিকেলে। কিন্তু একটা বিষয়! নিজের জীবনের স্মৃতি, ঘটনা, শৈশব, যৌবনের কথা মনে এলে তার তো ভালই লাগে। কিন্তু এসব তো নয়, বরং কৈশোরে কি শৈশবে, কতকাল আগে পড়া একটা গল্প এক সেলিব্রেটির ব্যস্তজীবনে একটু পর পরই হানা দিয়ে গেলে তাকে একটু বিব্রতকরই হতে হয় বৈকি। তার উপর এই গল্পটা মনে এলে কেমন যেন একটু ভয় ভয় করতে থাকে প্রৌঢ়র।

দিন কয়েকের ভেতর এক প্রৌঢ় সেলিব্রেটির জীবনে আসে পরিবর্তন। প্রৌঢ় সেলিব্রেটি। যিনি শিল্পের একটি মাধ্যমে প্রভূত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। দেশ এবং দেশের বাইরে যার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিল সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো কেশর উচিয়ে দুলতে দুলতে। যৌবনে যার তর্জনীর ইশারায় ডানে বায়ে ঘুরে যেত ময়দানের মানুষের রুচি।

যেখানেই সে যেত মনে হত, যেন সে হ্যামিলনের সেই জাদুর বাঁশিওয়ালা। মন্ত্রমুগ্ধের মতো পেছনে তার ভক্তদের মিছিল লেগে থাকত। চারদিক তার 'গুরুজী' 'গুরুজী' সম্ভাষণে মুখর হয়ে উঠত। এতে তার একটুও বিরক্তিবোধ ছিল না। বরং সে এইসব সম্ভাষণ, আপ্যায়ন, স্বাগতমের বাহারকে জীবনে উদযাপন করত।

সেই প্রৌঢ়ই আজ এক আবু হোসেনের গল্পের স্মরণে ভীষণভাবে বিপর্যস্ত। যেন চারদিকের কোলাহল তার শরীরে থেকে থেকে হুল ফুটিয়ে দিচ্ছে। প্রৌঢ় মনেপ্রাণে একটু অবসর চায়, চায় একটু নিশ্চুপসময়। যেন সে গোপনে কিছু ভাবতে চায়। গোপনে, অতিগোপনে সে এই আবু হোসেন আর খলিফা হারুন অর রশিদের গল্পের একটা কিনারা করতে চায়।

এই গল্পের কাহিনী এবং কাহিনীজাত ভয় বা অস্থিরতা সে কারও সাথে বিনিময় করতে পারছে না। কেন যেন তার মনে ভয় হয়, বিষয়টি কেউ জেনে ফেললেই সর্বনাশ! জেনে ফেললেই বিপদ। কোথায় যেন একটা ভয়, কোথায় যেন একটা সংকোচ তাকে তাড়া করে ফেরে। প্রৌঢ় গুম মেরে যায়। হঠাৎ করে সে চুপ হয়ে যায়।

চারদিকের কোলাহল থেকে সে কাউকে কিছু না জানিয়ে নিজেকে সরিয়ে নেয় সংগোপনে। এবার সে একটু একা একা নিজের জীবনকে ভাবতে চায়। যেন সে ভাবে, তার এইজীবনের গল্প ভাবার মধ্যেই হয়ত লুকিয়ে আছে মুক্তি। তার মনে হয় আবু হোসেন আর খলিফা তার নিজের জীবনের বুকের মধ্যে বসে থেকে এক ধারালো খঞ্জর দিয়ে তাকে খোঁচাচ্ছে অনবরত। প্রৌঢ় ফিরে যায় জীবনের শুরুতে।

খুবশৈশবটা অবশ্য সে ভাবতে চায় না। কারণ তার খুবশৈশবটা শুরু হয়েছিল খুবই শাদামাটাভাবে। সে তো এক গরিব ঘরের সন্তানই ছিল। প্রৌঢ় নিশ্চিত যে, আজকের এই পর্যায়ে আসাটা তার কল্পনায়ই ছিলো না কোনদিন। তার স্পষ্ট মনে আছে তার বয়স যখন সাত কিংবা আট তখন অঞ্জনের সেই বিখ্যাত "একটু ভাল করে বাঁচব বলে" গানের মতই খুব বেশি কিছু নয়, এই একটু ভাল করে বাঁচার জন্যই, দরিদ্রতা, সংসারের নিত্য অভাব আর ঝগড়ার হাত থেকে নিস্কৃতি পেতে একদিন সে তার প্রিয় বাবা আর মাকে ছেড়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়।

এবং সে নিরুদ্দেশ হয়েই থাকতো যদি না বছর কয়েক পরে আলাদিনের জাদুর চেরাগটা সে পেয়ে যেত। প্রৌঢ়র হাসি পায়। সত্যিই তো একটা আলাদিনের জাদুর চেরাগই সে পেয়েছিলো আর চেরাগের দৈত্য হয়ে এগিয়ে এসেছিল একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি। যে কাজটি তাকে করতে হয় তা সে শৈশব থেকে মোটামুটি ভালই পারে। খেয়ে পরে দিন পার করা যেত কিন্তু এতটা ভালো নয় যে তা তাকে সেলিব্রেটির পর্যায়ে পৌঁছে দিবে।

নিতান্তই জাদুর চেরাগ আর দৈত্য না হলে তা হয় না। বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানটি যখন একটি কম্পিটিশনের আয়োজন করে তখন সে কতকটা বিনে পয়সায় নাম নিবন্ধনের সুযোগ আর কতকটা কৌতুহলের বশবর্তী হয়েই ওখানে যায়। তারপর প্রাথমিক বাছাইয়ে সে টিকেও যায়। প্রথম দিকে ভালই করছিলো কিন্তু ক্রমশ যখন প্রশিতি ও ঝানু প্রতিযোগিরা মঞ্চে হাজির হতে লাগল তখন থেকেই সে একটু একটু করে পিছিয়ে পড়তে থাকে। ততদিনে সারা দেশ জেনে ফেলেছে তার বাবা মায়ের খবর।

অন্যদিকে কোম্পানিও জেনে ফেলেছে যে, এই প্রতিযোগির দারিদ্রকে পুজি করার মতো যথেষ্ঠ কারণ আছে। একদিকে যদি তার দারিদ্রকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে প্রচার করে অন্যদিকে তাকে প্রতিযোগিতায় টিকিয়ে রাখা যায় তাহলেই কেল্লাফতে। আসবে কোটি কোটি টাকার এস এম এস যেখান থেকে ল ল টাকা কমিশন আর পণ্যের বিজ্ঞাপন তো হচ্ছেই! কয়েকমাসের মধ্যেই বাজার সয়লাব হয়ে যাবে তাদের পণ্যে। মূলত এই প্রতিযোগিকে তারা এই অনুষ্ঠানের বিজ্ঞাপনমডেল হিসেবে ধরে নিয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধারগন চেয়েছিলেন কয়েকটা মাস এই প্রতিযোগিকে প্রতিযোগিতায় টিকিয়ে রাখতে।

যাতে করে একটা বিপুল অংকের দর্শক অনুষ্ঠানটির সাথে নিজেদের জড়িয়ে নেয়। তারপর চূড়ান্ত বিচারে বিচারকগণ একজন প্রশিতি এবং সবচেয়ে ভালো প্রতিযোগিকে সেরার মুকুট পড়িয়ে দিক তাতে তাদের আপত্তি নেই। কিন্তু সমস্যার সৃষ্টি হলো এই কয়েকমাস পরেই। কোম্পানির কোন কোন অধিকর্তার পত্নী আদুরে গলায় তাদের স্বামীদের কাছে আব্দার করে বসলো, এই প্রতিযোগিকেই যেন সেরার মুকুট পরানো হয়। ব্যাস! এবার মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির বুড়ো বুড়ো কর্তাদের যুবতী যুবতী বউদের আব্দার ।

দুনিয়া চুলায় যাক, এই আব্দার তো আর অপূর্ণ রাখা যায় না। অবশ্য এর সবই হচ্ছিল অতিগোপনে যেন অনুষ্ঠানের প্রতিযোগিরাও কিচ্ছুটি না জানতে পারে। ফলে সেই গ্রান্ড ফিনালের রাতে যখন সে সেরার মুকুটটি মাথায় পড়েছিলো তখন সে যতটা হকচকিয়ে গিয়েছিল ততটাই ভড়কে গিয়েছিলো। এরপর সে দ্রুতই সামলে নিয়েছিলো নিজেকে। সে এখন তারুণ্যের ক্রেজ- এই বোধ তার ভেতরে কাজ করতেই নিজের অজান্তেই হাবভাব চালচলন বদলে গিয়েছিল।

নিজের ভেতরে সে অন্য এক অস্তিত্বের অনুভব করে। মাঝে মাঝে খটকা তো একটু লাগতই। নিজের বিদ্যে বুদ্ধির জোর নিজের কাছে পরিষ্কার ছিল কিন্তু তা প্রকাশ করার ইচ্ছে তার কখনই হয় নি। না তা কারও কখনও হয়? নিজের বুকে কেউ কি কখনও নিশানা তাক করে? এই সেলিব্রেটি যৈবনের তেজদীপ্ততায়, তারুণ্যের মদে নিজের দুর্বলতাকে আড়াল করে দিল। কেননা তাকে তো টিকে থাকতে হবে।

যে অর্জন সে চায়নি তাই যখন তার হাতে এসে পড়েছে এক তো লালন করতে হবে। তখন তার কাছে মনে হয়েছে টিকে থাকাটাই আসল ব্যপার। টিকে থাকার স্বার্থে যাকিছু করা হোক না কেন তাই সঠিক। যেন সে সার্ভাইভেল অব দ্য ফিটেস্টের জ্যান্ত উদাহরণ। পৃথিবীতে কেবল মানিয়ে নিতে পারটাই আসল কথা।

যখন সে মানিয়ে নিতে শিখালো তখন আর কোন সমস্যাই হয়নি। তখন তো সে রীতিমতো নিজেই এক ব্র্যান্ড। নিজের দুর্বলতা আর নাজানাগুলো ব্র্যান্ডের আড়ালে চাপা পড়ে গেল। কোথাও হয়তো সুরের কোন গোলমাল হয়েছে জনরুচি তাকে 'ফ্যাশন' ভেবে নিয়েছে। এই তো ব্র্যান্ডের সুবিধা! কোথাও হয়তো ব্যাকরণে কোন ভুল হয়েছে বোদ্ধামহল তাকে ‘নতুনত্ব’ ভেবে লুফে নিয়েছে।

তরতর করে সেলিব্রেটির পাল, উড়ছে তো উড়ছেই! এই তো তার জীবন। কোন অপরাধ তো সে করেনি বরং নিজের এই জীবনটাকে সে 'শাদামাটা' ভাবতেই বেশী পছন্দ করে। কিছু কিছু বিষয়ে সে থ্রিল অনুভব করে বটে কিন্তু সে ভেবে পায়না এমন কী ঘটেছে যে এক আবু হোসেনের গল্প কালবৈশাখির ঝড়ের মতো তার জীবনে আছড়ে পড়ে তাকে দিশেহারা করে দেবে? এই তো প্রৌঢ় সেলিব্রেটি। জীবনের উদ্বাহু নৃত্যের সময় সে পার করে এসেছে। আজ এই পড়ন্ত সময়ে কিছুটা হিসাব নিকাশের প্রয়োজন আছে।

সে ভাবে, একটু নির্জনে নিরিবিলিতে আয়েশ করে বাকি সময়টা কাটাতে। তবে জনতা তার পিছু ছাড়ে না। বয়সের একটা দাম আছে তো। বিচিত্রপেশার মানুষ, বন্ধুমহল, মিডিয়াকর্মীরা আসে তার কাছে গল্প শুনতে, শিল্পের গভীর গূঢ় তত্ত্বকথা তার কাছ থেকে জানতে। নবিশ শিক্ষার্থীরাও আসে দীক্ষা নিতে।

প্রৌঢ় এবার নিজের দীনতা টের পায়। সময়ের কাছে সে এত নিষ্ঠুরভাবে ফেঁসে যাবে তা তার কল্পনায়ই আসেনি কখনও। নিজেকে তার খুব অসহায় লাগে। এর উপর আবার যদি মাঝে মাঝেই বাদশা হারুন অর রশিদ আর আবু হোসেনের গল্প হুড়মুড়িয়ে তার মস্তিষ্কে ঢুকে পড়ে তার মনে ভয় ধরিয়ে দেয় তাহলে তার আর কী করার থাকে? প্রৌঢ় ভাবে সে কি পাগল হয়ে যাচ্ছে? বুড়ো বয়সে মানুষের 'বাহাত্তুরে' রোগ হয়। তারও কী এমন হয়েছে! পাগলা বাতাস তার উপর ভর করেছে? মাঝে মাঝে প্রৌঢ় ক্ষেপে যায়।

হাত দিয়ে মাছি তাড়ানোর মতো করে সে এই গল্পটাকে তার মাথা থেকে তাড়িয়ে দিতে চায়। পারে না। যতই চেষ্টা করে ততই গল্পটা জাঁকিয়ে বসে। এবার সে উল্টো পদ্ধতি প্রয়োগ করে। সে ভাবে একে যখন তাড়াতে পারছি না তখন একে আরো ভাল করে জমিয়ে নিই।

গল্পটাকে সে জমায়। একটা দৃশ্যময়তার ভেতর সে নিজেকে ছেড়ে দেয়। হারুন অর রশিদের ইশারায় আবু হোসেনকে তুলে আনা হলো বাদশাহর হেরেমে। এই তো পরিচারিকার জাঁহাপনা সম্ভাষণে আবু হোসেন কেমন হকচকিয়ে যাচ্ছে। তার মনে পড়ল গত রাতেই সে চেয়োিছলো বাগদাদের খলিফা হতে আর আজ সে সত্যি সত্যি খলিফা।

এ কি তামাশা! কেউ কি তার আবেগ আর চাওয়াকে নিয়ে খেলছে! সে কী কোন অদৃশ্য হাতের পুতুল? নিজের হাতে চিমটি কেটে আবু হোসেন পরখ করতে চায় এ স্বপ্ন না বাস্তব? বাস্তব বুঝতে পেরে সে সত্যি সত্যি খলিফার মতো দরবার পরিচালনা করে। পরের সকালেই আবার নিজের ঘরে তাকে দেখতে পেয়ে সে বুঝতে পারে এক সুচতুর বাদশা তার দারিদ্রকে পুজি করে তার আবেগকে নিয়ে নিষ্ঠুরভাবে খেলেছে। সে সে ছিলো আসলে বাদশার একদিনের বিনোদনের সামগ্রী । এবার প্রৌঢ় মজা পাচ্ছে। আবু হোসেনের জন্য তার মমতা বোধ হচ্ছে।

খেয়ালি বাদশাহর প্রতি কিছুটা রাগ টের পাচ্ছে প্রৌঢ়। আবার এই অবস্থাগুলো তার খুব চেনা চেনা মনে হচ্ছে। সে ভেবে পায় না কোথায় সে এরকম একটা নাটকের মঞ্চায়ন দেখেছিল। খুব ভয়ে ভয়ে সে ভাবে, তার নিজের জীবনের সাথে এই ঘটনার কোথায় যেন একটা মিল আছে। আবার সে পরিস্থিতির দৃশ্যায়ন করে।

ঐ তো খলিফার দরবার হল! যেন গ্র্যান্ড ফিনালের রাত! অদ্ভুত আতঙ্কে প্রৌঢ় মঞ্চে আবু হোসেনরূপী নিজেকেই দেখতে পাচ্ছে। ঘৃণায় ক্ষোভে লজ্জায় মুখ বিকৃত করে প্রৌঢ় ভাবতে থাকে গ্র্যান্ড ফিনালের সেই সুচতুর রাতে আবু হোসেনের মত তারও যে কখন সবকিছু হারিয়ে গেছে সে বুঝতেই পারে নি। কোন নতুন বাদশার খপ্পরে পড়ে তার আবেগও যে কখন বিনোদনের উপভোগ্য পাত্র হয়ে উঠেছিল বাদশাহর হেরেমে, তা যদি সে ঘুনারেও জানতে পারত?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।