এই ব্লগে মৌলবাদী, রাজাকার এবং জামাত শিবিরের প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
সংবাদ পরিবেশনের নামে টুইটারে ছড়ানো হচ্ছে বিভিন্ন ক্ষতিকর সফটওয়্যার আর মেলওয়্যার এর লিংক। সাধাসিধা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা এসব লিংকে ক্লিক করলেই কম্পিউটার চলে যেতে পারে সাইবার অপরাধীদের দখলে!
স্পেনভিত্তিক সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান পান্ডার নিরাপত্তা বিশ্লেষক সান-পল কোরেল জানিয়েছেন, সাইবার অপরাধীরা টুইটারে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে হাজারো বার্তা পাঠাচ্ছে যার সঙ্গে রয়েছে ক্ষতিকর সফটওয়্যার ও মেলওয়্যার এর লিংক।
মেলওয়্যার হচ্ছে এক ধরণের ক্ষতিকর সফটওয়্যার যা কম্পিউটারের মালিকের অনুমতি ছাড়াই তৃতীয় পক্ষের হাতে অপারেটিং সিস্টেমের নিয়ন্ত্রণ তুলে দিতে সক্ষম এবং একইসঙ্গে বিভিন্ন ক্ষতিকারক সফটওয়্যার নিজে থেকেই সেটআপ করতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে ইন্টারনেট জগতে মেলওয়্যার এর বিস্তৃতি বাড়ছে ব্যাপক আকারে।
সাইবার অপরাধীরা সাধারণত এই সব মেলওয়্যার এর মাধ্যমে অন্যের কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ নেবার চেষ্টা করে।
সাম্প্রতিক সময়ে ইন্টারনেট জগতে মেলওয়্যার এর বিস্তৃতি বাড়ছে ব্যাপক আকারে। এন্টি-ভাইরাস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ম্যাকাফি-র হিসেব অনুযায়ী, আগের বছরের চেয়ে ২০০৮ সালে মেলওয়্যার এর বিস্তার বেড়েছে ৫০০ গুন। একইসঙ্গে এফবিআই-র তথ্য অনুযায়ী গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার অপরাধ বেড়েছে বিগত সময়ের চেয়ে ৩৩ শতাংশ।
অবশ্য মেলওয়্যার আর সাইবার অপরাধ বৃদ্ধির ফলে এক অর্থে লাভবান হচ্ছে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোই।
এই দেখুন না, এ বছর প্রথম চারমাসেই ম্যাকাফির ব্যবসা বেড়েছে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২১ শতাংশ। যদিও সাইবার অপরাধীদের সঙ্গে লড়তে সক্ষম সুরক্ষা সফটওয়্যার তৈরিতে হিমশিম খাচ্ছে তারা।
সে যাই হোক, সাম্প্রতিক ইরান ইস্যু কিংবা ভারতের মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার মতো ঘটনাগুলোর সময় টুইটারই কিন্তু এগিয়ে আসছে নানা তথ্য নিয়ে। তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে টুইটারে... জানতে চাচ্ছে অল্প কথায় সর্বশেষ আপডেট।
তথ্যসূত্র: ডয়চে ভেলে বাংলা সংবাদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।